Jibanananda Daser Shreshtha Kabita

Post on 02-Nov-2021

8 views 0 download

Transcript of Jibanananda Daser Shreshtha Kabita

1)

1. ১ রর

4৮

পরকাশক শরীসৌরেনদরনাথ বসথ

৪৭ গণেশচনতর আভিনিউ, কলকাতা ১৩

পরচছদচিতর শরীইনদর ছগার করতক অসকিত

পরথম মদরণ বৈশাখ ১৩৬১, মে ১৯৫৪

দাম : পাচ টাকা

মদরক শরগোপালচনদর রায নাভান। পরিনটিং ওআরকস‌ লিমিটেড

৪৭ গণেশচনদর আভিনিউ, কলকাতা ১৩

কবিতা কি এ-জিজঞাসার কোনো! আবছ! উততর দেওযার আগে এটক অনতত সপষটভাবে বলতে পারা যায যে কবিতা অনেক রকম। হোমরও কবিতা

লিখেছিলেন, মালারমে রযাবো ও রিলকেও । শেকষপীযর বদলেযর রবীনদরনাথ

ও এপিযটও কবিতা রচনা ক'রে গেছেন। কেউ-কেউ কবিকে সবের ওপরে

সকারকের ভমিকায দযাখেন; কারোকারো৷ ঝৌক একাসতই রসের দিকে । কবিতা রসেরই বযাপার, কিনত এক ধরনের উৎকষট চিততের বিশেষ সব অভিজঞতা ও চেতনার জিনিস-_ শদধ কলপনা বা একানত বদধির রস নয।

বিভিনন অভিজঞ পাঠকের বিচার ও রচির সঙগে যকত থাকা দরকার কবির; কবিতার সমপরকে পাঠক ও সমালোচকেরা কি ভাবে দাযিতব সমপনন

করছেন-__ এবং কি ভাবে তা? করা! উচিত সেই সব চেতনার ওপর কবির

ভবিষযৎ কাবয, আমীর মনে হয, আরো সপষটভাবে দাডাবার সথযৌগ পেতে

পারে। কাবয চেনবার আমবাদ করবার ও বিচার করবার নানারকম সবভাব

ও পদধতির বিচিতর সতযমিথযার পথে আধনিক কাবযের আধনিক সমালোচককে পরাযই চলতে দেখা যায, কিনত সেই কাবযের মোটামটি সতযও অনেক সমযই

তাকে এডিযে যায।

আমার কবিতাকে ব একাবযের কবিকে নিরজন বা নিরজটৰতম আখা।

দেওযা! হযেছে ঃ কেউ বলেছেন, এ-কবিত। পরধানত পরকতির বা পরধানত

ইতিহাস ও সমাজ -চেতনীর, অনয মতে নিশচেতনার; কারো মীমাংসায

এ-কাবয একানতই পরতীকী; সমপরণ অবচেতনার ; সথররিযালিসট । আরো! নীনা-

রকম আখযা চোখে পডেচছ। পরায সবই আংশিকভাবে সতয- কোনো-

কোনো কবিতা বা কাবযের কোনো-কোনো অধযায সমবনধে খাটে; সমগর

কাবযের বযাখয! হিসেবে নয। কিনত কবিতানযষটি ও কাবযপাঠ ছই-ই শেষ পযনত বযকতি-মনের বযাপার; কাজেই পাঠক ও সমীলোচকদের উপলবধি ও

মীমাংসায এত তারতময । একটা সীমারেখা আছে এ-তারতমযের ; সেটা

ছাডিযে গেলে বডো সমালোচককে অবহিত হ'তে হয।

নানা দেশে অনেক দিন থেকেই কাবযের সংগরহ বেরচছে। বাংলায

কবিতার সঞচযন খবই কম। নানা শতকের অকসফোরড বক অব ভরপের ংকলকদের মধযে ঝডো কবি পরাযই কেউ নেই ; কিনত সংকলনগলো৷ ভালো

হযেছে; ঢের পরোনো! কাবযের বাছবিচারে বেশি সারথকতা বেশি সহজ, নতন কবি ও কবিতার খাটি বিচার বেশি কঠিন। অনেক কবির সমাবেশে একটি

সংগরহ; একজন কবির পরায সমসত উললেখয কবিতা নিযে আর-এক জাতীয সংকলন; পশচিমে এধরনের অনেক বই আছে; তারদের ভেতর কযেকটি

তাৎপরধে-_ এমন কি মাহাতময পরায অকষ। আমাদের দেশে ছ-একজন পরবজ

( উনিশ-বিশ শতকের ) কবির নিরবাচিত কাবযাংশ পরকাশিত হযেছিলো;

কতো দর সফল হযেছে এখনও ঠিক বলতে পারছি না। ভালো! কবিতা যাচাই করবার বিশেষ শকতি সংকলকের থাকলেও আদি নিরবাচন অনেক

সমযই কবির মতযর পরে খাটি সংকলনে গিযে দাডাবার সথযোগ পায। কিনত কোনো-কোনে! সংকলনে পরথম থেকেই যথেষট নিভলি চেতনার পরযোগ দেখা

যায। পাঠকদের সঙগে বিশেষভাবে যোগ-সথাপনের দিক দিযে এধরনের

পরাথমিক সংকলনের মলয আমাদের দেশেও লেখক পাঠক ও পরকাশকদের কাছে করমেই বেশি সবীকত হচছে হযতো । যিনি কবিতা লেখ! ছেডে দেননি

তার কবিতার এ-রকম সংগরহ থেকে পাঠক ও সমালোচক এ-কাবযের

যথে সংগত পরিচয পেতে পারেন; যদদিও শেষ পরিচয লাভ সমসামযিকদের

পকষে নানা কারণেই ছংসাধয |

এই সংকলনের কবিতাগলো শরীযকত বিরাম মখোপাধযায আমার পাচখানা কবিতার বই ও অনতানত পরকাশিত ও. অপরকাশিত রচনা থেকে সঞচয করেছেন, তার নিরবাচনে বিশেষ শদধতার পরিচয পেযেছি । বিসতাস-

সাধনে মোটামটিভীবে রচনার কালকরম অনগসরণ করা! হযেছে।

কলকাতা

২০, ৪. ১৯৫৪ জীবনাননদ দা*

ঝরা পালক

নীলিমা ১১

পিরামিভ ১২

সেদিন এ-ধরণীর ১৪

ধসর পাতলিপি

মতযর আগে ১৭

বোধ ১৯

নিরজন সবাকষর ২৩ অবসরের গান ২৫

কযামপে ৩১

মাঠের গলপ ৩৪ সহজ ৩৯ পাখিরা ৪১ শকন ৪৩ সবপলের হাতে ৪৪

বনলতা সেন

ধান কাটা হযে গেছে ৪৬ পথ হাটা ৪৭ বনলতা! সেন ৪৮

আমাকে তমি ৪৯

ইনি ৬৪ অনধকার ৫১

করঞনা ৫5 সবিতা ৫৪ সথচেতনা ৫

** আবহমান ৫৬

* ভিখিরী ৬৩

* তোমাকে ৬১

মহাপথিবী

হাজার বছর শধ খেলা করে ৬২ শব ৬২

হায চিল ৬৩

সিনধসারস ৬৩ কডি বছর পরে ৬৫ ঘাস ৬ত

হাওযার রাত ৬৭ বনো হাস ৬৯ শঙখমাল! ৬৯ বিডাল ৭০ শিকার ৭১ নগন নিরজন হাত ৭২ আট বছর আগের একদিন ৭৪

* মনোকণিকা ৭৭

* সবিনয মসতফী ৮০ * অনপম তরিবেদী ৮০

সাতটি তারার তিমির

আকাশলীনা ৮২ ঘোডা ৮৩

সমারড ৮৩ নিরঙকশ ৮৪ গোধলি সনধির নতয ৮৫ একটি কবিতা ৮৬

নাবিক ৮৮

খেতে পরানতরে ৮৯ রাতরি ৯১

লঘ মহরত ৯২ নাবিকী ৯3 উততরপরবেশ ৯৬ সযটির তীরে ৯৮ তিমির হননের গান ১০০ জহ ১০১

সমযের কাছে ১০২ জনাসতিকে ১০৫

সরযতামলী ১০৭

বিভিনন কোরাস ১০৮

%* তব ১১২ * পথিবীতে ১১৪ * এই সব দিনরাতরি ১১৫ * লোকেন বোসের জরনাল ১১৯ ঈ ১৯৪৬-৪৭ ১২১

* মানষের মতয হ'লে ১২৬

* * অনন। ১২৯

* আছে ১৩২

* যাতরী ১৩৩

* *'সথান থেকে ১৩৪

* * দিনরাত ১৩৫

* * পথিবীতে এই ১৩৫

* চিহিত কবিতাগলি ইতিপরবে কোনো গরসথের অনভতি হযনি। *** চিহিতি কবিতাগলি ইতিপরবে কে।নে৷ গরনথে কিংবা সামরিকপতরে পরকাশিত হযনি।

খ‌

নীলিম।

বৌদর-ঝিলমিল উষার আকাশ, মধযনিশীথের নীল,

অপার এশবরবেশে দেখ! তমি দাও বারে-বারে নিঃসহায নগরীর কারাগার-পরাচীরের পারে। উদবেলিছে হেখ! গা ধমের কগলী, উগর চনলীবহছি হেথা অনিবার উঠিতেছে জলি”, আরকত কমকরগলো মরভর.তপতশবাস মাখা,

মরীচিকা-ঢাকা।

অগণন যাতরিকের পরাণ

খজে মরে অনিবার, পাযনীকে। পথের সনধান;

চরণে জডাযে গেছে শাসনের কঠিন শঙখল; হে নীলিম| নিপপলক, লকষ বিধি-বিধানের এই কারাতল তোমার ও-মাযাদণডে ভেঙেছে! মাযাবী!

জনতার কোলাহলে একা বসে ভাবি

কোন‌ দর জাছপর-রহসতের ইনদরজাল মাখি

বাসতবের রকততটে আমিলে একাকী;

সটিক আলোকে তব বিথারিযা নীলামবরখানা

মৌন ববপর-মসতরের ডানা ! চোখে মোর মছে যায বযাধবিদধা ধরণীর রধিরলিপিকা,

জ'লে ওঠে অসতহার! আকাশের গৌরী দীপশিখা !

বনথধার অশরপাংশ আতথচ সৈকত,

ছিননবাস, নগরশির ভিকষদল, নিফরণ এই রাজপথ, লকষ কোটি মমষ'র এই কারাগার,

এই ধলি-_ ধতরগরভ বিসতত আধার

ডবে যায নীলিমায__ সবপরাযত মগধ আখিপাতে,

শঙখশভর মেঘপঞজে, শকলাকাশে নকষতরের রাতে;

ভেঙে যায কীটপরায ধরণীর বিশীরণ নিরমোক

তোমার চকিত সপরশে, হে অতনদর দর কলপলোক !

১১

পিরামিড

বেলা বযে যায,

গোৌধলির মেঘ-সীমানায ধমমৌন পাঝে

নিতয নব দিবসের মতযঘণটা বাজে, শতাবদীর শবদেহে শমশানের ভসমবহছি জলে ;

পাসথ শলান চিতার কবলে

একে-একে ডবে যায দেশ জাতি সংসার সমাজ ; কার লাগি, হে সমাধি, তমি একা বসে আছে! আজ-_

কি এক বিকষবধ পরেতকাযার মতন !

অতীতের শোভাযাতরা কোথায কখন

চকিতে মিলাযে গেছে পাও নাই টের;

কোন‌ দিবাঅবসানে গৌরবের লকষ মসাফের দেউটি নিভাযে গেছে-_ চ”লে গেছে দেউল তযজিযা,

চলে গেছে পপরিরতম-__ চলে গেছে পরিযা

যগানতের মণিময গেহবাস ছাডি চকিতে চলিয! গেছে বাসনা-পসারী

কবে কোন‌ বেলাশেষে হায

দর অনতশেখরের গায।

তোমারে যাযনি তা"রা শেষ অভিননদনের অধয সমপিযা ;

সাঝের নীহারনীল সমদর মথিয!

মরমে পশেনি তব তাহাদের বিদাযের বাণী,

তোরণে আসেনি তব লকষ-লকষ মরণ-সনধ।নী

অশর-ছলছল চোখে পাগর বদনে ;

কষণ বনিক! কবে ফেলে তা'রা গেল দর দবারে বাতাযনে

জানো নাই তমি ;

জানে না তো মিশরের মক মরভমি তাদের সনধান ।

হে নিরবাক পিরামিড, অতীতের সতবধ পরেতপরাণ,

৯২

অবিচল সথতির মনদির,

আকাশের পানে চেযে আজো তমি বসে আছো সথির; নিমপলক যগমতর তলে চেযে আছে! অনাগত উদধির কলে মেঘরকত মযখের পানে, - জলিযা যেতেছে নিতয নিশি-অবসানে

নতন ভাসকর ;

বেজে ওঠে অনাহত মেমননের সবর

নবোদিত অরণের সনে

কোন‌ আশা-ছরাশার কষণসথাযী অনথলি-তাডনে !

পিরামিড-প।ষাণের মরম ঘেরি নেচে যায দ-দণডের রধিরফোযারা

কী এক পরগলভ উষণ উললাসের সাডা!

থেমে যায পাসথবীণা মহরতে কখন;

শতাবদীর বিরহীর মন

নিটল নিথর

সমতরি ফিরিযা মরে গগনের রকত পীত সাগরের "পর;

বালকার সফীত পারাবারে

লোল মগতষজিকার দবারে

মিশরের অপহত অনতরের লাগি;

মৌন ভিকষা মাগি । খলে যাবে কবে রদধ মাযীর ছযার

মখরিত পরাণের সঞচার

ধবনিত হইবে কবে কলহীন নীলার বেলায__

বিচছেদের নিশি জেগে আজো তাই বসে আছে পিবামিভ হায । ,

কতো! আগনতক কাল অতিথি সভযতা

তোমার ছমারে এসে কযে যায অসমব'ত অনতরের কথা,

তলে যায উচছ.ঙখল রদধ কোলাহল,

তমি রহো নিরততর__ নিরবেদী__- নিশচল মৌন-__ অনযমন1; পরিযার বকষের "পরে বসি” একা নীরবে করিছো! তমি শবের সাধনা-__

১৩

হে পরেমিক সবতনতর ববরাট । কবে কথপত উৎসবের সতবধ ভাঙা হাট

উঠিবে জাগিযা, সমমিত নযন তলি” কবে তব পরিযা আকিবে চমবন তব শবেদকষণ পাও চরণ বযথিত কপোলে, মিশরঅলিনদে কবে গরিমার দীপ যাবে জলে,

বসে আছো অশরহীন সপনদহীন তাই ; ওলটি-পালটি যগ-যগানতের শমশানের ছাই জাগিযা রযেছে তব পরেত-আখি-__ পরেমের পরহব। ।

মেদের জীবনে ষবে জাগে পাতাঝব!

হেমনতের বিদায-কহে লি-__

অরনতদ আখি ছটি মেলি

গডি মোর। সমতির শমশান

ছ-রিনের তরে শধ; নবোতফললা মাধবীপ গান মেদের ভলাযে নেয বিচিতর আকাশে

নিমেষে চকিতে ;

অতীতের হিমগভ কবরের পশে

ভলে যাই ছই ফোটা অশর ঢেলে দিতে ।

সেদিন এধরণীর

ঘেদিন এখধবণীর

সবজ, দবীপের ছাযজা-_ উতরোল তরঙগের ভিড মের চোখে জগে-জেগে ধীরে-ধীরে হলে অপহত

কযাশায ঝ'বে পডা আতসের মতো ।

দিকে-দিকে ডবে গেল কোলাহল,

সহস1 উজানজলে ভাটা হেল ভাসি,

অতিদর আকাশের মখখানা আসি

বকে মোব তলে গেল যন হাহাকার ।

৯৪

সেইদিন মোর অভিসার

মততিকার শনয পেয।লার বযথা একাকারে ভেডে

বকের পাখার মতো শাদা লঘ মেঘে

ভেসেছিলো! আতর উদাসী;

বনের ছাযার নিচে ভাসে কার ভিজে চোখ

কাদে কার বারোযার বাশি

সেদিন শনিনি তাহা;

কষধাতর ছটি আখি তলে

অতিদর তারকার কামন।য আখি মোর দিযেছিনচ খলে ।

আমার এ শির|-উপশিরা

চকিতে ছি'ডিষা গেল ধরণীর নাডীর বনধন,

শনেছিনধ কান পেতে জননীর সথবির করনদন__

মোর তরে পিছ ভাক মাটি-মা_ তোমার ;

ডেকেছিলে। ভিজে ঘান-__ হেমনতের হিম মাস-_ জোনাকির ঝাভ,

আমারে ড।কিযাছিলো৷ আলেযার ল।ল মাঠ__ শমশ।নের খেযাঘাট আসি,

কঙকালের রাশি,

দাউ-দাউ চিতা,

কতো পরব জাতকের পিতামহ পিত।,

সরবনখ বযমন বাসন।

কতো মত গোকষবার ফণা, কতো তিথি-__ কতো যে অতিথি-_

কতো! শত যোনিচকরসথতি

করেছিলো উতলা আমারে ।

আধে! আলো-_- আধেক আধারে

মোর সাথে মোর পিছে এলো তা*রা ছটে, মাটির কাটের চমে| শিহরি উঠিল মোর ঠোটে, রোমপটে ; ধধ মাঠ-__ ধানখেত-_ কাশফল__ বনো হাস-_ বালকার চর

বকের ছানার মতো! যেন মোর বকের উপর এলোমেলো! ভান! মেলে মোর সাথে চলিল নাচিযা;

১৫

মাঝপথে থেমে গেল তারা সব)

শকনের মতো শনযে পাখা বিথারিযা দরে__ দরে__ আরো! দরে আরো দরে চলিলাম উডে, নিঃসহায মানষের শিশ একা-_ অনসতের শর অনতঃপরে

অসীমের আচলের তলে

সকীত সমদরের মতো আননদের আরত কোলাহলে উঠিলাম উথলিয! ছরসত সৈকতে-_

দর ছাযাপথে।

পথিবীর পরেতচোখ বঝি সহম! উঠিল ভাপি তারকাদরপণে মোর অপহত আননের গরতিবিষব খজি

জণতরষট সনতানের তরে

মাটি-মা ছটিযা এলো! বকফাটা মিনতির ভরে) সঙগে নিযে বোবা! শিশ-_ বদধ মত পিতা,

সতিক|-আলয আর শমশানের চিতা,

মোর পাশে ধাডালে! সে গভিণীর কষোভে ;

মোর ছটি শিশ আখি-তারকার লোভে

কাদিয উঠিল তার গীননতন__ জননীর পরাণ;

জরাযর ডিমবে তার জনমিযাছে যে ঈপসিত বাঞচিত সসতান তার তরে কালে-কালে পেতেছে সে শৈবালবিছানা শ।লতমালের ছাযা, এনেছে সে নব-নব খতরাগ-_ পউষনিশির শেষে ফাগনের ফাগযার মাযা; তার তরে বৈতরণীতীরে সে যে ঢালিযাছে গঙগার গাগরী, মতযব অঙগার মথি সতন তার ভিজে রসে উঠিযাছে ভরি,

উঠিযাছে দরবাধানে শোভি, মানবের তরে সে যে এনেছে মানবী;

মশলাদরাজ এই মাটিটার ঝাঝ যে বে-_

কেন তবে ছ-দণডের অশর অমানিশা

দর অ!কাশের তরে বকে তোর তলে ষায নেশাখোর মকষিকার তষা! নযন মদি ধীরে-__ শেষ আলো! নিভে গেল পলাতকা নীলিমার পারে, সগধ-পরহথতির মতে। অনধকার বহনধর। আবরি আমারে । তি

৯৬

সবতযর আগে

আমরা হেটেছি যারা নিরজন খডের মাঠে পউষ সনধযায,

দেখেছি মাঠের পারে নরম নদীর নারী ছডাতেছে ফল কযাশার ; কবেকার পাডার মেযেদের মতো যেন হায

তারা সব; আমরা দেখেছি যার! অনধকারে আকনদ ধমদল

জোনাকিতে ভরে গেছে ;ঃ যে-মাঠে ফসল নাই তাহার শিযরে চপে দীডাযেছে টাদ-_ কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;

আমরা বেসেছি যার! অনধকারে দীরঘ শীত রাতরিটিরে ভালো, খডের চালের পরে শনিযাছি মগধরাতে ভানার সঞচার :

পরোনে! পেচার ভরাণ ; অনধকারে আবাব সে কোথায হারালে!

বঝেছি শীতের রাত অপরপ, মাঠে-মাঠে ভান! ভাসাবার গভীর আহলাদে ভরা ; অশথের ভালে-ডালে ডভাকিযাছে বক;

আমরা বঝেছি যারা জীবনের এই সব নিভত কহক ;

আমরা দেখেছি যারা বনোহাস শিকারীর গলির আঘাত এডাযে উডিয! যায দিগনতের নমর নীল জযোতৎসার ভিতরে, আমরা রেখেছি যারা) ভালোবেসে ধানের গচছেব "পরে হাত,

সনধযার কাকের মতো আকাজষায আমরা ফিরেছি যারা ঘরে ; শিশর মখের গনধ, ঘাস, রোদ, মাছরাউা, নকষতর, আকাশ

আমবা পেষেছি যারা ঘবে ফিরে ইহাদের চিহ বারোমাস;

দেখেছি সবজ পাতা অদতরাণের অনধকারে হযেছে হলদ,

হিজলের জানালায আলো! আর বলবলি করিযাছে খেলা, ইছর শীতের রাতে রেশমের মতো! রোমে মািযাছে খদ, চালের ধসর গনধে তরঙগেরা রপ হ'যে ঝরেছে ছ-বেলা! নিরজন মাছের চোখে $ পকরের পারে হাস সনধযার আধারে

পেযেছে ঘমের ভরাণ_- মেযেলি হাতের সপরশ ল'ষে গেছে তারে £

১ ১৭

মিনারের মতো! মেঘ সোনালি চিলেরে তার জানালায ডাকে,

বেতের লতার নিচে চডযের ডিম যেন নীল হ'যে আছে, নরম জলের গনধ দিযে নদী বার-বার তীরটিরে মাথে,

খডের চালের ছাযা গাঢ রাতে জযোতনার উঠানে পডিযাছে ;

বাতাসে ঝি'ঝির গনধ-_ বৈশাখের পরীসতরের সবজ বাতাসে ; নীলাভ নোনার বকে ঘন রস গাঢ আকাঙষায নেমে আসে;

আমরা দেখেছি যারা নিবিড বটের নিচে লাল-লাল ফল

পডে আছে; নিরজন মাঠের ভিড মখ দেখে নদীর ভিতরে ; যত নীল আকাশের! রযে গেছে খজে ফেরে আরো নীল আকাশের তল;

পথে-পথে দেখিযাছি মদ চোখ ছায! ফেলে পথিবীর "পরে ;

আমরা দেখেছি যারা শপরীর সারি বেযে সনধযা আসে রোজ,

পরতিদিন ভোর আসে ধানের গচছের মতে। সবজ সহজ

আমরা বঝেছি যারা বনথাদিন মাস খত শেষ হ'লে পর পথিবীর সেই কনত! কাছে এসে অনধকারে নদীদের কথা কযে গেছে ; আমরা! বঝেছি যারা পথ ঘাট মাঠের ভিতর আরো-এক আলো আছে : দেহে তার বিকালবেলার ধসরতা ; চোখের-দেখার হাত ছেডে দিযে সেই আলো হ'যে আছে সথির : পথিবীর কঙকাবতী ভেসে গিযে সেইখানে পাষ সলরান ধপের শরীর ;

আমরা মতযর আগে কি বঝিতে চাই আর? জানি না কি আহা, সব রাও কামনার শিযরে যে দেযালের মতো এসে জাগে

ধসর মতযর মখ ; একদিন পথিবীতে সবপন ছিলো-_ সোনা ছিলো যাহা নিরততর শাসতি পায; যেন কোন‌ মাযাবীর পরযোজনে লাগে।

কি বঝিতে চাই আর ? "**রৌনর নিভে গেলে পাখি পাখালির ডাক শনিনি কি? পরাসতরের কযাশায দেখিনি কি উডে গেছে কাক !

খী

বোধ

আলো-অনধকারে যাই-_ মাথার ভিতরে সবপন নয, কোন‌ এক বোধ সকাজ করে

সবপন নয__ শাসতি নয_ ভালোবাস! নয,

হদযের মাঝে এক বোধ জনম লয;

আমি তারে পারি না এডাতে,

সে আমার হাত রাখে হাতে;

সব কাজ তচছ হয-_ পণড মনে হয,

সব চিসতা_ পরারথনার সকল সময

শনয মনে হয,

শনয মনে হয।

সহজ লোকের মতো! কে চলিতে পারে।

কে থামিতে পারে এই আলোয আধারে

সহজ লোকের মতো) তাদের মতন ভাষা কথা

কে বলিতে পারে আর ; কোনে। নিশচযতা

কে জানিতে পাবে আর ? শরীরের সবাদ

কে বঝিতে চধয আর? পরাণের আহলাদ

সকল লোকের মতো! কে পাবে আবার ।

সকল লোকের মতো বীজ বনে আর সবাদ কই , ফসলের আকাজকায থেকে,

শরীরে মাটির গনধ মেখে,

শরীরে জলের গনধ মেখে,

উৎসাহে আলোর দিকে চেযে

চাষার মতন পরাণ পেযে

কে আর রহিবে জেগে পথিবীর "পরে? সবপন নয-_ শাসতি নয__- কোন‌ এক বোধ কাজ করে

মাথার ভিতরে।

১৪)

পথে চলে পারে পারাপারে

উপেকষ। করিতে চাই তারে ;

মভার খলির মতো ধ'রে আছাড মাবিতে চাই, জীবনত মাথার মতো ঘোরে তব সে মাথার চারিপাশে, তব সে চোখের চাবিপাশে,

তব সে বকের চারিপাশে ;

আমি চলি, সাথে-সাথে সেও চ'লে আসে ।

আমি থামি__

সেও থেমে যায;

সকল লোকের মাঝে বসে

আমার নিজের মবরাদোষে

আমি এক হতেছি আলাদ। ?

আমার চোখেই শধ ধাধা?

আমার পথেই শধ বাধা?

জনমিষাছে যারা এই পথিবীতে

সমতানের মতো হযে

সমতভানেব জনম দিতে-দিতে

যাহাদদেব কেটে গেছে অনেক সময,

কিংবা আজ সমভানের জনম দিতে হয

যাহাদের ; কিংবা যারা পথিবীর বীজখেতে আসিতেছে চ'লে

জনম দেবে-_ জনম দেবে বলে;

তারের হদয আর মাথার মতন

আমার হদয নাকি? তাহাদের মন

আমার মনের মতো নাকি?

_-তব কেন এমন একাকী ? তব আমি এমন একাকী ।

৮,

হাতে তলে দেখিনি কি চাষার লাঙল ? বাল‌টিতে টানিনি কি জল ? কানডে হাতে কতোবার যাইনি কি মাঠে ? মেছোদের মতো আমি কতো নদী ঘাটে

রিকসাছি

পকরের পানা শটালা-__ আশটে গাযের ভরাণ গাযে গিযেছে অডামে ;

-_এই সব সবাদ;

__-এ-সব পেযেছি আমি , বাতাসের মতন অবাধ

বষেছে জীবন, নকষতরের তলে শষে ঘমাষেছে মন

এক দিন‌ নর

এই সব সাধ

জানিকাছি একদিন-__ অবাধ-_ অগাধ চলে গেছি ইহাদের ছেডে ;

ভালোবেসে দেখিযাছি মেযেমাচষেবে,

অবহেলা কবে আমি দেখিযাছি মেযেমাচষেনে,

গবণা কবে দেখিযাছি মেষেমাজষেবে £

আমাবে সে ভালোবাসিযাছে,

আসিকাছে কাছে,

উপেকষা সে করেছে আমারে,

সবণ। করে চলে গেছে-__ যখন ডেকেছি বারে-বাবে

ভালোবেসে তারে,

তবও সাধন! ছিলো একদিন-_ এই ভালোবাস! ঃ

আমি তার উপেকষার ভাষা

আমি তার সবণার আকরোশ -

অবহেলা ক”রে গেছি ; যে-নকষতর-_- নকষতরের দোষ

আমার পরেমের পথে বাব-বার দিযে গেছে বাধা

স২০

আমি তা” ভলিযা গেছি ; তব এই ভালোবাসা ধলো 'আর কাদা ।

মাথার ভিতনবে ৭

কবপর নয__ পরেম নয-_ কোনো এক বোধ কাজ করে ।

আমি সব দেবতারে ছেডে

আমার পরাণের কাছে চলে আসি,

বলি আমি এই হদযেরে :

সে কেন জলের মতে! ঘরে-ঘরে একা! কথা কয !

অবসাদ নাই তার ? নাই তার শাসতির সময ?

কোনোদিন ঘমাবে না ? ধীরে শযে থাকিবার সবাদ পাবে নাকি? পাবে না আহলাদ

মানষের মখ দেখে কোনোদিন !

মানষীর মখ দেখে কোনোদিন !

শিশদের মখ দেখে কোনোদিন !

এই বোধ-_ শধ এই সবাদ পায সে কি অগাধ-_ অগাধ!

পথিবীর পথ ছেডে আকাশের নকষতরের পথ

চায না সে? করেছে শপথ «

দেখিবে সে মানষের মখ ?

দেখিবে সে মানষীর মখ ?

দেখিবে সে শিশদের মখ ? চোখে কালে শিরার অসথখ,

কানে যেই বধিরতা আছে,

যেই কজ__ গলগণড মাংসে ফলিযাছে নষট শসা-_ পচা চালকমডার ছাচে,

যে-সব হদযে ফলিযাছে

-_সেই সব।

নিজন সবাকষর

তমি তা জানো না কিছ-_ না জানিলে, আমার সকল গান তবও তোমারে লকষয কৰে;

যখন ঝরিসা যাবো হেমসতের ঝডে_

পথের পাতার মতো তমিও তখন আমার বকের "পরে শযে রবে?

অনেক ঘমের ঘোরে ভবিবে কি মন‌ সেদিন তোমার !

তোমার এ জীবনের ধার

কষ'যে যাবে সেদিন সকল ?

আমার বকের পরে সেই রাতে জমেছে যে শিশিরের জল, তমিও কি চেযেছিলে শধ তাই; শধ তার সবাদ তোমারে কি শাসতি দেবে ;

আমি ঝরে যাবো-_ তব জীবন অগাধ

তোমারে বাখিবে ধরে সেইদিন পথিবীর পরে, --আমার সকল গান তবও তোমারে লকষয করে ।

রযেছি সবজ মাঠে-__ঘণাসে-_

আকাশ ছভাযে আছে নীল হযে আকাশে-আকাশে ;

জীবনের র” তব ফলানে! কি হয এই সব‌ ছযে ছেনে” -সে এক বিসময

পথিবীতে নাই তাহা_ আকাশেও নাই তার সথল, চেনে নাই তারে ওই সমদরের জল ; রাতে-বাতে হেটে-হেটে নকষতরের সনে

তারে আমি পাই নাই ; কোনো এক মানধীর মনে

কোনে! এক মানষের তরে

যে-জিনিস বেচে থাকে হদযের গভীর গহবরে

৮ ৪

নকষতরের চেযে আরো নিঃশবদ আসনে

কোনো! এক মানষের তরে এক মানষীর মনে ।

একবার কথা ক'যে দেশ আর দিকের দেবতা

বোবা! হ'যে পডে থাকে-_ তলে যায কথা;

যে-আগন উঠেছিলো! তাদের চোখের তলে জ'লে নিভে যায-- ডবে যায-- তারা যায সখ'লে।

নতন আকাজষ। আসে__ চ'লে আসে নতন সময__

পরানো সে-নকষতরের দিন শেষ হয

নতনের আসিতেছে বলে; আমার বকের থেকে তবও কি পডিযাছে সখ'লে কোনো এক মানধীর তরে

যেই পরেম জালাযেছি পরোহিত হ'যে তার বকের উপরে । আমি সেই পরোহিত-_ সেই পরোহিত। যে-নকষতর মরে যায, তাহার বকের শীত

লাগিতেছে আমার শরীরে-_

যেই তারা জেগে আছে, তার দিকে ফিরে তমি আছে৷ জেগে-_ যে-আকাশ জলিতেছে, তার মতো! মনের আবেগে

জেগে আছো;

জানিযাছে। তমি এক নিশচযতা-- হযেছো নিশচয । হ'যে যায আকাশের তলে কতো! আলো-- কতো আগনের কষয;

কতোবার বরতমান হ'যে গেছে বযথিত অতীত-_

তবও তোমার বকে লাগে নাই শীত যে-নকষতর ঝ'রে যায তার।

যে-পথিবী জেগে আছে, তার ঘাস-_ আকাশ তোমার।

জীবনের সবাদ লযে জেগে আছো, তবও মতযর বযথ! দিতে পারে৷ তমি;

তোমার আকাশে তমি উষণ হ'যে আছো-_ তব বাহিরের আকাশের শীতে

নকষতরের হইতেছে কষয, নকষতরের মতন হদয পডিতেছে ঝরে

কলাসত হ'যে শিশিরের মতো শব ক'রে।

জানোনাকো তমি তার শবাদ_ তোমারে নিতেছে ডেকে জীবন অবাধ,

জীবন অগাধ।

হেমনতের ঝডে আমি ঝরিব যখন পথের পাতার মতো তমিও তখন আমার বকের 'পরে শযে রবে? অনেক ঘমের ঘোরে ভরিবে কি মন

সেদিন তোমার ।

তোমার আকাশ-_ আলো_ জীবনের ধার কষ'যে যাবে সেদিন সকল ?

আমার বকের 'পরে সেই রাতে জমেছে যে শিশিরের জল তমিও কি চেযেছিলে শধ তাই, শধ তার সবাদ তোমারে কি শাসতি দেবে।

আমি চ'লে যাবো-_ তব জীবন অগাধ

তোমারে রাখিবে ধরে সেইদিন পথিবীর পরে;

আমার সকল গান তবও তোমারে লকষয করে।

অবসরের গান

শযেছে ভোরের রোদ ধানের উপরে মাথা পেতে

অলস গেযোর মতো! এইখানে কাতিকের খেতে ;

মাঠের ঘাসের গনধ বকে তার-_ চোখে তার শিশিরের ভরাণ, তাহার আমবাদ পেযে অবসারদে পেকে ওঠে ধান,

দেহের সবাদের কথা কয;

বিকালের আলো এসে (হযতো বা ) নষট ক'রে দেবে তার সাধের সময

৪ ৫

চারিদিকে এখন সকাল-_

রোদের নরম রং শিশর গালের মতো! লাল? মাঠের ঘাসের 'পরে শৈশবের ভরাণ_ পাড।গার পথে কষানত উৎসবের এসেছে আহবান ।

চারিদিকে সযে পডে ফলেছে ফসল, তাদের সতনের থেকে ফোট।-ফোটা পডিতেছে শিশিরের জল

পরচর শসতের গনধ থেকে-থেকে আসিতেছে ভেসে পেচা আর ইছরের সরাণে ভরা আমাদের ভাডারের দেশে !

শরীর এলাযে আসে এইখানে ফলনত ধানের মতো ক'রে,

যেই রোদ একবার এসে শধ চ'লে যায তাহার ঠোটের চমো ধ'রে আহলাদের অবসাদে ভ'রে আসে আমার শরীর,

চারিদিকে ছাযা-- রোদ-_ খদ-_ কডো-_ কাততিকের ভিড; চোখের সকল কষধা মিটে যায এইখানে, এখানে হ'তেছে সগিপধ কান,

পাডার গায আজ লেগে আছে রপশালি-ধানভ।ন! রপসীর শরীরের ভরাণ

আমি সেই সনদরীরে দেখে লই__ মথযে আছে নদীর এ-পাবে

বিযোবার দেরি নাই-_ রপ ঝ'রে পডে তার-_.

শীত এসে নষট ক'রে দিযে যাবে তারে;

আজো তব ফরাযনি বৎসরের নতন বযস,

মাঠেমাঠে ঝরে পডে কাচা বেদ-_ ভাডারের রন ।

মছির গানের মতো! অনেক অলস শবদ হয

সকালবেলোর রৌদরে ; কডেমির আজিকে সময।

গাছের ছাযার তলে মদ ল”যে কোন‌ ভাড বেধেছিলো ছড। !

তার সব কবিতার শেষ পাত। হবে আজ পডা;

ভলে গিযে রাজা-_ জয__ সামরাজযের কথা

অনেক মাটির তলে যেই মদ ঢাকা ছিলে! তলে নেবে! তার শীতলতা ; ডেকে নেবে। আইবডে পাডাগার মেযেদের সব;

২৬

মাঠের নিসতেজ রোদে নাচ হবে-_

শর হবে হেমসতের নরম উতমব।

হাতে হাত ধ'রে-ধ'রে গোল হ'যে ঘরে-ঘধর-ঘরে

কাতিকের মিঠে রোদে আমাদের মখ যাবে পডে ফলসত ধানের গনধে-_ রঙে তার-_ সবাদে তার ভ'রে যাবে আমাদের সকলের দেহ;

রাগ কেহ করিবে না আমাদের দেখে হিংসা করিবে না কেহ। আমাদের অবসর বেশি নয-_ ভালোবাসা আহলাদের অলস সময

আমাদের সকলের আগে শেষ হয;

দরের নদীর মতো সথর তলে অনয এক তরাণ__ অবসাদ-_

আমাদের ডেকে লষ, তলে লয আমাদের কলাসত মাথা, অবসনন হাত।

তখন শনতের গনধ ফবাষে গিযেছে খেতে-_ রোদ গেছে পডে,

এসেছে বিকালবেল! তার শাসত শাদ! পথ ধ'রে;

তখন গিযেছে থেমে ওই কডে গেষোদের মাঠের রগড; ' হেমসত বিযাঘে গেছে শেষ ঝর| মেযে তার শাদা মরা শেফালীর বিছানার *পর

মদের ফোটার শেষ হ'যে গেছে এমাঠের মাটির ভিতর ,

তখন সবজ ঘাস হ'যে গেছে শাদ। সব, হযে গেছে আকাশ ধবল,

চ'লে গেছে পাডার আইবডো মেযেদেব দল ।

পরোনে। পেচীরা সব কোটরের থেকে

এসেছে বাহির হ'যে অনধকার দেখে

মাঠের মখের "পরে;

সবজ ধানের নিচে__ মাটির ভিতরে ঈদরেরা চ'লে গেছে; আটির ভিতর থেকে চ'লে গেছে চাষা;

শশতের খেতের পাশে আজ রাতে আমাদের জেগেছে পিপাসা ।

ফলসত মাঠের 'পরে আমরা খজি না আজ মরণের সথান,

পরেম আর পিপাসার গান

আমরা গাহিয! যাই পাডারগার ভাডের মতন; ফসল-_ ধানের ফলে যাহাদের মন

ভ'রে উঠে উপেকষা করিয! গেছে সামাজোরে, অবহেলা ক'রে গেছে

" পথিবীর সব সিংহাসন-_

আমাদের পাডারগার সেই সব ভাড-_ যববাজ রাজাদের হাডে আজ তাহাদের হাড

মিশে গেছে অনধকারে অনেক মাটিব নিচে পথিবীর তলে? কোটালের মতো তারা নিশবীসের জলে

ফরাযনি তাদের সময,

পথিবীর পরোছিতদের মতো তা"র! করে নাই ভয, পরণযীর মতো তা"রা ছেডেনি হদয

ছডা বেধে শহরের মেষেদের নামে;

চাষাদের মতো তারা কলামত হ'যে কপালেব ঘামে

কাটাযনি-_ কাটাযনি কাল;

অনেক মাটির নিচে তাদের কপাল

কোনো এক সমরাটের সাথে

মিশিয রযেছে আজ অনধকার রাতে;

যোদধা__ জধী-_ বিজধীব পাচ ফট জমিনের কাছে পাশাপাশি

জিতিষ। রযেছে আজ তাদের খলির অটরহাপি !

অনেক রাতের আগে এসে তা"র। চলে গেছে-__ তাদের দিনের আলো

হযেছে আধার,

সেই সব গেযো! কবি-_ পাডারগীব ভাড-_

আজ এই অনধকারে আসিবে কি আর ?

তাদের ফলসত দেহ শষে লযে জনমিযাছে আজ এই খেতের ফসল; অনেক দিনের গনধে ভর! ওই ইদরেরা জানে তাহা-: জানে তাহা

নরম রাতের হাতে ঝরা এই শিশিরের জল !

সে-সব পেচারা! আজ বিকালের নিশচলতা দেখে

তাহাদের নাম ধ'রে যায ডেকে-ডেকে।

মাটির নিচের থেকে তারা মতের মাথার সবপনে নডে উঠে জানায কি অদভত ইশারা !

আধারের মশা আর নকষতর তা জানে-_

আমরাও আসিযাছি ফসলের মাঠের আহবানে ।

সরযের আলোর দিন ছেডে দিযে পথিবীর যশ পিছে ফেলে

শহর-_- বনদর-_ বনতি-_ কারখান। দেশলাইযে জেলে

আসিযাছি নেমে এই খেতে ;

শরীরের অবসাদ-_ হদযের জর ভলে যেতে ।

শীতল চাদের মতো শিশিরের ভেজা পথ ধরে

আমর। চলিতে চাই, তারপর যেতে চাই মরে

দিনের আলোয লাল আগনের মখে পডে মাছির মতন; অগাধ ধানের রসে আমাদের মন

আমরা ভরিতে চাই গেযো কবি-_ পাডারগার ভাডের মতন

জমি উপডাযে ফেলে চ'লে গেছে চাষ!

নতন লাঙল তার প'ডে আছে-_ পরানো পিপাসা

জেগে আছে মাঠের উপরে;

সময হাকিযা যায পেচা ওই আমাদের তবে !

হেমনতের ধান ওঠে ফ'লে-_

ছই পা ছডাযে বসে! এইখানে পথিবীর কোলে।

আকাশের মেঠো পথে থেমে ভেসে চ'লে যায চাদ;

অবসর আছে তার-- অবোধের মতন আহলাদ

আমাদের শেষ হবে যখন সে চ'লে যাবে পশচিমের পানে,

এটক সময তাই কেটে যাক‌ রপ আর কামনার গানে ।

তত

ফরোনো৷ খেতের গনধে এইখানে ভরেছে ভাডার?

পথিবীর পথে গিযে কাজ নেই, কোনো রষকের মতো দরকার নেই দরে মাঠে গিযে আর;

৪১

বোধ_- অবরোধ-_ কলেশ- কোলাহল শনিবার নাহিকো সময, জানিতে চাই না আর সমরাট সেজেছে ভীড কোনথানে-_

কোথায নতন ক'রে বেবিলন ভেঙে গডো হয;

আমার চে'থের পাশে আনিও ন1 সৈনযদের মশালের আগনের বং;

দামামা থামাযে ফেল-_ পেচার পাখার মতো অনধকারে ডবে যাক‌

| রাজয আর সামরাজযের সঙ।

এখানে নাহিকো কাজ-_ উৎসাহের বযথ। নাই, উদযমের নাহিকো৷ ভাবনা)

এখানে ফবাযে গেছে মাথার অনেক উততেজনা ।

অলম মাছির শবদে ভ'রে থাকে সকালের বিষণন সময,

পথিবীরে মাযাবীর নদীর পারের দেশ ব'লে মনে হয।

সকল পডনত রোদ চারিদিকে ছটি পেযে জমিতেছে এইখানে এসে,

গরীষমের সমদর থেকে চোখের ঘমের গান আসিতেছে ভেসে, এখানে পালঙকে শযে কাটিবে অনেক দিন-__

জেগে থেকে ঘমাবার সাধ ভালোবেসে । « *

এখানে চকিত হ'তে হবেনাকো, তরসত হ'যে পডিবার নাহিকো সময;

উদযমের বযথা নাই__ এইখানে নাই আর উৎসাহের ভয;

এইখানে কাজ এসে জমেন।কো হাতে,

মাথায চিনতার বযথ! হয না জমাতে; ৰ

এখানে সৌনদরয এসে ধরিবে না হাত আর, রাখিবে না চোখ আর নযনের 'পর ;

ভালোবাসা আলিবে না

জীবনত কমির কাজ এখানে ফরাযে গেছে মাথার ভিতর |

অলস ম।ছির শবে ভ'রে থাকে সকালের বিষণন সময, পথিবীরে মাযাবীর নদীর পারের দেশ বলে মনে হয;

সকল পডনত রোদ চারিদিকে ছটি পেযে জমিতেছে এইখানে এসে,

গরীষমের সমদর থেকে চোখের ঘমের গান আসিতেছে ভেসে, এখানে পালককে শযে কাটিবে অনেক দিন জেগে থেকে ঘমাবার সাধ ভালোবেসে

৩৩

কযামপে

এখানে বনের কাছে কযামপ আমি ফেলিমাছি ; সারারাত দখিনা বাতাসে আকাশের চাদের আলোয

এক ঘাইহনপিণীর ভাক শনি-_

কাহারে সে ভাকে!

কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার ; বনের ভিতরে আজ শিকারীবা আসিষাছে,

আমিও তাদের ভরাণ পাই যেন, এইখানে বিছানাকস শষে-শযে

ঘম আর আসেনাকো

বসসতের বাতে।

চারিপাশে বনের বিসময,

€চতরের বাতাস,

জযোতসার শরীরের সবাদ যেন; ঘাইমগী স।রারাত ভাকে ;

কোথাও অনেক নে যেইখানে জযোতনা আর নাই

পরষহরিণ সব শনিতেছে শবদ তার;

তাহ।বা তপেতেছে টের,

আসিতেছে তার দিকে । আজ এই বিসমযের রাতে

তাহাদের পরেমের সময আসিযাছে ;

তাহাদের হদযের বোন

বনের আডাল থেকে তাহ।দের ডাকিতেছে জযোতসায-_-

পিপাসার সাসবনীয__- আভরীণে-__ আমবাদে ; কোথাও বাঘের পাড। বনে আজ নাই আর যেন ;

৩৬

সবগদের বকে আজ কোনে! সপষট ভয নাই,

সনদেহের আবছাযা নাই কিছ রঃ

কেবল পিপাসা আছে, রোমহরয আছে।

গর মখের রপে হযতো! চিতারও বকে জেগেছে বিসমঘ ;

লালসা-আকাজঙষা-সাধ-পরেম-নবপন সফট হযে উঠিতেছে সব দিকে

আজ এই বসনতের রাতে;

এইখানে আমার নকটারন।

একে-একে হরিণের আসিতেছে গভীর বনের পথ ছেডে,

সকল জলের শবধ পিছে ফেলে অনয এক আশবাসের খোজে

দাতের-__ নখের কথ। ভলে গিযে তাদের বোনের কাছে ওই

সনদরী গাছের নিচে: জযোৎসসায

মানষ যেমন ক'রে ভরাণ পেযে আসে তার নোনা মেযেমাচষের কাছে

হরিণেরা আসিতেছে ।

__-তাদের পেতেছি আমি টের

অনেক পাযের শব শোনা যাষ,

ঘাইমগী ভাকিতেছে জযোৎসসায ।

ঘমাতে পারি না আর)

শযে-শযে থেকে

বনদকের শবদ শনি; তারপর বনদকের শবদ শনি।

টারদের আলোষ ঘাইহরিণী আবার ডাকে, এইখানে পণডে থেকে একা-একা

আমার হদযে এক অবসাদ জ'মে ওঠে

বনদকের শবধ শনে-শনে

হরিণীর ডাক শনে-শনে ।

কাল মবগী আসিবে ফিরিযা ; সকালে-__ আলোয তাকে দেখা যাবে-_

৩২

পাশে তার মত সব পরেমিকেরা প'ডে আছে।

মানষেরা শিখাযে দিযেছে তাকে এই সব।

আমার খাবার ডিশে হরিণের মাংসের ভরাণ আমি পাবো,

'*"মাংস-খাওযা হ'লো তব শেষ?

***কেন শেষ হবে?

কেন এই মগদের কথা ভেবে বযথা পেতে হবে তাদের মতন নই আমিও কি?

কোনো এক বসসতের রাতে

_... জীবনের কোনো এক বিসমষের রাতে আমাকেও ভাকেনি কি কেউ এসে জযোৎনসায__ দখিনা! বাতাসে

ওই ঘাইহরিণীর মতো! ?

আমার হদয-_- এক পরষহরিণ__

পথিবীব সব হিংস| ভলে গিষে

চিতার চোখের ভয-_ চমকের কথা সব পিছে ফেলে রেখে «

তোমাকে কি চায নাই ধবা দিতে ? আমার বকের পরেম এ মত মগদের মতো যখন ধলা রকতে মিশে গেছে এই হবিণীব মতো তমি বেচেছিলে নাকি

জীবনের বিমমযের রাতে

কোনো এক বসসতেব রাতে ?

তমিও কাহার কাছে শিখেছিলে। সবত পশদের মতো! আমাদের মাংস লযে আমরাও প'ডে থাকি;

বিযোগের-_- বিযোগের__ মরণের মখে এসে পডে সব এ মত মগদের মতো ।

পরেমের সাহস সাধ সবপন লযে বেচে থেকে বযথা পাই, দবণা-মতয পাই । পাই নাকি?

€ ৩৩

দোনলার শব শনি।

ঘাইমগী ডেকে যায,

আমার হদযে ঘম আসেনাকেো। একা-একা শযে থেকে;

বনদকের শবধ তব চপে-চপে ভলে যেতে হয।

কযামপের বিছানায রাত তার অনয এক কথা বলে;

যাহাদের দোৌনলার মখে আজ হরিণের! ম'রে যাষ

হবিণের মাংস হাড সবাদ তপতি নিযে এলো যাহাদের ভিশে

তাহারা ও তোমার মতন ;

কযামপের বিছানায শযে থেকে শকাতেছে তাদেরো হদয

কথা ভেবে-__ কথ! ভেবে-ভেবে।

এই বযথা__ এই পরেম সব দিকে রযে গেছে-_ কোথাও ফডিডে-কীটে-_ মানষের বকের ভিতরে,

আমাদের সবের জীবনে ।

বসসতের জযোৎনায ওই মবত মগদের মতো আমরা সবাই।

মাঠের গলপ

মেঠো চাদ

মেঠো চারদ রযেছে তাকাযে

আমার মখের দিকে, ডাইনে আর বাযে পোডো জমি-_ খড-_ নাডা_ মাঠের ফাটল,

শিশিরের জল।

মেঠো চাদ-_ কানতের মতো বাকা, চোখা_

চেযে আছে ; এমনি সে তাকাযেছে কতো রাত-_ নাই লেখাজোখা।

৩৪

মেঠো চাদ বলে :

“আকাশের তলে

খেতে-খেতে লালের ধার

মছে চেছে__ ফসল-কাটার সম আপিযা ঘেছে-__ চলে গেছে কবে!

শনয ফলিযা গেছে তমি কেন তবে বযেছো দাডাকে

একা-একা ! ভাইনে আব বাযে খড-নাডা_ পোডো জমি-_ মাঠের ফাটল, শিশিরের জল 1,০০০,

আমি তাবে বলি :£

“ফসল গিযেছে ঢের ফলি,

শসয গিযেছে ঝ'বে কতো

বডো হ'যে গেছ তমি এই বডী পথিবীর মতো ! খেতে- খেতে লাঙলেব ধার

মছে গেছে কততোবার-_ কততোবার ফসল-কাটার

সমম আসিমস! গেছে, চলে গেছে কবে!

শসয ফলিষা গেছে-__ তমি কেন তবে

রযেছে দীডাযে

একা-একা ! ভাইনে অদর বাযে

পোডো জমি-_ খড-নাডা_- মাঠের ফাটল,

শিশিরের জল !,

শেচ।

পরথম ফসল গেছে ঘবে-_

হেমসতের মাঠে-মাঠে ঝরে

শধ শিশিরের জল ; আসরাণের নদীটিব বাসে

হিম হযে আসে

২১৫

বাশপপাতা_- মরা ঘাস-_- আকাশের তার! ;

বরফের মতো! চাদ ঢালিছে ফোযারা ;

ধানখেতে-_- মাঠে

জমিছে ধে।যাটে

ধারালে কযাশা $

ঘরে গেছে চাষা;

ঝিমাযেছে এপথিবী-_

তব পাই টের কার যেন ছটে! চোখে নাই এ-ঘমের কোনো সাধ।

হলদ পাতার ভিডে বসে,

শিশিরে পালক ঘ'ষে-ঘ*ষে,

পাখার ছাযায শাখা ঢেকে,

ঘম আর ঘমসতের ছবি দেখে-দেখে

মেঠো! চাদ আর মেঠো তারাদের সাথে

জাগে এক অভরাণেব পাতে

সেই পাখি;

আজ মনে পডে

সেদিনও এমনি গেছে ঘরে

পরথম ফলল ;

মাঠে-মাঠে ঝরে এই শিশিরের সর,

কাততিক কি অদরাণের রাতরির দপর ; হলরদ পাতার ভিডে বসে, শিশিরে পালক ঘ:ষে-ঘষে,

পাখার ছাযায শাখা ঢেকে,

ঘম আর ঘমসতের ছবি দেখে-দেখে,

মেঠো চাদ আর মেঠো তার।দের সাথে

জেগেছিলো অভরাণের রাতে এই পাখি ।

নদীটির শবাসে সে-রাতেও হিম হ'যে আসে

বাশপাতা-- মরা ঘাস-_- আকাশের তারা,

বরফের মতো চাদ ঢালিছে ফোযারা ;

ধানখেতে মাঠে

জমিছে ধোযাটে

ধারালো কযাশা,

ঘরে গেছে চাষা

ঝিমাযেছে এ-পথিবী, তব আমি পেযেছি যে টের

কার যেন ছটে চোখে নাই এ-ঘমের কোনো সাধ।

পচিশ বছর পরে

শেষবার তার সাথে যখন হযেছে দেখা মাঠের উপবে-__-

বলিলাম-- “একদিন এমন সময

আবার আসিও তমি-_ আসিবার ইচছ! যদি হয__ পচিশ বছর পরে।”

এই বলে ফিরে আমি*আসিলাম ঘরে;

তারপর, কতোবার চাদ আর তার।

মাঠে মাঠে ম'রে গেল, ইছর-পেচারা জযোৎনায ধানখেত খজে

এলো গেল; চোখ বজে

কতোবার ডানে আর বাযে

পডিল ঘমায কতো-কেউ ; রহিলাম জেগে

আমি একা; নকষতর ষে-বেগে

ছটিছে আকাশে তার চেযে আগে চ'লে আমে

৩৭

যদিও সময, পচিশ বছর তব কই শেষ হয !

তারপর-_ একদিন

আবার হলে তণ

ভরে আছে মাঠে,

পাতায, শকনো ডাটে

ভাশিছে কযাশা দিকে-দিকে, চডযের ভাঙা বাসা

শিশিরে গিযেছে ভিজে-_ পথের উপর

পাখির ডিমের খোলা, ঠাণডা কডকড,;

শসাফল-_ ছ-একটা নষট শাদা শসা,

মাকডের ছেডা জাল-_ শকনো মাকডসা

লতায--_- পাতায ;

ফটফটে জযাৎআারাতে পথ চেনা যায;

দেখা যায কযেকটা তারা

হিম আকাশের গায__ ইছর-পেচারা ঘরে যায মাঠে মাঠে, খদ খেযে ওদের পিপাসা আজো মেটে,

পচিশ বছর তব গেছে কবে কেটে !

কাততিক মাঠের চাদ

জেগে ওঠে হদযে আবেগ--

পাহাতডের মতো ওই মেঘ সঙগে লযে আসে

মাঝরাতে কিংবা! শেষরাতের আকাশে

যখন তোমারে,

_-মবত সে পথিবী এক আজ রাতে ছেডে দিলো যারে;

ছেডা-ছেডা শাদা মেঘ ভয পেযে গেছে সব চ*লে

তরাসে ছেলের মতো! আকাশে নকষতর গেছে জ*লে

২৩১৮৮

অনেক সময-_

তারপর তমি এলে, মাঠের শিযবে-_- চাদ ; পথিবীতে আজ আর যা হবার নয, একদিন হযেছে যা-- তারপর হাতছাডা হযে

হারাযে ফরাযে গেছে-_- আজে। তমি তার সবাদ ল;যে আর-একবার তব দাডাযেছে। এসে ! নিডোনো হযেছে মাঠ পথিবীর চারদিকে, শকতের খেত চ'ষে-চ'ষে

গেছে চাষা চলে;

তাদের মাটির গলপ-_ তাদের মাঠের গলপ সব শেষ হ"লে অনেক তবও থাকে বাকি-_

তমি জানেো_ এ-পথিবী আজ জানে তাকি!

সহজ

আমার এ গান

কোনোদিন শনিবে না তমি এসে-_ আজ রাতরে আমার আহবান

ভেসে যাবে পথের বাতাসে,

তবও হদযে গান আসে।

ডাকিবার‌ ভাষা

তবও ভলি না আমি-__ তব ভালে। বাসা

জেগে থাকে পরাণে;

পথিবীর কানে

নকষজের কানে

তব গাই গান;

কোনোদিন শনিবে ন! তমি তাহা, জানি আমি-

২৩৭

আজ রাতরে আমার আহবান

ভেসে যাবে পথের বাতাসে-_

তবও হদযে গান আসে ।

তমি জল, তমি ঢেউ-_ সমদরের ঢেউযের মতন তোমার দেহের বেগ-- তোমার সহজ মন

ভেসে যায সাগরের জলের আবেগে ;

কোন‌ ঢেউ তার বকে গিযেছিলে। লেগে কোন‌ অনধকারে জানে না সে; কোন‌ ঢেউ তারে

অনধকারে খজিছে কেবল

জানে না সে; রাতরির সিনথর জল

রাতরির সিনধর ঢেউ

তমি এক ; তোমারে কে ভালোবাসে ; তোমারে কি কেউ বকে ক'রে রাখে ।

জলের আবেগে তমি চ'লে যাও__ জলের উচছবাসে পিছে ধধ জল তোমারে যে ডাকে ।

তমি শধ একদিন, এক রজনীর ; মানষের-_ মানষীর ভিড তোমারে ভাকিয! লয দরে-_ কতো! দরে__ কোন‌ সমদরের পারে, বনে মাঠে কিংবা যে-আকাশ জডে

উককার আলেযা শধ ভাসে__ কিংবা যে-আকাশে

কানতের মতো বাকা চাদ

জেগে ওঠে-_ ডবে যায-- তোমার পরাণের সাধ তাহাদের তবে;

যেখানে গাছের শাখা নডে শীত রাতে- _ মডার হাতের শাদা হাডের মতন-_

যেইখানে বন

6

আদিম রাতরির জরাণ

বকে ল”যে অনধকারে গাহিতেছে গান--_

তমি সেইখানে । নিঃসঙগ বকের গানে ট

নিশীথের বাতাসের মতো একদিন এসেছিলে,

দিযেছিলে এক বাকতি দিতে পারে যত ।

পাখির!

মে চোখ চায না জডাতে-_ বসকতের বরাতে

বিছানায শযে আছি

- এখন সে কতো! বাত !

ওই দিকে শোন যাক সমনরের সবর, সকাইলাইট মাথার উপর, আকাশে পাখিরা কথা কম পরসপর ।

তারপর চ*লে যায, কোথায আকাশে ? তাদের ভানার ভরাণ চারিদিকে ভাসে ।

শরীবে এসেছে সবাদ বসমভের রাতেও,

চোখ আর চাকস না ঘমাতে ; জানালশর থেকে ওই নকষতরের আলো নেমে আসে,

সাগবেরব জলের বাতাসে

আমার হাদয সসথ হয;

সবাই ঘমাযে আছে সব দিকে-_-

সমকরের এই ধারে কাহাদেন তনোঙরের হযেছে-সময ?

চি?

সাগরের ওই পারে-__- আবে! দর পানে কোনো এক মেরর পাহাডে

এই সব পাখি ছিলো;

পলিজারডের তাডা খেযে দলে-দলে সমবরের 'পর

নেমেছিলো তারা তারপর,

মানষ যেমন তার মবতযর অজঞানে নেমে পডে ।

বাদামী-__ সোনালি-- শাদ1-_ ফটফট ভানার ভিতরে

রবারের বলের মতন ছোটে বকে তাদের জীবন ছিলো-_

যেমন রযেছে মতয লকষ-লকষ মাইল ধরে সমবদরের মখে তেমন অতল সতয হযে।

কোথাও জীবন আছে-_ জীবনের ববাদ রহিযাছে,

কোথাও নদীর জল র+যে গেছে__- সাগরের তিতা ফেনা নয,

খেলার বলের মতো তাদের হদয

এই জানিযাছে ;

কোথাও রযেছে প'ডে শীত পিছে, আশবাসের কাছে

তা"রা আসিযাছে ।

তারপর চ'লে যায কোন‌ এক খেতে ;

তাহার পরিযের সাথে আকাশের পথে যেতে-যেতে

সেকি কথা কয?

তাদের পরথম ডিম জনমিবার এসেছে সময ।

অনেক লবণ ঘেটে সমদরের পাওযা গেছে এ-মাটির ভরাণ,

ভালোবাসা আর ভালোবাসার সমতান,

আর সেই নীড, এই সবাদ গভীর-- গভীর ।

আজ এই বসমতের রাতে

ঘমে চোখ চায না জডাতে;

ওই দিকে শোনা যায সমদরের সবর, সকাইলাইট মাথার উপর, আকাশে পাখিরা কথা কয পরমপর

শকন মাঠ থেকে মাঠে-মাঠে__ সমসত দপর ভ'রে এশিযার আকাশে-আকাশে শকনেরা চরিতেছে ; মানষ দেখেছে হাট খাটি বসতি; নিসতবধ পরাসতর

শকনের ; যেখানে মাঠের দঢ নীরবতা ঈাডাযেছে আকাশের পাশে

আরেক আকাশ যেন-__ সেইখানে শকনের! একবার নামে পরসপর

কঠিন মেঘের থেকে ; যেন দর আলো! ছেডে ধতর কলানত দিকহসতিগণ পণডে গেছে-_ পডে গেছে পথিবীতে এশিযার খেত মাঠ পরাসতরের পর

এই সব তযকত পাখি কযেক মহরত শধ; আবার করিছে আরোহণ

আধার বিশীল ডানা পাম গাছে__- পাহাডের শিঙে-শিঙে সমদরের পাবে ।

একবার পথিবীর শোভ] দেখে, বোমবাযের সাগরের জাহাজ কখন

বনদরের অনধকারে ভিড করে, ছযাখে তাই ; একবার নগিপধ মালাবারে উডে যায-_ কোন‌ এক মিনারের বিমরষ কিনার ঘিরে অনেক শকন

পথিবীর পাখিদের ভলে গিযে চ'লে যায যেন কোন‌ মবতযার ওপারে)

ষেন কোন‌ বৈতরণী অথবা এ-জীবনের বিচছেদের বিষণন লেগন কেদে ওঠে-*-চেযে গযাখে কখন গভীর নীলে মিশে গেছে সেই সব হন ।

৪৩

সবপনের হাতে

পথিবীর বাধা-__ এই দেহের বযাঘাতে

হদযে বেদনা জমে ; সবপনের হাতে

আমি তাই আমারে তলিযা! দিতে চাই । যেই সব ছাযা এসে পডে দিনের রাতের ঢেউযে__ তাহাদের তবে

জেগে আছে আমার জীবন ;

সব ছেডে আমাদের মন

ধরা দিতো যদি এই সবপনের হাতে

পথিবীর রাত আব দিনের আঘাতে

বেদনা পেত না তবে কেউ আবর-_

থাকিত না হদযের জরা-_

সবাই সবপরের হাতে দিতো যদি ধরা।

আকাশ ছাকষীর ঢেউযে ডেকে,

সারা দিন-_ সারা বাজি অপেকষায থেকে,

পথিবীর ষত বযথা বিরোধ-_ বাসতব

হদয ভলিযা যায সব;

চাহিযাছে অসতর যে-ভাষা,

যেই ইচছা__ যেই ভালোবাসা | খজিযাছে পথিবীর পীবে-পাবে গিযা

নবপপে তাহা সতয হওযে উঠেছে ফলিযা ।

মরমের যত তষণা আছে-__

তারি খোজে-ছাযা আব সবপনের কাছে

তোমরা চলিযা এসো

তোমরা চলিযা এসো সব!

ভলে যাও পথিবীর ওই বযথা-_ বযাঘাত-_ বাসতব! সকল সময

গ5

হবপর-_ শধ সবপন জনম লয যাদের অসতরে,

পরসপনে যাবা হাত ধনে

নিবালা ঢেউযের পাশে-পাশে-_

গোধলির অসপষ আকাশে ষাহাদের আকাজকার জনম__ সবতয-_ সব-_

পথিবীর দিন আর বাতরির বব

শোনে না তাহারা ;

সনধযার নদীর জল-_ পাথরে জলেব ধাবা

আযনার মতে! জাগিযা উঠিছে ই-তমততত তাহাদের তরে ।

তাদের অসতরে

সবপ, শধ সবপর জনম লয

সকল সময***

পথিবীর দেগজালের "পরবে

আকাবাকা অসংখয অকষরে

একবার লিখিযীছি অসতরের কথা সে-সব বযরথতা!

আলো আর অনধকারে গিযাছে মছিযা ;

দিনের উজজবল পথ ছেডে দিযে ধসর সবপরের দেশে গিযা হদযের আকাতকার নদী

ঢেউ তলে তপতি পায__ ঢেউ তলে তপতি পায ঘদদি,

তবে ওই পথিবীর দেযালের "পরে লিখিতে যেও না তমি অসপষট অকষরে অসতবেব কথা ;

আলো আর অনধকারে মছে ষায সে-সব বযরথতা ।

৪ ৫

পথিবীর ওই অধীরতা থেমে যায_- আমাদের হদযের বযথা

দরের ধলোর পথ ছেডে

তবপলেরে__ ধযানেরে

কাছে ডেকে লয;

উজজল আলোর দিন নিভে যায,

মানষেরো। আয শেষ হয।

পথিবীর পরানো সে-পথ মছে ফেলে রেখা তার-__

কিনত এই সবপনের জগৎ

চিরদিন রয!

সমযের হাত এসে মছে ফেলে আর সব--

নকষতরেরো আম শেষ হয!

ধান কাটা হযে গেছে

ধান কাটা হ'যে গেছে কবে যেন-__ খেতে মাঠে পডে আছে খড

পাত! কটো! ভাড। ডিম-_- সাপের খোলস নীড শীত।

এই সব উতরাযে ওইখানে মাঠের ভিতর

ঘমাতেছে কযেকটি পরিচিত লোক আজ-_ কেমন নিবিড।

ওইখানে একজন শযে আছে__ দিনরাত দেখা হ'তো কতো! কতো! দিন, হদযের খেল! নিযে তার কাছে করেছি যে কতো! অপরাধ ; শাসতি তব: গভীর সবজ ঘাস ঘাসের ফডিং

আজ ঢেকে আছে তার চিনতা আর জিজঞাসার অনধকার সবাদ ।

6৩

পথ হাটা

কি এক ইশার! যেন মনে রেখে একা-একা শহরের পথ থেকে পথে

অনেক হেটেছি আমি ; অনেক দেখেছি আমি টরাম-বাস সব ঠিক চলে;

তারপর পথ ছেডে শানত হযে চ'লে যায তাহাদের ঘমের জগতে :

সারা রাত গযাসলাইট আপনার কাজ বঝে ভালো ক'রে জলে । কেউ ভল করেনাকো-_- ইট বাডি সাইনবোরড জানালা কপাট ছাদ সব চপ হ'যে ঘমাবার পরযোজন বৌধ করে আকাশের তলে।

এক1-একা পথ হেটে এদের গভীর শাসতি হদযে করেছি অনভব;

তখন অনেক রাত-_ তখন অনেক তারা মনমেণট মিনারের মাথা

নিরজনে ঘিরেছে এসে ; মনে হয কোনোদিন এর চেযে সহজ সমভব

আর-কিছ দেখেছি কি : একরাশ তারা-আর-মহথমেণট-ভরা! কলকাতা ?

চোখ নিচে নেমে যায__ চরট নীরবে জলে__ বাতাসে অনেক ধলো খড; চোখ বজে একপাশে স'রে যাই-_ গাছ থেকে অনেক বাদামী জীরণ পাতা

উডে গেছে; বেবলিনে একা-একা এমনই হেটেছি আমি রাতের ভিতর

কেন যেন; আজো আমি জানিনাকে হাজার-হাজার বযসত বছরের পর।

6৭

বনলতা সেন

হাজার বছর ধ'রে আমি পথ হাটিতেছি পথিবীর পথে,

সিংহল সমদর থেকে নিশীথের অনধকারে মালয সাগরে

অনেক ঘরেছি আমি; বিশবিসার অশোকের ধসর জগতে

সেখানে ছিলাম আমি; আরো! দর অনধকারে বিদরভ নগরে; আমি করানত পরাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমদর সফেন,

আমারে ছ-দণড শানতি দিযেছিলো নাটোরের বনলতা সেন।

চল তার কবেকার অনধকার বিদরিশার নিশা, মখ তার শরাবনতীর কারকারয; অতিদর সমবরের "পর

হাল ভেঙে যে-নাবিক হারাযেছে দিশা

সবজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারচিনি-ঘবীপের ভিতর,

তেমনি দেখেছি তারে অনধকারে ; বলেছে সে, “এতরদিন কোথায ছিলেন ?

পাখির নীডের মতো! চোখ তলে নাটোরের বনলতা সেন।

সমসত দিনের শেষে শিশিরের শবদের মতন সনধয| আসে; ডানার রৌদরের গনধ মছে ফেলে চিল) পথিবীর সব রং নিভে গেলে পাওলিপি করে আযোজন তখন গলপের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল; , সব পাখি ঘরে আসে-_ সব নদী-_- ফরায এজীবনের সব লেনদেন; থাকে শধ অনধকার, মখোমখি বসিবার বনলতা! সেন।

গিডি

আমাকে তমি

আমাকে

তমি দেখিযেছিলে একদিন :

মসত বডো মযদান-_ দেবদার পামের নিবিড মাথা: মাইলের পর মাইল দপরবেলার জনবিরল গভীর বাতাস

দর শনযে চিলের পাটকিলে ডানার ভিতর অসপষট হ'যে হারিযে যায)

জোযারের মতো! ফিরে আসে আবার;

জানালায-জানালায অনেককষণ ধ'রে কথা বলে :

পথিবীকে মাযাবীর নদীর পারের দেশ ঝলে মনে হয।

তারপর

দরে

অনেক দরে

খরবৌদরে পা ছডিযে বযাযসী রপসীর মতো ধান ভানে-_ গান গায_-গান গায এই দপরের বাতাস।

এক-একটা দপরে এক-একটা পরিপরণ জীবন অতিবাহিত হ'যে যায যেন।

বিকেলে নরম মহরত)

নদীর জলের ভিতর শনবর, ননীলগাই, হরিণের ছাযার আসা-যাওয!। একটা ধবল চিতল-হরিণীর ছাযা

আতার ধসর কষীরে-গড! মতির মতে! নদীর জলে

সমসত বিকেলবেল! ধ'রে

সথির ।

মাঝেমাঝে অনেক দর থেকে শমশানের চনদনকাঠের চিতার গনধ, আগনের-_- ঘিযের ঘরাণ;

বিকেলে

অসমভব বিষণনতা ।

ণ ৪৪৯

ঝাড হরিতকী শাল, নিভনত তরষে

পিযাশাল পিযাল আমলকী দেবদার-_

বাতাসের বকে সপহা, উৎসাহ, জীবনের ফেনা;

শাদ1 শাদাছিট কালে পাযর।র ওডাউডি জযোতসায-_ ছাযায,

রাতরি;

নকষতর ও নকষতরের

অতীত নিসতবধতা ।

মরণের পরপারে বডো অনধকার

এই সব আলো পরেম ও নিরজনতার মতো ।

তমি নকষতরের চলাফেরা ইশারায চারিদিকে উজজবল আকাশ ;

বাতাসে নীলাভ হ"যে আসে যেন পরাসতরের ঘাস;

কাচপোকা ঘমিযেছে-_ গঙগাফডিং সে-ও ঘমে ; আম নিম হিজলের বযাপতিতে পসডে আছো তমি ।

“মাটির অনেক নিচে চ'লে গেছো! ? কিংবা দর আকাশের পাবে তমি আজ? কোন‌ কথা ভাবছো আধারে ?

ওই যে ওখানে পাযরা এক ভাকে জামিরের বনে : মনে হয তমি যেন ওই পাখি-__ তমি ছাডা সমযের এ-উদভাবনে

আমার এমন কাছে-__ আশবিনের এত বডো অকল আকাশে

আর কাকে পাবো এই সহজ গভীর অনাযাসে__+ বলতেই নিখিলের অনধকার দরকারে পাখি গেল উডে

পরকতিসথ পরকতির মতো শবে-_ পরেম অপরেম থেকে দরে ।

৫৭

অনধকার

গভীর অনধকারের ঘম থেকে নদীর চছল চছল শবদে জেগে উঠলাম আবার ) তাকিযে দেখলাম পাওর টাদ বৈতবণীর থেকে তার অরধেক ছায।

গটিযে নিযেছে যেন

কীতিনাশীর দিকে ।

ধানসিডি নদীর কিনারে আমি শযেছিলাম__ পউষের রাতে__

কোনোদিন আর জাগবো না জেনে কোনোদিন জাগবো না আমি-_- কোনোদিন জীগবো না আবর-_

হে নীল কসতরী আভার চাদ, ৰ

তমি দিনের আলো নও, উদযম নও, সবপন নও,

হদযে যে মতযর শানতি ও সথিরতা রযেছে রযেছে যে অগাধ ঘম

সে-আনব।দ নষট করবার মতো! খেলতীবরতা! তোমার নেই,

তমি পরদাহ পরবহমান যনতরণা নও

জানো না কি চাদ,

নীল কসতরী আভার চাদ,

জানো না কিএনিশীথ,

আমি অনেক দিন-_ অনেক অনেক দিন

অনধকারের সারাৎসারে অননত মতযর মতো! মিশে থেকে হঠাৎ ভোরের আলোর মরখ উচছবাসে নিজেকে পথিবীর জীব ব'লে

বঝতে পেরেছি আবার;

ভয পেযেছি,

পেযেছি অশীম ছনিবার বেদনা;

দেখেছি রকতিম আকাশে সরয জেগে উঠে

মানধিক সৈনিক সেজে পথিবীর মখোমখি দীডাবার জনয আমাকে নিরদেশ দিযেছে ;

আমার সমসত হদয তবণায-_ বেদনায-- আকরোশে ভ'রে গিযেছে ।

৫১

সরযের রৌদরে আকরানত এই পথিবী যেন কোটি-কোটি শযোধের আরতনাদে উৎসব শর করেছে।

হায, উতসব!

হদযের অবিরল অনধকারের ভিতর সরযতক ডবিযে ফেলে

আবার ঘমোতে চেযেছি আমি,

অনধকারের সতনের ভিতর যোশির ভিতর অননত মতযর মতো মিশে থাকতে চেযেছি।

হে নর, হে নারী, তোমাদের পথিবীকে চিনিনি কোনোদিন;

আমি অনয কোনো নকষতরের জীব নই। যেখানে সপনদন, সতঘরষ, গতি, যেখানে উদযম, চিনতা, কাজ,

সেখানেই সথয, পথিবী, বহসপতি, কালপরষ, অনসত আকা শগরনথি, শত-শত শকরের চিৎকার সেখানে, শত-শত শকরীর পরমববেদনার আডমবর; এই সব ভযাবহ আরতি !

গভীর অনধকারের ঘমের আমবাদে আমার আতমা লালিত; আমাকে কেন জাগাতে চাও?

হে সমযগরনথি, হে সথষ, হে মাঘনিশীথের কে।কিল, হে সমতি, হে হিম হাওযা,

আমাকে জাগাতে চাও কেন।

অরব অনধকারের ঘম থেকে নদীর চছল চছল শবদে জেগে উঠবো না আর; তাকিনে দেখবে! না নিরজন বিমিশর টাদ বৈতরণীর থেকে

অধেক ছাযা গটিযে নিযেছে

কীততিনাশার দিকে ।

ধানসিডি নদীর কিনারে আমি শযে থাকবো__ ধীরে-_ পউযের রাতে-_ কোনোদিন জাগবো না জেনে__

কোনোদিন জাগবো না আমি কোনোদিন আর।

৫২

হরঞজন।

সববঞজনা, আজে তমি আমাদের পথিবীতে আছো; পথিবীর বযসিনী তমি এক €মযের মতন ;

কালো চোখ মেলে ওই নীলিম। দেখেছো)

গরীক হিনদ ফিনিশিয নিযমের বড আযে।জন

শনেছে। ফেনিল শবদে তিলোভতমানগরীর গাযে

কী চেযেছে? কী পেযেছে? __গিযেছে হারাযে ।

বযস বেডেছে ঢেব নরনারীদের

ঈষৎ নিভেছে সরয নকষতরের আলো;

তবও সমদর শীল; ঝিশকের গাযে আলপন। ;

একটি পাখির গান কী রকম ভালো ।

মানছষ কাউকে চায-_ তার সেই নিহত উজজল ঈশবরের পরিবরতে অনত কোনে! সাধন'র ফল ।

মনে পডে কবে এক তারাভরা রাতের বাতাসে

ধরমশাশোকের ছেলে মহেকদরের সাথে

উতরোল বডো সাগরের পথে অনতিম আকাজক। নিযে পরাণে

তবও কাউকে আমি পারিনি বোঝাতে

সেই ইচছা সঙঘ নয শকতি নয করমীদের সধীদের বিবরণতা নয, আরো আলো : মানষের তরে এক মানরধীর গভীর হদয ।

যেন সব অনধকার সমদরের কলাসত নাবিকেরা

মকষিকার গগনের মতো এক বিহবল বাতাসে

ভমধযসাগরলীন দর এক সভযতার থেকে

আজকের নব সভযতায ফিরে আসে ;

তমি সেই অপরপ সিনধ রাতরি সতরের রোল দেহ দিযে ভালোবেসে, তব আজ ভোরের কললোল ।

৫২৩

সবিতা

সবিতা, মাচষজনম আমরা পেযেছি

মনে হয কোনো এক বসনভের রাতে : ভমধযসাগর ঘিরে যেই সব জাতি,

তাহাদের সাথে সিনধর আধার পথে করেছি গঞচন ; মনে পডে নিবিড মেরন আলো, মকতার শিকাবী

বেশম, মদের সারথবাহ,

ছধের মতন শাদা নারী ।

অনসত বৌদের থেকে তার!

শাশবত রাতরির দিকে তবে

সহসা বিকেলবেল। শেষ হযে গেলে

চ*গলে যেত কেমন নীরবে ।

চারিদিকে ছাযা শম সমতষি নকষতর ;

মধযযগের অবসান

সথির করে দিতে গিযে ইওরোপ আীস হতেছে উজজল খরীষটান ।

তবও অতীত থেকে উঠে এসে তমি আমি ওরা-

সিনধর রাতরির জল জানে

আধেক তেতাম নব পথিবীর দিকে ;

কেমন অননযোপায হাওযার আহবানে

আমরা অকল হ+যে উঠে

মাহষকে মানষের পরযনাসকে অরদধা করা হবে

জেনে তব পথিবীর মবত সভযতায €হেতাম তো সাগরের লিগধ কলরবে।

৫৪.

এখন অপর আলো পথিবীতে জবলে ;

কি এক অপবযকী অকরাসত আগন ।

০তোমীর নিবিড কালো চলের ভিতরে কবেকার সমদরের জন,

তোমার মখের রেখ আজো!

সবত কতো পৌততলিক খরীষটান সিনধর অনধকার থেকে এসে নব সরষে জাগার মতন ;

কতো কাছে-_ তব কতে। দর ।

হকচেতনা

কচেততনা1, তমি এক দরতর দবীপ বিকেলের নকষতরের কাছে ;

সেইখানে দারচিনি-বনানীর ফাকে

নিরজনতা আছে ।

এই পথিবীর রণ রকত সফলতা! সতয ঃ তব শেন সতয নয ।

কলকাতা একদিন কলোলিনী তিলোতমা হবে

তবও তোমার কাছে আমার হদয।

আজকে অনেক বড বৌকদে ঘরে পরাণ পথিবীর মানষকে মাকষের মতো! ভালোবাসা দিতে গিযে তব

(দেখেছি আমারি হাতে হযতো নিহত ভাই বোন বনধ পরিজন পশডে আছে পথিবীর গভীর গভীবরতর অকষখ এখন ;

মাজষ তবও খণী পথিবীরই কাছে ।

£কবলি জাহাজ এসে আমাদের বনদরের রোদে

দেখেছি ফসল নিযে উপনীত হয

৫ ৫

সেই শসত অগণন মানষের শব; শব থেকে উৎসারিত ববরণের বিমময আমাদের পিতা বদধ কনফশিযসের মতো আমাদেরে পরাণ

মক ক'রে রাখে ; তব চারিদিকে রকতকলানত কাজের আহবান।

সচেতনা, এই পথে আলো জবেলে-_ এ-পথেই পথিবীর করমমকতি হবে;

সে অনেক শতাবদীর মনীধীর কাজ; এ-বাতাস কি পরম সরযকরোজজল ;

পরায তত দর ভালে মীনব-সমাজ

আমাদের মতো৷ কলানত কলানতিহীন নাবিকের হাতে

গ'ডে দেবো, আজ নয, ঢের দর অনতিম পরভাতে ।

মাটি-পথিবীর টানে মানবজনমের ঘরে কখন এসেছি, না! এলেই ভালো হতো! অনভব ক'রে;

এসে যে গভীরতর লাভ হ'লে। সে-সব বঝেছি

শিশির শরীর ছযে সমজজল ভোরে; দেখেছি যা হলো হবে মানষের যা হবার নয-_

শাশবত রাতরির বকে সকলি অননত সথযোদয ।

আবহমান

পথিবী এখন করমে হতেছে নিঝম। সকলদেরই চোখ করমে বিজডিত হ'যে ষেন আসে; যদিও আকাশ সিনধ ভরে গেল অগনির উললাসে ; যেমন যখন বিকেলবেল কাটা হয খেতের গোধম

চিলের কাননার মতো শবদ ক'রে মেঠো ইছরের ভিড ফসলের ঘম

গাঢ ক'রে দিযে যায। _-এইবার কযাশায যাতরা সকলের। সমদরের রোল থেকে একটি আবেগ নিযে কেউ নদীর তরঙে__ করমে-_ তষারের সত,পে তার ঢেউ

€৩৬

একবার টের পাবে-_- দবিতীয বারের

সময আসার আগে নিজেকেই পাবে না সে টের

এইখ।নে সমযকে যতদর দেখা যায চোখে নিজন খেতের দিকে চেযে দেখি দীডাযেছে অভিভত চাষা ;

এখনো চালাতে আছে পথিবীর পরথম তামাশা

সকল সময পান ক'রে ফেলে জলের মতন এক ঢেকে;

অনতর।ণের বিকেলের কমল! আলোকে

৯*সডানো খেতের কাজ ক'রে যায ধীরে; একটি পাখির মতো ডিনামাইটের "পরে বসে।

পথিবীর মহততর অভিজঞতা নিজের মনের মদরাদোষে

নষট হ'যে খসে যায চারিদিকে আমিষ তিমিরে ;

সোনালি সরষের সাথে মিশে গিযে মানষটা আছে পিছ কিরে।

ভোরের সটিক রৌকছে নগরী মলিন হ'যে আসে । মানষের উৎসাহের কাছ থেকে শর হলে মানষের বততি আদায।

যদি কেউ কানাকডি দিতে পারে বকের উপরে হাত রেখে তবে সে পরেতের মতো! ভেসে গিযে সিংহদরজায

আঘাত হানিতে গিযে মিশে যায অনধকার বিশবের মতন |

অভিভত হ'যে আছে-_ চেযে ছযাখে।__ বেদনার নিজের নিযম ।

নেউলধসর নদী আপনার কাজ বঝে পরবাহিত হয;

জলপাই-অরণযের ওই পারে পাহাডের মেধাবী নীলিমা;

ওই দিকে সপটি যেন উষণ সথির পরেমের বিষয ;

পরিযের হাতের মতো লেগে আছে ঘডির সময ভলে গিযে

আকাশের পরসারিত হাতের ভিতরে ।

সেই আদদি অরণির যগ থেকে শর ক'রে আজ

অনেক মনীষা, পরেম» নিমীল ফসলরাশি ঘরে

৮ ৫৭

এসে গেছে মানষের বেদনা ও সংবেদনাময।

পথিবীর রাজপথে__ রকতপথে_- অনধকার অববাহিকায

এখনো মানষ তব খোডা ঠযাডে তৈমরের মতো বার হয। তাহার পাযের নিচে তণের নিকটে তণ মক অপেকষায;

তাহার মাথার "পরে সথয, সবাতী, সরমার ভিড;

এদের নতযের রোলে অবহিত হযে থেকে করমে একদিন

কবে তার কষদর হেমনতের বেলা হবে নিসরগের চেযেও পরবীণ ?

চেযেছে মাটির দিকে-_ ভগরভে তেলের দিকে

সমসত মাথার ঘাম পাযে ফেলে অবিরল যারা,

মাথার উপরে চেযে দেখেছে এবার;

দরবীনে কিমাকার সিংহের সাডা পাওযা যায শরতের নিরমেঘ রাতে ।

বকের উপরে হাত রেখে দেয তা'রা।

যদিও গিযেছে ঢের কযারাভান মরে,

মশালের কেরোসিনে মানষের অনেক পাহারা

দিযে গেছে তেল, সোনা, কযল! ও রমণীকে চেযে ;

চিরদিন এই সব হদয ও রধিরের ধারা।

মাটিও আশচরয সতয । ডান হাত অনধকারে ফেলে

নকষতরও গরামীণিক; পরলোক রেখেছে সে জেলে;

অনত সে আমাদের মতযকে ছাডা ।

মোমের আলোয আজ গরনথের কাছে ব'সে-- অথবা ভোবের বলো নদীর ভিতরে

আমরা তটা দর চ'লে যাই-_ চেযে দেখি আরো-কিছ আছে তারপরে । অনিরদিঘ আকাশের পানে উডে হবিযাল আমারে বিবরে

ছাযা ফেলে। ঘরোনে! সি'ডির পথ বেযে যারা! উঠে যায ধবল মিনারে, কিংবা যারা ঘমসতের মতো! জেগে পাযচারি করে সিংহদবারে,

অথবা! যে-সব থাম সমীচীন মিসতরির হাত থেকে উঠে গেছে বিদযতের তারে,

তাহারা ছবির মতো! পরিতপত বিবেকের রেখায রযেছে অনিমেষ |

৫৮

ইযতো অনেক এগিযে তা'রা দেখে গেছে মানষের পরম আমর পারে শেষ জলের বঙের মতো সবচছ রোদে একটিও বোলতার নেই অবলেশ।

তাই তা'র৷ লোষটের মতন সতবধ । আমাদেরো জীবনের লিপত অভিধানে বরজইস অকষরে লেখা আছে অনধকার দলিলের মানে । সষটির ভিতরে তব কিছই দীরঘতম নয__ এই জঞানে লোকসানী বাজারের বাকসের আতাফল মারীগটিকার মতো পেকে

নিঙগের বীজের তরে জোর ক"রে সরযকে নিযে আসে ডেকে ।

অকতরিম নীল আলো খেল! করে ঢের আগে মত পরেমিকের শব থেকে ।

একটি আলোক নিযে বসে থাক! চিরদিন ;

নদীর জলের মতো সবচছ এক পরতযাশাকে নিযে)

সে-সবের দিন শেষ হযে গেছে

এখন সথটির মনে-_ অথবা মনীষীদের পরাণের ভিতরে ।

সথটটি আমাদের শত শতাবীর সাথে ওঠে বেডে।

একদিন ছিলো যাহা অরণযের রোদে-_ বালচরে,

সে আজ নিজেকে চেনে মানষের হদযের পরতিভাকে নেডে ।

আমর! জটিল ঢের হ'যে গেছি__ বহদিন পরাতন গরহে বেচে থেকে।

যদি কেউ বলে এসে : “এই সেই নারী,

একে তমি চেযেছিলে ; এই সেই বিশদধ সমাজ তবও দরপণে অগরি দেখে কবে ফরাযে গিযেছে কার কাজ?

আমাদের মতয নেই আজ আর, যরদিও অনেক মতযপরমপরা ছিলো ইতিহাসে ; বিসতত পরাসাদে তা'র৷ দেযালের অবলঙ ছবি;

নানারপ কষতি কষযে নান! দিকে ম'রে গেছি-__ মনে পডে বটে

এই সব ছবি দেখে ; বনদীর মতন তব নিসতবধ পটে নেই কোনো! দেবদতত, উদযন, চিতরসেনী সথান।

এক দরজায ঢকে বহিদকত হ'যে গেছে অনয এক দযাবের দিকে

অমেয আলোয হেটে তা'রা সব।

৫৯

(আমাদের পরবপরষের কোন‌ বাতাসের শবদ শনেছিলো ) তারপর হযেছিলো পাথরের মতন নীরব ?)

আমাদের মণিবনধে সমযের ঘডি

কাচের গেলাসে জলে উজজবল শকরী ;

সমদরের দরিবারৌদরে আরকতিম হাঙরের মতো; তারপর অনয গরহ নকষতরের আমাদের ঘডির ভিতরে

যা হযেছে, য! হতেছে, অথবা যা! হবে সব এক সাথে পরচারিত করে।

সথির নাডীর 'পরে হাত রেখে টের পাওযা যায

অসমভব বেদনার সাথে মিশে রযে গেছে অমোঘ আমোদ;

তব তারা করেনাকো পরমপরের ধণশোধ।

ভিখিরী

একটি পতরসা আমি পেযে গেছি আহিরীটোলার, একটি পযসা আমি পেযে গেছি বাছডবাগানে,

একটি পযসা যদি পাওযা যায আরো-_ তবে আমি হেটে চ'লে যাবো মানে-ঘানে | --বলে সে বাডাযে দিলো অনধকারে হাত ।

আগাগোডা শরীরটা! নিযে এক কানা যেন বনে যেতে চেযেছিলো! তাত তবও তা সথলে! শাখারীর হাতে হযেছে করাত।

একটি পযসা আমি পেযে গেছি মাঠকোটা ঘরে, একটি পযস। আমি পেযে গেছি পাখরিযাঘাটা।

একটি পযসা যদি পাওযা যায আরো__ তা হ'লে টেকির চাল হবে কলে ছাটা। _ব'লে সে বাডাযে দিলো গযাসলাইটে মখ ।

ভিডের ভিতরে তব__ হারিসন রোডে-_ আরো! গভীর অনথখ, এক পথিবীর ভল ; ভিখিরীর ভলে : এক পথিবীর তলচক।

তোমাকে

একদিন মনে হ'তো জলের মতন তমি । সকালবেলার রোদে তোমমর মখের থেকে বিভা-_ অথবা ছপরবেলা-_ বিকেলের আসনন আলোয-_

চেযে আছে-- চ'লে যায__ জলের পরতিভা |

মনে হ'তো তীরের উপরে বসে থেকে । আবিষট পকর থেকে সিঙাডার ফল কেউ-কেউ তলে নিযে চ*লে গেলে-_ নিচে তোমার মখের মতন অবিকল

নিন জলের রং তাকাযে রযেছে ;

সথানানতরিত হযে দিবসের আলোর ভিতরে

নিজের মখের ঠাগ। জলবরেখা নিযে পনরায শটাম পরগাছ! সষটি করে;

এক পথিবীর রকত নিপতিত হযে গেছে জেনে এক পথিবীর আলে সব দিকে নিভে যায ব'লে

রঙিন সাপকে তার বকের ভিতরে টেনে নেয ;

অপরাহে আকাশের রং ফিকে হলে ।

তোমার বকের 'পরে আমাদের পথিবীর অমোঘ সকাল ঃ তোমার বকের "পরে আমাদের বিকেলের রকতিল বিশযাস ৮.

তোমার বকের পরে আমাদের পথিবীর রাত :

নদীর সাপিনী, লতা বিলীন বিশবাস ।

৬১

হাজার বছর শধ খেলা করে

হাজার বছর শধ খেল। করে অনধকারে জোনাকির মতো :

চারিদিকে পিরামিড-_ কাফনের জণ ; বালির উপরে লযোতসসা__ খেজর-ছাযার1 ইতততত

বিচরণণ থামের মতো : এশিরিয__ দীডাযে রযেছে মত, জান ।

শরীরে মমির ঘরাণ আমাদের -_- ঘচে গেছে জীবনের সব পেনদেন ; “মনে আছে ?” সধালো সে-_ সথধালাম আমি শধ, বনলত। সেন

শব

যেখানে রপালি জযোতসা ভিজিতেছে শরের ভিতর, যেখানে অনেক মশ। বানাযেছে তাহাদের খর ;

যেখানে সোনালি মাছ খটে-খটে খায

সেই সব নীল মশা মৌন আকাজফায ; নিরজন মাছের রঙে যেইখানে হ'যে আছে চপ পথিবীর একপ।শে একাকী নদীর গাঢ রপ;

কানতারের একপাশে যে-নদীর জল

বাবল! হোগল। কাশে শযে-শযে দেখিছে কেবল

বিকেলের লাল মেঘ ; নকষতরের রাতের আধারে

বিরাট নীলাভ খোপা নিযে যেন নারী মাথা নাডে

পথিবীর অনয নদী; কিনত এই নদী

রাঙা মেঘ-_ হলদ-হলদ জযোহআা; চেযে ছযাখে। যদি; অনত সব আলো আর অনধকার এখানে ফরালো ; লাল শীল মাছ মেঘ-_ কান নীল জযোতসার আলো!

এইখানে ; এইখানে মণালিনী ঘোষালের শব

ভাসিতেছে চিরদিন : নীল লাল রপালি নীরব ।

হায চিল

হার চিল, সোনালি ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দপরে তমি আর কেদোন।কো উডে-উডে ধানসিডি নদীটির পাশে! তোমার কামার সথরে ধেতের ফলের মতে। তার কান চোখ মনে আসে; পথিবীর রাঙা রাজকনযাদের মতো সে যে চলে গেছে রপ নিযে দরে; আবার তাহারে কেন ডেকে আনো? কে হায হদয খ'ডে ‌

বদেন! জাগাতে ভালোবাসে ।

হায চিল, সোনালি ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দপরে

তমি আর উডে-উডে কেদোনাকো ধানসিডি নদীটির পাশে ।

সিনধসারস

দ-এক মহরত শধ রৌদরের পিককর কোলে তমি আর আমি হে সিনধসারস,

মালাবার পাহাডের কোল ছেডে অতি দর তরঙগের জানালায নামি

নাচিতেছ টারানটেলা_ বহসতের ; আমি এই সমদরের পারে চপে থামি চেযে দেখি বরফের মতো! শাদা ডান ছটি আকাশের গায

ধবল ফেনার মতো নেচে উঠে পথিবীবে আননদ জানায ।

মছে যায পাহাডের শিডে-শিঙে গধিনীর অনধকার গান,

আবার ফরায রাতরি, হতাশবাস; আবার তোমার গান করিছে নিরমীণ

নতন সমদর এক, শাদা রৌদর, সবজ ঘাসের মতো পরাণ পথিবীর কলানত বকে ; আবার তোমার গান শৈলের গহবর থেকে অনককার তরঙগেরে করিছে আহবান ।

জানো কি অনেক যগ চ'লে গেছে? ম'রে গেছে অনেক নপতি ?

অনেক সোনার ধান ঝ'রে গেছে জানো না কি? অনেক গহন কষতি

আমাদের কলাসত ক'রে দিযে গেছে-_ হারাযেছি আননদের গতি ;

৬৩

ইচছা, চিনতা, সবপন, বযথা, ভবিষযৎ, বরতমান-_ এই বরতমান

হদযে বিরস গান গ।হিতেছে আমাদের-_ বেদনার আমর। সনতান ৮ -

জানি পাখি, শাদা পাখি, মালাবার ফেনার পসতান,

তমি পিছে চাহোনাকো, তোমার অতীত নেই, সথতি নেই, বকে নেই আকীরণ ধসর পালিপি পথিবীর পাখিদের মতো নেই শীতরাতে বযথা আর কযাশার ঘর।

যে-রকত ঝরেছে তারে সবপনে বেধে কলপনার নিঃসঙগ পরভাত

নেই তব; নেই নিমনভমি-- নেই আননদের অনতরালে পরশন আর চিনতার আঘাত।

সবপন তমি গযাখোনি তো-- পথিবীর ব পথ সব সিনধ ছেডে দিযে একা বিপরীত দবীপে দরে মাযাবীর আরশিতে হয শধ দেখা রপসীর সাথে এক; সনধযার নদীর ঢেউযে আসনন গলপের মতো! রেখা পরাণে তার-- মলান চল, চোখ তার হিজল বনের মতে| কালে।; একবার সবপনে তারে দেখে ফেলে পথিবীর সব সপষট আলো

নিভে গেছে ; যেখানে সোনার মধ ফরাযেছে, করে না বনন

মাছি আর; হলদ পাতার গনধে ভ'রে ওঠে অবিচল শালিকের মন, মেঘের দপর ভাসে-_ সোনালি চিলের বক হয উনমন মেঘের দপরে, আহ ধানদিডি নদীটির পাশে) সেখানে আকাশে কেউ নেই আর, নেই আর পথিবীর ঘাসে ;

তমি সেই নিসতনকতা চেনোনাকো ; অথব! রকতের পথে পথিবীর ধলির ভিতরে জানোনীকো! আজে কাঞচী বিদিশার মখী মাছির মতো ঝরে;

সৌনদরয রাখিছে হাত অনধকার কষধার বিবরে গভীর নীলাভতম ইচছা চেষটা মানগষের-_ ইনদরধনত ধরিবার কলাসত আযোজন হেমনতের কযাশায ফরাতেছে অলপপরাণ দিনের মতন ।

এই সব জানোনাকে পরবালপঞজর ঘিরে ডানার উললাসে;

রৌদরে ঝিলমিল করে শাদা ডানা শাদা ফেনা-শিশদের পাশে হেলিওকরৌোপের মতো দপরের অসীম আকাশে !

৬৪

বিঘ. $: পর রৌদরে বরফের মতো শাদা ডানা, যদি %।থবীর সবপন চিনতা সব তার অচেনা অজানা ।

চঞচল শরের নীডে কবে তমি_* জনম তমি নিযেছিলে কবে, কষন পথিবী ছেডে দলে-দলে নেমেছিলে সবে

আরব সমদরে, আর চীনের সাগরে-_ দর ভারতের সিনধর উৎসবে। শীতারত এপথিবীর আমরণ চেষটা কলানতি বিহবলতা ছি'ডে

নেমেছিলে কবে নীল সমদরের নীডে ।

ধানের রসের গলপ পথিবীর-_ পথিবীর নরম অতরাণ পথিবীর শঙখমালা নারী সেই-__- আর তার পরেমিকের কলান নিঃসঙগ মখের রপ, বিশকষ তণের মতো পরাণ,

জানিবে না, কোনোদিন জানিবে না; কলরব ক'রে উডে যায

শত সসিগধ সরয ওর। শাশবত সরষের তীবরতায।

আবার বছর কডি পরে তার সাথে দেখা হয যদি !

আবার বছর কডি পরে-_

হযতো ধানের ছডার পাশে

কাতিকের মাসে_

তখন সনধযার কাক ঘরে ফেরে-_ তখন হলদ নদী

নরম-নরম হয শর কাশ হোগলায-_ মাঠের ভিতরে ।

অথবা নাইকো ধান খেতে আর ;

বযসততা নাইকো আব,

হাসের নীডের থেকে খড

পাখির নীডের থেকে খড

ছডাতেছে ; মনিযার ঘরে রাত, শীত আর শিশিরের

৯ ৬৫

জীবন গিযেছে চ'লে আমাদের কডি-কডি বছরের পার-_

তখন হঠাৎ বদি মেঠো পথে পাই আমি তোমারে আবার !

হযতো! এসেছে চাদ মাঝরাতে একরাশ পাততার পিছনে

সর-সর কালো-কালে। ডালপ।ল! মখে নিযে তার,

শিরীষের অথবা জামের,

ঝাউযের- আমের ;

কডি বছরের পরে তখন তোমারে নাই মনে !

জীবন গিযেছে চ'লে আমাদের কডি-কডি বছরের পার-_

তখন আবার যদি দেখা হয তোমার আমার!

তখন হযতো মাঠে হামাগডি দিযে পেচা নামে-_

বাবলার গলির অনধকারে

অশথের জানালার ফাকে

কোথায লকায আপনাকে ! চোখের পাতার মতো নেমে চপি কোথায চিলের ভান1 থামে__

সোনালি-সোনালি চিল-_- শিশির শিকার ক'রে নিযে গেছে তারে-

কডি বছরের পরে সেই কযাশায পাই যদি হঠাৎ তোমারে !

ঘাস

কচি লেবপাতার মতো! নরম সবজ আলোয

পথিবী ভ'রে গিযেছে এই ভোরের বেলা;

কাচা বাতাবীর মতো সবজ ঘাস-_ তেনরি সথমবাণ__

হরিণের! দাত দিযে ছি'ডে নিচছে।

আমারো ইচছা করে এই ঘাসের দরাণ হরিৎ মদের মতো

গেলাসে-গেলাসে পান করি,

৬৬

এই ঘ ৫" শরীর ছানি-_ চোখে চোখ ঘষি, দ ঘামের পাখনায আমার পালক,

ঘামের ভিতর ঘাস হযে জনমীই কোনে! এক নিবিড ঘ।স-মাতার

*» শরীরের সতবাদ অনধকার থেকে নেমে

হাওযার রাত

গভীর হাওযার রাত ছিলো কাল-__ অসংখয নকষতরের বাত; সারা রাত বিসতীরণ হাওযা! আমার মশারিতে খেলেছে;

মশারিটা ফলে উঠেছে কখনো মৌসথমী সমদরের পেটের মতৌ, কখনো বিছানা ছিডে নকষতরের দিকে উডে যেতে চেযেছে;

এক-একবার মনে হচছিলো আমার__ আধো ঘমের ভিতর হযতো

মাথার উপরে মশারি নেই আমার,

সবাতী তারার কোল ঘেষে নীল হাওযার সমদরে শাদ! বকের মতো উডছে সে! কাল এমন চমৎকার রাত ছিলো।

সমসত মত নকষতরের কাল জেগে উঠেছিলো আকাশে এক তিল

ফাক ছিলো না)

পথিবীর সমনত ধসর পরিয মতদের মখও সেই নকষতরের ভিতর দেখেছি আমি;

অনধকার রাতে অশবখের চডায পরেমিক চিলপরষের শিশির-ভেজ চোখের মতো ঝলমল করছিলো সমসত নকষতরেরা। ১

জযোৎসসারাতে বেবিলনের রানীর ঘাডের ওপর চিতার উজজবল চামডার

শ[লের মতো! জলজল করছিলো বিশাল আকাশ !

কাল এমন আশচরয রাত ছিলো ।

যে-নকষতরেরা আকাশের বকে হাজীর-হাজার বছর আগে ম'বরে গিযেছে

তারাও কাল জানালার ভিতর দিযে অসংখয মত আকাশ সঙগে ক'রে এনেছে;

৬৭

ষে-রপসীদের আমি এশিরিযায, মিশরে, বিদদিশায ম'রে যেতে দেখেষটি, *.

কাল তার! অতিদর আকাশের সীমানার কযাশায-কযাশীয দীরঘ বরশা হাতে ক'রে

কাতারে-কাতারে দাডিযে গেছে যেন__ মতযকে দলিত করবার জনয ? -

জীবনের গভীর জয পরকাশ করবার জনয ?

পরেমের ভযাবহ গমভীর সতসত তলবার জনয ?

আডষট-- অভিভত হ'যে গেছি আমি, কাল রাতের পরবল নীল অতযাচার আমাকে ছিডে ফেলেছে যেন;

আকাশের বিরামহীন বিসতীরণ ডানার ভিতর পথিবী কীটের মতে মছে গিযেছে কাল; আর উততঙগ বাতাস এসেছে আকাশের বক থেকে নেমে

আমার জানালার ভিতর দিষে সাই সাই ক'রে, সিংহের হংকারে উৎকষিপত হরিৎ পরাসতরের অজনতর জেবরার মতো ।

হদয ভ'রে গিষেছে আমার বিসতীরণ ফেণটের সবজ ঘাসের গনধে,

দিগনত-পলাবিত বলীযান রৌদরের আঘরাণে, মিলনোনসতত বাঘিনীর গরজনের মতো৷ অনধকারের চঞচল বিরাট

সজীব রোমশ উচছবাসে,

জীবনের দরদানত নীল মতততায।

আমার হবদয পথিবী ছি'ডে উডে গেল,

নীল হাওযার সমদরে সকীত মাতাল বেলনের মতো গেল উডডে,

একটা দর নকষতরের মাসলকে তারায-তীরায উডিযে নিষে চললো!

একটা ছরসত শকনের মতো।

এনা হাস ৭৪ পেচার ধসর পাখা উডে যায নকষতরের পানে-_ জলা মাঠ ছেডে দিযে চাদের আহবানে বনো হান পাখা মেলে-_ সীই-সাই শব শবনি তার; এক-_ ছই__ তিন-_ চার অজতর-_ অপার-_

রাতরির কিনার দিযে তাহাদের কষিপর ডানা ঝাডা

এঞজিনের মতো! শবে ; ছটিতেছে-_ ছটিতেছে তা*রা ।

তারপর পডে থাকে নকষতরের বিশাল আকাশ,

হাসের গাযের ভরাণ__ দ-একটা কলপনার হাস)

মনে পডে কবেকার পাডারগার অরণিম সানতালের মখ ; উডভক উডক তা'রা পউষের জযোৎকগায নীরবে উডক

কলপনার হাম সব; পথিবীর সব ধবনি সব বং মছে গেলে পর উডভক উডভক তার! হদযের শবদহীন জযোতনার ভিতর ।

শঙখমাল।

কাসতারের পথ ছেডে সনধযার আধারে

সে কে এক নারী এসে ডাকিল আমারে, বলিল, তোমারে চাই : বেতের ফলের মতো নীলাভ বযথিত তোমার দই চোখ

খজেছি নকষতরে আমি-_ কযাশার পাখ নায__

সনধযার নদীর জলে নামে যে-আলোক

জোনাকির দেহ হ'তে-_ খ'জেছি তোমাকে সেইখানে-_ ধসর পেচার মতো! ডানা মেলে অপরাণের অনধকারে

ধানসিডি বেযে-বেযে

সোনার মি'ডির মতো! ধানে আর ধানে

তোমারে খজেছি আমি নিরজন পেচার মতো পরাণে।

৬৪

দেখিলাম দেহ তার বিমরষ পাখির রঙে ভব : সনধযার আধারে ভিজে শিরীষের ডালে যেই পাখি দেয ধরা-_

বাকা চাদ থাকে যার মাথার উপর,

শিংএর মতন বাক নীল চাদ শোনে যার সবর ।*

কডির মতন শাদ! মখ তার,

ছইখানা হাত তার হিম;

চোখে তার হিজল কাঠের রকতিম

চিতা জলে : দখিন শিযরে মাথা শঙখমালা যেন পডে যায

সে-আগনে হায।

চোখে তার

যেন শত শতাবদীর নীল অনধকার;

সতন তার

করণ শঙখের মতো-_ দধে আর__ কবেকার শঙখিনীমালার ;

এ-পথিবী একবার পায তারে, পাযনাকো আর ।

বিডাল

সারারদিন একটা বিডালের সঙগে ঘরেফিরে কেবলই আমার দেখ! হয গাছের ছাযায, রোদের ভিতরে, বাদামী পাতার ভিডে ;

কোথাও কফেক টকরো মাছের কাটার সফলতার পর

তারপর শাদ1 মাটির কঞধালের ভিতর

নিজের হদযকে নিযে মৌমাছির মতো নিমগন হ'যে আছে দেখি;

কিনত তবও তারপর রষণচডার গাযে নথ আচডাচছে, সারাদিন সধের পিছনে-পিছনে চলছে সে।

একবার তাকে দেখা যায,

একবার হারিযে যায কোথায ।

এসেছে সে ভোরের আলোয নেমে; কচি বাতাবী লেবর মতে! সবকগ সথগনধি ঘাস ছি'ডে-ছি'ডে খাচছে; নদীর তীকষ শীতল ঢেউযে সে নামলে।_

থমহীন কলানত বিহবল শরীরটাকে সনোতের মতে! একটা আবেগ দেওযার জনয ;

অনধকারের হিম কঞচিত জরায ছি'ডে ভোরের রৌদরের মতো একটা বিসতীরণ উললাস পাবার জনয ;

এই নীল আকাশের নিচে সরযের সোনার বরশার মতো! জেগে উঠে

সাহসে সাবে শৌনদরযে হরিণীর পর হরিণীকে চমক লাগিযে দেবার জনয ।

একটা অনভত শবদ । নদীর জল মচকাফলের পাপডির মতো! লাল ।

আগন জললো আবার-_ উষণ লাল হরিণের মাংস তৈরি হযে এলো ।

নকষতরের নিচে ঘাসের বিছানায বসে অনেক পরানো শিশিরভেজা গলপ;

সিগারেটের ধোযা;

টেরিকাটা কযেকটা মীহষের মাথা ;

এলোমেলো কযেকট। বনদক__ হিম-_ নিংসপনদ নিরপরাধ ঘম।

নগন নিরজন হাত

আবার আকাশে অনধকার ঘন হ'যে উঠছে :

আলোর রহশযমযী সহোদরার মতো] এই অনধকার ।

যে আমাকে চিরদিন ভালোবেসেছে

অথচ যার মখ আমি কোনোদিন দেখিনি,

সেই নারীর মতো ফাসতন আকাশে অনধকার নিবিড হ'যে উঠছে।

মনে হয কোনো বিলপত নগরীর কথা

সেই নগরীর এক ধসর পর।সাদের রপ জাগে হদযে।

ণখ

হেমনতের সনধযায জাফরান-রং-এর সরযের নরম শরীরে

শাদা থাব! বলিযে-বলিযে খেল। করতে দেখলাম তাকে ;

তারপর অনধকারকে ছোটো-ছোটে| বলের মতে থাব। দিযে লফে আনলো সে,

সমসত পথিবীর ভিতর ছডিযে দিলে] ।

শিকার

ভোর;

আকাশের রং ঘাসফডিঙের দেহের মতো কোমল নীল :

চারিদিকের পেযারা ও নোনার গাছ টিযার পালকের মতো সবজ ।

একটি তারা এখনও আকাশে রযেছে :

পাডাগার বাসরঘরে সব চেযে গোধলি-মপির মেযেটির মতো;

কিংবা মিশরের মানষী তার বকের থেকে যে-মকতা আমার নীল মদের

গেলাসে রেখেছিলো

হাজার-হাজার বছর আগে এক রাতে__ তেমি-_

তেমনি একটি তার! আকাশে জলছে এখন ও।

হিমের রাতে শরীর “উম‌ রাখবার জনয দেশোযালীর। সারারাত মাঠে

আগন জেলেছে-__

মোরগ ফলের মতো লাল আগন;

শকনো অশবখপাত। দমডে এখনও আগন জলছে তাদের;

সরযের আলোয তার বং কসকমের মতো নেই আর)

হ'যে গেছে রোগা শালিকের হদযের বিবরণ ইচছার মতো'।

সকালের আলোয টলমল শিশিরে চারিদিকের বন ও আকাশ মযবের

সবজ নীল ডানার মতো ঝিলমিল করছে।

ভোর;

। সারারাত চিতাবাঘিনীর হাত থেকে নিজেকে বাচিযে-বাচিযে

নকষতরহীন, মেহগনির মতো অনধকারে সথনদরীর বন থেকে অরজনের বনে ঘরে-ঘরে

সনদর বাদামী হরিণ এই ভোরের জনয অপেকষা করছিলো ।

৭+

ভারতসমদরের তীরে কিংবা ভমধযপাগরের কিনারে

অথবা টাযার সিনধর পারে

আজ নেই, কোনো এক নগরী ছিলে! একদিন,

কোনে! এক পরাসাদ ছিলো;

মলযবান আসবাবে ভরা এক পরাসাদ :

পারশয গালিচা, কাশমীরী শাল, বেরিন তরঙগের নিটোল মকতা পরবাল,

আমার বিলপত হদয, আমার মত চোখ, আমার বিলীন সবপর আকাজকা, আর তমি নারী-__

এই সব ছিলে! সেই জগতে একদিন ।

অনেক কমলা রঙের রোদ ছিলো, অনেক কাকাতযা পাযব1 ছিলো, মেহগনির ছাযাঘন পললব ছিলো অনেক; অনেক কমলা রঙের রোদ ছিলো" ১৮ অনেক কমলা রঙের রোদ ।

আর তমি ছিলে; তোমার মখের রপ কতো শত শতাবদী আমি দেখি না, খজি না।

ফালধনের অনধকার নিযে আসে সেই সমদরপারের কাহিনী, অপরপ খিলান ও গমবজের বদেনাময রেখা,

লপত নাসপাতির গনধ, অজনতর হরিণ ও সিংহের ছালের ধলর পাগলিপি,

রামধন রঙের কাচের জানালা,

মযরের পেখমের মতো! রডিন পরদায-পরদায

ককষ ও ককষামতর থেকে আরে! দর ককষ ও ককষাসতরের

কষাণিক আভাস--

আমহীন সতবতা ও বিলময।

১০ | ৭৩

পরদায, গালিচায রকতাভ রৌদরের বিচছরিত সবেদ,

রকতিম গেলাসে তরমজ মদ ! তোমার নগন নিজন হাত;

তোমার নগন নিজন হাত ।

আট বছর আগের একদিন

শোনা গেল লাসকাটা ঘরে

নিযে গেছে তারে ;

কাল রাতে-_ ফালতনের রাতের আধারে

যখন গিযেছে ডবে পঞচমীর চাদ

মরিবার হলো তার সাধ;

বধ শযেছিলো পাশে__ শিশটি ও ছিলো ; পরেম ছিলো, আশা ছিলে।__ জযোতৎসসায__ তব সে দেখিল

কোন‌ ভত ? ঘম কেন ভেঙে গেল তার? অথব! হযনি ঘম বহকাল-__ লাসকাট! ঘরে শযে ঘমায এবার । এই ঘম চেযেছিলো বঝি !

রকতফেনামাখা মখে মডকের ইছবের মতো ঘাড গজি আধার ঘজির বকে ঘমায এবার;

কোনোদিন জাগিবে না আর।

“কোনোদিন জাগিবে না আর

জানিবার গাড বেদনার

অবিরাম-_ অবিরাম ভার

সহিবে না আর-_, এই কথা বলেছিলো তারে

৭8

চাদ ডবে চলে গেলে__ অদভত আধাবে যেন তার জানালার ধারে

উটের গরীবার মতো! কোনো এক নিসতবধতা এসে ।

তবও তো পেচা জাগে।

গলিত সথবির বযাং আরো ছই মহরতের ভিকষা মাগে আরেকটি পরভাতের ইশারায__ অনমেয উষণ অনরাগে ।

টের পাই যথচারী আধারের গা নিরদদেশে চারিদিকে মশারির কষমাহীন বিরদধতা )

মশ। তার অনধকার সজঘারামে জেগে থেকে জীবনের শোত ভালোবাসে ।

রকত কলেদ বসা! থেকে রৌবদে ফের উডে যায মাছি;

সোনালি রোদের ঢেউযে উডনত কীটের খেলা কতো দেখিযাছি ।

ঘনিষঠ আকাশ যেন__ ঘেন কোন‌ বিকীরণ জীবন অধিকার ক'রে আছে ইহাদের মন;

দরনত শিশর হাতে ফডিঙের ঘন শিহরণ মরণের সাথে লডিযাছে;

টাদ ভবে গেলে পর পরধান আধারে তমি অশবখের কাছে এক গাছ দডি হাতে গিযেছিলে তব একা-একা ;

যে-জীবন ফডিঙের, দোযেলের__ মানষের সাথে তার হযনাকো দেখা

এই জেনে ।

অশবখের শাখা

করেনি কি পরতিবাদ? জোনাকির ভিড এসে সোনালি ফলের সগিপধ বাকে

করেনি কি মাখামাখি? থরথরে অনধ পেচা এসে

বলেনি কি : “বডি টাদ গেছে বঝি বেনোজলে ভেসে

চমতকার !

৭৫

ধর! যাক‌ ছ-একটা ইছর এবার 1

জানাযনি পেচা এসে এ তমল গাঢ সমাচার ?

জীবনের এই সবাদ__ করপকষ যবের ভরীণ হেমনতের বিকেলের-

তোমার অসহয বৌধ হ'লো

মরগে কি হদয জডোলো।

মরগে গমোটে

থযাতা ইছরের মতো রকতমাখ। ঠৌটে |

শোনো

তব এ মবতের গলপ ; কোনো

নারীর পরণযে বযরথ হয নাই;

বিবাহিত জীবনের সাধ

কোথাও বাখেনি কোনে খাদ,

সমযের উদরতনে উঠে এসে বধ মধ-_ আর মননের মধ

দিযেছে জাশিতে ;

হাডহাভাতের পরানি বেদনার শীতে

এ-জীবন কোনোদিন কেপে ওঠে নাই

তাই লাসকাটা ঘরে

চিৎ হযে শযে আছে টেবিলের "পরে ।

জানি-_ তব জানি নারীর হদয-_ পরেম শিশ__ গহ__ নন সবখ।নি ।

অরথ নয, কীততি নয, সচছলতা নয-_

আরো-এক বিপনন বিসময

আমাদের অনতরগত রকতের ভিতরে

খেলা করে ;

আমাদের কলাসত করে

৭৬ পর

কলামত-- কলানত করে;

লাসকটা ঘরে

সেই কলানতি নাই; তাই লামক।টা ঘরে চিৎ শ;যে শযে আছে টেবিলের পরে ।

তব রোজ রাতে আমি চেযে দেখি, আহ।,

থরথ₹র অনধ পেচা অশবখের ডালে বসে এসে

চোখ পাণটাযে কয : “বডি চাদ গেছে বঝি বেনৌজলে ভেসে ? চমৎকার ! ধর। যাক ছ-একট! ইছর এবার-_,

হে পরগাঢ পিতামহী, আজো চমৎকার ?

আমিও তোমার মতো বডো হবো__ বডি চাদটারে আমি ক'রে দেবে! কালীদহে বেনৌজলে পার;

আমর! ছ-জনে মিলে শহত ক'রে চ'লে যাবো জীবনের পরচর ভাডার ।

মনোকণিক।

ও. কে,

একটি বিপলবী তার সোনা রপো ভালোবেসেছিলো ; একটি বণিক আতমহতযা করেছিলে পরবরতী জীবনের লোভে ;

একটি পরেমিক তার মহিলাকে ভালোবেসেছিলো ; তবও মহিলা গরীত হযেছিলো দশজন মরের বিকষোভে ।

বকের উপরে হাত রেখে দিযে তা'রা

নিজেদের কাজ ক'রে গিযেছিলো সব‌।

৭৭

অবশেষে তাসরা আজ মাটির ভিতরে

অপরের নিযমে নীরব ।

মাটির আহক গতি সে-নিযম নয ও

সররয তার সবাভাবিক চোখে

সে-নিযম নয-_ কেউ নিযমের বযতিকরম নয ;

সব দিক ও. কে. ।

সাবলীল

আকাশে সরের আলো থাকক না__ তব

দগাজঞার ছায! আছে চিরদিন মাথার উপরে ।

আমরা দণডিত হযে জীবনের শোভা দেখে যাই।

মহাপরষের উকতি চারিদিকে কোলাহল করে ।

মাঝে-মাঝে পরষারথ উততেজিত হ”লে-_ €এ বকম উততেজিত হয ১)

উপসথাপযি তার মতন আমাদের চাযের সময

এসে পডে আমাদের সথির হ'তে বলে।

সকলেই সিপধ হ'যে আতমকরমকষম ; এক পথিবীর ছেষ হিৎসা হেটে ফেলে চেযে ছযাখে সত,পাকারে কেটেছে রেশম ।

এক পথিবীর মতো বণময রেশমের সতপ কেটে ফেলে পনরায চেযে গযাখে এসে গেছে অপবাকতকাল :

পরতিটি রেশম থেকে সীতা! তার অশরিপরীকষায__ অথবা শরীষটের রকত করবী ফলের মতো লাল ।

৭৮

মানষ সবদ যদি

মানষ সরবদা যদি নরকের পথ বেছে নিতো

(ববরগে পৌছবার লোভ সিদধারথও গিযেছিলো! ভলে ), অথবা বিষম মদ সবতই গেলাসে* ঢেলে নিতো,

পরচল1 এটে নিতো সবাভাবিক চলে,

সরবদ! এ-সব কাজ ক'রে যেত যদি

যেমন সে পরাযশই করে,

পরচলা তবে কার সনদেহের বসত হতো, আহা,

অথবা মখোশ খলে খশি হ*তো কে নিজের মখের রগডে ।

চাবাক পরভভতি-_

€কেউ দরে নেপথযের থেকে, মনে হয,

মাছছষের বৈশিষটযের উতথান-পতন

একটি পাখির জনস-_ কীচকের জনমমবতয সব

বিচারসাপেকষভাবে নিযনতরণ করে ।

“তব এই অনভতি আমাদের মতয জীবনের কিংবা মরণের কোনো! মলকছতর নয ।

তবও শঙখল! ভালোবাসি বলে হেযালি ঘনালে মততিকার অনধ সতযে অবিশবাস হয|,

ব'লে গেল বাষলোকে নাগাজন, কৌটিলয, কপিল, ,চারবাক পরভতি নিরীশবর ;

অথবা তা এডিথ, মলিনা নামী অগণন নারসের ভাষা

অবিরাম যদধ আর বাণিজযের বাষর ভিতর ।

সমদরতীরে

পথিবীতে তামাশার সথর করমে পরিচছনন হ”যে

জনম নেবে একদিন । আমোদ গভীর হলে সব

বিভিনন মানষ মিলে মিশে গিযে যে-কোনো আকাশে

মনে হবে পরসপরের পরিকসপরতিষঠ মানব ।

৭9

এই সব বোধ হয আজ এই ভোরের আলোর পথে এসে

জহর সমদরপারে, অগণন ঘোডা ও ঘেসেডাদের ভিডে ।

এদের সবজন, বোন, বাপ-মা ও ভাই, টণযাক, ধরম মরেছে;

তবও উচচমবরে হেসে ওঠে অঞরবনত রৌভরের তিমিরে।

সথবিনয মসতফী

সববিনয মসতকীর কথা মনে পডে এই হেমসতের রাতে । এক সাথে বেরাল ও বেরালের-মখে-ধরা-ইছর হানাতে এমন আশচরয শকতি ছিলো ভযোদরশী যবার ।

ইছরকে খেতে-খেতে শাদা বেরালের বযবহার, অথব! টকরো হ*তে-হ*তে সেই ভারিককে ইছর : বৈকগ ও নরকের থেকে তারা ছই জনে কতোখানি দর ভলে গিযে আধো আলো অনধকারে হেচকা মাটির পথিবীতে

আরে কিছরদিন বেচে কিছট1 আমেজ পেযে নিতে

কিছটা সবিধা ক'রে দিতে যেত-_ মাটির দরের মতো রেটে ;

তবও বেদম হেসে খিল ধ'রে যেত বলে বেরালের পেটে

ইছর “হর‌রে” কলে হেসে খন হ'তো! সেই খিল কেটে-কেটে ।

অনপম তরিবেদী

এখন শীতের রাতে অনপণ তরিবেদীর মখ জেগে ওঠে ।

ঘরদিও সে নেই আজ পথিবীর বডো গোল পেটের ভিতরে সশরীরে ; টেবিলের অনধকারে তব এই শীতের সতবধতা এক পথিবীর মত জীবিতের ভিডে সেই সমরণীয মানষের কথা

হদযে জাগাযে যায ; টেবিলে বইযের সতপ দেখে মনে হয যদিও পরেটোর থেকে রবি ফরযেড নিজ-নিজ চিনতার বিষয

৮৩

পরিশেষ ক'রে দিযে শিশিরের বালাপোশে অপরপ শীতে

এখন ঘমাযে আছে-_ তাহাদের ঘম ভেঙে দিতে

নিজের কলপ এটে পথিবীতে-_ ওই পারে মতযর তাল! তরিবেদী কি খোলে নাই? তানতরিক 'উপাসন! মিষটিক ইহদী কাবালা ঈশার শবোখান-_ বৌধিদরমের জনম মরণের থেকে শর ক'রে

হেগেল ও মারকস : তার ডান আর বাম কান ধ'রে

ছই দিকে টেনে নিযে ষেতেছিলো ; এমন সময

দ-পকেটে হাত রেখে ভরকটিল চোখে নিরাময জঞানের চেযেও তার ভালো লেগে গেল মাটি মাজষের পরেম;

পরেমের চেযেও ভালে! মনে হ'লেো৷ একটি টোটেম : উটের ছবির মতো-_ একজন নারীর হদযে ;

মখে-চোখে আকতিতে মরীচিক1 জযে

চলেছে সে; জডাযেছে ঘিযের রঙের মতো শাডি;

ভালো ক'রে দেখে নিলে মনে হয অতীব চতর দকষিণরাটী দিবয মহিল! এক; কোথায যে আচলের খরট;

কেবলি উততরপাডা বযাণডেল কাশীপর বেহালা খরট

ঘরে যায সটালিন, নেহের, বলক, অথবা! রাযের বোঝা বঃযে, তরিপাদ ভমির পরে আরো ভমি আছে এই বলির হদযে?

তা হ”লে তা” পরেম নয ; ভেবে গেল তরিবেদীর হদযের জঞান ।

জড ও অজড ডাযালেকটিক মিলে আমাদের ছ-দিকের কান

টানে বলে বেচে থাকি-তরিবেদীকে বেশি জোরে দিযেছিলে! টান।

৯৯ ৮১

আকাশলীন।

করঞজনা, ওইখানে যেওনাকেো তমি,

বোলোনাকো কথা*ওই যবকের সাথে ; ফিরে এসো সরগনা £

নকষতরের পালি আগন ভরা রাতে

ফিরে এসো এই মাঠে, ঢেউযে » ফিরে এসো হদযে আমার ;

দর থেকে দরে-__ আবে দরে যবকের সাথে তমি যেওনাকেো! আর ।

কি কথা তাহার সাথে ? তার সাথে !

আকাশের আডালে আকাশে

সতিকার মতো! তমি আজ :

তার পরেম ঘাস হযে আসে।

সরগনা,

€তোমার হদয আজ ঘাস:

বাতাসের ওপারে বাতাস-_

আকাশের ওপারে আকাশ ।

ঘোড।

আমরা যাইনি ম'রে আজে।__ তব কেবলি দশঠের জনম হয : মহীনের ঘোডাগলে। ঘাস খাম কাতিকের জযোতমগার পরাসতরে, পরসতরযগের সব ঘোডা ষেন__ এখনও ঘাসের লোভে চরে পথিবীর কিমাকার ভাইনামোর "পরে । আসতাবলের ভরাণ ভেসে আসে এক ভিড রাতরির হাওযায ; বিষণন খডের শবদ ঝ*রে পডে ইসপাতের কলে; চাযের পেযালা কট! বেডালছানার মতো-__ ঘমে ঘেযো

ককরের অসপষট কবলে

হিম হযে নডে গেল ও-পাশের পাইস-রেসতরাতে ; পযারাফিন-লঠন নিভে গেল গোল আসতাবলে

সমযের পরশানতির ফযে ;

এই সব ঘোডাদের নিওলিথ-সতবধতার জযোৎনাকে ছযে ।

সমারঢ

“বরং নিজেই তমি লেখোনাকো। একটি কবিতা-_+ বলিলাম কান হেসে ; ছাযাপিগড দিলে! না উততরঃ বঝিলাম সে তো কবি নয-_- সে যে আরঢ ভণিতা : পাওলিপি, ভানত, টীকা, কালি আর কলমের "পর

বসে আছে সিংহাসনে-_ কবি নয-_ অজর, অকষর

অধযাপক +দীত নেই-__ চোখে তার অকষম পি"চটি ; বেতন হাজার টাকা মাসে__ আর হাজার দেডেক

পাওয! যায সবত সব কবিদের মাংস কমি খটি ; যদিও সে-সব কবি কষধা পরেম আগনের সেক

চেযেছিলো-_ হাঙরের ঢেউযে খেযেছিলো লটোপটি ।

নিরসকশ মালয সমদর পারে সে এক বনদর আছে শবেতাঙগিনীদের |

যদিও সমদর আমি পথিবীতে দেখে*গেছি ঢের :

নীলাভ জলের রোদে কযালালমপর, জ।ভা, সথমাতরা ও ইনদোচীন, বালি

অনেক ঘরেছি আমি-- তারপর এখানে বাদামী মপযালী সমদরের নীল মরভমি দেখে কাদে সারাদিন।

শাদা-শাদ1 ছোটে! ঘর নারকেলখেতের ভিতরে

দিনের বেলায আবে! গাঢ শ।দা জোনাকির মতে। ঝরঝরে |

শবেতাঙগদমপতী সব সেইখানে সামদরিক কাকডার মতো

সময পোহাযে যায, মলযালী ভয পায ভরাসতিবশত,

সমদরের নীল মরভমি দেখে কাদে সারাদিন ।

বাণিজযবাযর গলপে একদিন শতাবদীর শেষে

অভযতথান শর হলো এইখানে নীল সমদরের কটিদেনে ; বাণিজযবাযর হরষে কোনে। এক দিন, চারিদিকে পামগাছ-__ ঘেোল! মদ-_বেশটালয-- সেকো-- কেরোসিন

সমদরের নীল মরভমি দেখে রোখে সারাদিন।

সারাদিন দর থেকে ধৌযা বৌবরে বিরংসায সে উনপঞচাশ বাতাস তবও বয-_ উদদীচীর বিকীরণ বাতাস; নারকেলকঞজবনে শাদা-শাদা ঘরগলে। ঠাণডা ক'রে রাখে; লাল কাকরের পথ-_রকতিম গিরজার দণড দেখা যায সবজের ফাকে : সমদরের নীল মরভমি দেখে নীলিমায লীন।

৮৪

গোধলি সনধির নতয

দরদালানের ভিড -_ পরথিবীর শেষে

যেইখানে পসডে আছে শবদহীন-_ ভাঙা _ সেইখানে উচ-উচ হরিতকী পাছের পিছনে

হেমনতের বিকেলের সষ গে।ল- _ বাড

চপে-চপে ডলে যায কজযাতননায |

পিপলের গাছে বসে পেচা শধ একা ছচেঝে হযাখে ;ঃ সোনার বলের মতো সষ আব

রপার ডিবের মতো চাদের বিখযাত মখ দেখা ।

হরিতকী শাখাদের নিচে যেন হীরের সকলিজ আব সকটিকের মতো শাদা জলের উলাস ;

নমণডের আবছাযা_ নিসতবধতা" বাদামী পাতার ভরাণ__ মধকপী ঘাস ।

কযেকটি নারী যেন ঈশবরীর মতো £

পরষ তাদের : কতকরম নবীন; খোপার ভিতরে চলে £ নরকের নবজাত ৫মঘ, পাযের ভঙগির নিচে হডকডেব তণ ।

সেখানে গোপন জল ফান হ”যে হীরে হয ফের,

পাতাদের উৎসরণে কোনো শবদ নাই ; তব তা”রা টের পায কামানের সথবির গঞজনে

বিন হতেছে সাংহাই ।

সেইখানে যখচারী কযেকটি নানী ঘনিষঠ চাদের নিচে চোখ আর চলের সহকেতেে

৮৮৫

মেধাবিনী ; দেশ আর বিদেশের পরষেরা যদধ আর বাণিজযের রকতে আর উঠিবে না মেতে।

পরগাঢ চমবন করমে টানিতেছে তরহাদের তলোর বালিশে মাথা রেখে আর মানবীয ঘমে সবাদ নেই ; এই নিচ পথিবীর মাঠের তরঙগ দিযে ওই চরণ ভখণডের বাতাসে-_ বরণে করর পথ নি যায হরিতকী বনে-__-জযোতসসায। যদধ আর বাণিজযের বেলোযারি বৌদরের দিন শেষ হযে গেছে সব; বিনথনিতে নরকের নিরবচন মেঘ,

পাযের ভঙগির নিচে বশচিক__করকট __ তলা__ মীন।

একটি কবিতা

পথিবী পরবীণ আরো হযে যায মিরজিন নদীটির তীরে; বিবরণ পরাসাদ তার ছায৷ ফেলে জলে।

ও-পরাসাদে কারা থাকে ? কেউ নেই-__ সোনালি আগন চপে জলের শরীরে নডিতেছে__ জলিতেছে-_ মাযাবীর মতো জাছবলে।

সে-আগন জ'লে যায-_ দহেনাকে কিছ ।

সে-আগন জ'লে যায

সে-আগন জলে? যায

সে-আগন জলে. যায দহেনাকো কিছ ।

নিমীল আগনে ওই আমার হদয

মত এক সারসের মতো ।

পথিবীর রাজহাস নয-_

নিবিড নকষতর থেকে যেন সমাগত

সনধযার নদীর জলে এক ভিড হাস ওই-_ একা ; এখানে পেল না কিছ; করণ পাখায

তাই তা"র! চ'লে যায শাদা, নিংসহায। মল সারসের সাথে হলো মখ দেখা ।

২ রাতরির সংকেতে নদী যতদর ভেসে যায__ আপনার অভিজঞান নিযে

আমারো নৌকার বাতি জলে; মনে হয এইখানে লোকশরত আমলকী পেযে গেছি

আমার নিবিষট করতলে ; সব কেরোসিন-অগরি ম'রে গেছে ঃ জলের ভিতরে আভা দ'হে যায

মাযাবীর মতো জাছবলে ।

পথিবীর সৈনিকেরা ঘমাযেছে বিশবিসার রাজার ইঙগিতে

ঢের দর ভমিকার পর ; সতয সারাৎসার মততি সোনার বষের *পরে ছটে সারাদিন

হ'যে গেছে এখন পাথর ;

যে-সব যবারা সিংহীগরভে জনমে পেযেছিলে! কৌটিলযের সংযম তারাও মরেছে-__ আপামর ।

যেন সব নিশিডাকে চ'লে গেছে নগরীকে শনয ক'রে দিযে__ সব ককাথ বাথরমে ফেলে;

গভীর নিসরগ সাড। দিযে শরতি বিসবতির নিসতবধতা ভেঙে দিতো! তব একটি মানষ কাছে পেলে ;

যে-মকর পারদের বযবহার জানে শধ, যেই দীপ পযাবাফিন, বাটা মাছ ভাজে যেই তেলে,

সমরাটের সৈনিকেরা যে-সব লাবণি, লবণরাশি খাবে জেগে উঠে” অমাযিক কটকষিনী জানে;

তবও মানষ তার বিছানায মাঝরাতে নমণডের হেযালিকে আঘাত করিবে কোনথানে ?

হযতো নিসরগ এসে একদিন বলে দেবে কোনো এক সমতরাঙজীকে

জলের ভিতরে এই অগনির মানে ।

৮৭

নাবিক

কোথাও তরণী আজ চ'লে গেছে আকাশ-রেখায__ তবে-_ এই কথা ভেবে

নিতরায আসকত হ'তে গিযে তব বেদনায জেগে ওঠে পরাসত নাবিক; সরয যেন পরমপরাকরম আরো-_ ওই দিকে-__ ৫সকতের পিছে বনদরের কোলাহল-_-পাম সারি; তব তার পরে সবাভাবিক

বয পাখির ডিম সরধ যেন সোনালি চলের ধরমযাজিকার চোখে ; গোধম-খেতের ভিডে সাধারণ কষকের খেলার বিষয ; তব তার পরে কোনো অনধকার ঘর থেকে অভিভত নমণডের ভিড বললমের মতো দীরঘ রশমির ভিতরে নিরাশরয__

আশচরয সোনার দিকে চেযে থাকে ; নিরসতর ভরত উনমীলনে

জীবাণর! উডে যাঘ-_ চেযে ছযাখে__- কোনে! এক বিসমযের দেশে।

হে নাবিক, হে নাবিক, কোথায তোমার যাতর। সরধকে লকষয ক'রে শধ? বেবিলন, নিনেভে, মিশর, চীন, উরের আরশি থেকে ফেসে

অনয এক সমদরের দরকে তমি চ'লে যাও__ দপর বেলায; বৈশালীর থেকে বাষ-_ গেৎসিমানি-_- আলেকজানদরিযার

মোমের আলোকগলো রযেছে পিছনে প'ডে অমাযিক সংকেতের মতো;

তারাও সৈকত। তব তপতি নেই। আরো! দর চকরবাল হদযে পাবার

পরযোজন বযে গেছে-__ যতদিন সকটিক-পাখনা মেলে বোৌলতার ভিড

উডে যায বা! রৌদরে ; এরোপনেনের চেযে পরমিতিতে নিটোল সারস নীলিমাকে খলে ফেলে যতদিন ; ভলের বনি থেকে আপনাকে মানবহদয ।

উজজল সময-ঘডি-__ নাবিক-_ অনসত নীর অগরসর হয।

৮৮

৯২

খেতে পরানতরে

ঢের সআাটের রাজযে বাস ক'রে জীব

অবশেষে একদিন দেখেছে ছ-তিন ধনথ দরে

কোথাও সমরাট নেই, তবও বিপলব নেই, চাষা বলদের নিঃশবদতা খেতের ছপরে ।

ংলার পরামতরের অপরাতর এসে

নদীর খাডিতে মিশে ধীরে

বেবিলন লগনের জনম, মতয হ'লে__ তবও রযেছে পিছ ফিরে। বিকেল এমন ব'লে একটি কামিন এইখানে দেখা দিতে এলো তার কামিনীর কাছে ;

মানবের মরণের পরে তার মমির গহবর

এক মাইল রৌদরে পডে আছে।

আবার বিকেল বেলা নিভে যায নদীর খাডিতে ;

একটি কষক শধ খেতের ভিতরে

তার বলদের সাথে সারাদিন কাজ ক'রে গেছে;

শতাবদী তীকষ হ'যে পডে ।

সমসত গাছের দীরঘ ছাযা

বাংলার পরাসতরে পডেছে ;

এ-দিকের দিনমান-_ এ-ষগের মতো! শেষ হ"যে গেছে,

না জেনে কষক চোত বোশেখের সনধযার বিলমবনে পণডে

চেযে দেখে থেমে আছে তবও বিকাল ;

উননিশশো বেযালিশ ব'লে মনে হয

তবও কি উনিশশো বেযালিশ সাল ।

০)

কোথাও শাসতির কথা নেই তার, উদদীপতিও ০নই ;

একদিন মতয হবে, জনম হযেছে ; সররয উদযের সাথে এসেছিলমে খেতে ;

সঞধানভের সাথে চ'লে গেছে।

সরয উঠবে জেনে সফির হযে ঘমামে রযেছে । আজ বাতে শিশিরের জল

পরাগৈতিহাসিক সথতি নিযে খেলা করে ;

কষাণের বিবণ লাঙল,

ফালে ওপডানো সব অনধকার টিবি, পোযাটাক মাইলের মতন জগৎ

সারাদিন অনতহীন কাজ করে নিরৎকীণ মাচে

পসডে আছে সৎ কি অসহ।

অনেক রকতের ধবকে অনধ হযে তারপর জীব

এইখানে তবও পাযনি কোনো তরাণ ঃ €বশাখের মাঠের ফাটলে

এখানে পথিবী অসমান ।

আব-কোনেো শরতিশরতি নেই ।

কেবল খডের সত.প পসডে আছে ছই-_ তিন মাইল,

তব তা” সোনার মতো নক ;

কেবল কাসতে শবদ পথিবীর কামানকে ভলে

করণ, নিরীহ, নিরাশকষ | আর-কোনো পরতিশরতি নেই ।

জঅলপিপি চসলে গেলে বিকেলের নদী কান পেতে

নিজের জলের সব শোনে ;

জীবাখর থেকে আজ কষক, মানতষ

জেগেছে কি তেতহীন সংপরসারণে_ ভরাসতিবলাসে নীল আচছনন সাগবে ?

টচতয, করশ, নাইনটিথি, ও সোভিযেট শরণতি পরতিশরগতি যগানতের ইতিহাস, অরথ দিযে কলহীন সেই মহাসাগরে পরাণ চিনে-চিনে হযতে। বা নচিকেতা পরচেতার চেযে অনিমেষে

পরথম ও অনতিম মানতষের পরিয পরতিমান

হ'যে যায সবাভাবিক জনমানবের সরযালেকে।

রাততি

হাইডরযাণট খলে দিযে কষঠরোগী চেটে নেয জল; অথবা সে-হা ইডরযাণট হযতো বা গিযেছিলো ফেসে

এখন ছপর রাত নগরীতে দল বেধে নামে। একটি মোটবকার গাডলের মতো গেল কেশে

অসথির পেটরল ঝেডে ; সতত সতরক থেকে তব কেউ যেন ভযাবহভাবে পডে গেছে জলে ।

তিনটি রিকশ ছটে মিশে গেল শেষ গযাসলযামপে

মাযাবীর মতো জাছবলে ।

আমিও ফিযার লেন ছেডে দিযে-_ হঠকারিতায

মাইল-মাইল পথ হেটে__ দেযালের পাশে

ঈাডালাম বেণটিকক সিটে গিযে _ টেরিটিবাজারে ;

চীনেবাদামের মতো বিশকষ বাতাসে ।

মদির আলোর তাপ চমো খায গালে ।

কেরোসিন কাঠ, গালা, গনচট, চামডার তরাণ

ভাইনামোর গঞতনের সাথে মিশে গিযে

ধনছকের ছিল! রাখে টান ।

৯১১

টান রাখে মত ও জাগরত পরথিবীকে ।

টন রাখে জীবনের ধনকের ছিল] ।

শলোক আওডাযে গেছে মৈতরেযী কবে ;

রাজয জয ক'রে গেছে অমর আটল|।

নিতীসত নিজের সরে তব5 তে। উপরের জানাল।প থেকে

গান গায আধো জেগে ইহদী রমণী;

পিতলোক হেসে ভাবে, কাকে বলে গান-

আর কাকে সোনা, তেল, কাগজের খনি ।

ফিরিঙগি যবক কটি চ'লে যায ছিমছাম ।

থামে ঠেস দিযে এক লোল নিগরো হাসে;

হাতের বরাযাব পাইপ পনরিকষার ক'রে

বডো এক গরিলার মতন বিশবাসে ।

নগরীর মহৎ বাতরিকে তার মনে হয

লিবিযার জঙগলের মতো |

তবও জনতগলে! আলতপরব-_ অতিবৈতশিক, বসতত কাপড পরে লজজাবণত ।

লঘ মহরত এখন দিনের শেষে তিনজন আধো আইবডো ভিখিবীর অতযনত পরশানত হলো মন; ধসর বাতাস খেযে এক গাল-_বানতার পাশে ধসর বাতাস দিযে ক'রে নিলো মখ আচমন । কেননা এখন তা"রা যেই দেশে যাবে তাকে রাঙা নদী বলে; সেইখানে ধোপা আর গাধা এসে জলে মখ দেখে পরসপরের পিঠে চডে জাছবলে ।

সি

তবও যাবার আগে তিনটি ভিখিবী মিলে গে গোল হযে সে গেল তিন মগ চাযে; একটি উজির, রাজা, বাকিটি কোটাল, পরসপরকে তারা নিলো বাতলারে।

তব এক ভিখিরিনী তিনজন খোডা, খডো, বেযাইযের টানে-_ অথবা চাযের মগে কটম হযেছে এই জঞানে মিলে মিশে গেল তা"রা চার জোডা কানে ।

হাইডরযাপট থেকে কিছ জল ঢেলে চাযের ভিতরে

গীবনকে আরো! সথির, সাধভাবে তারা বযবহার ক'রে নিতে গেল সৌদ ফটপাতে বকসে;

মাথা নেডে ছঃখ ক'রে বলে গেল : 'জলিফলি ছাডা

চেতলার হট থেকে টালার জলের কল আজ

এমন কি হ'তো! জাহাবাজ ?

ভিখিরীকে একটি পযসা দিতে ভাসকর ভাদর-বৌ সকলে নারাজ ।,

বলে তা"র! রামছাগলের মতো রখ দাডি নেডে

একবার চোখ ফেলে মেযেটির দিকে

অনভব ক'রে নিলো এইখানে চাযের আমেজে

নামাযেছে তারা এক শাকচননীকে ।

এ-মেযেটি হাস ছিলে! একদিন হযতো বা» এখন হযেছে হাসহাস।

দেখে তা"র৷ ভডি দিযে বার ক'রে দিলো তাকে আরেক গেলাস :

আমাদের সোনা কপো নেই, তব আমর1 কে কার বরীতদাস ?”

এ-সব সফেন কথা শনে এক রাতচরা ভাশ

লাফাযে-লাফাযে যায তাহাদের নাকের ডগায;

নদীর জলের পারে বসে যেন, বেটিসক সতরিটে

তাহারা গণনা ক'রে গেল এই পথিবীর নযায অনযায

চলের এটিলি মেরে গনে গেল অনঠায নযায ;

৬৩

কোথায বযযিত হয-_ কারা করে বযয;

কি কি দেযাথোয হয কারা কাকে দেয;

কি ক'রে ধরমের কল নডে যায শমিহিন বাতাসে;

মানষটা ম'রে গেলে যদি তাকে ওষধের শিশি কেউ গযায-_বিনি দামে__ তবে কার লাভ-_

এই নিযে চারজনে ক'রে গেল ভীষণ সালিশী ।

কেননা এখন তারা ষেই দেশে যাবে তাকে উডো নদী বলে

সেইখানে হাডহাভাতে ও হাড এসে জলে মখ গযাখে__ যতদিন মখ দেখা চলে ।

নাবিকী

হেমনত ফরাযে গেছে পথিবীর ভাডারের থেকে;

এ-রকম অনেক হেমসত ফরাযেছে

সমযের কযাশায ;

মাঠের ফসল গলো বার-বার ঘরে

তোলা হ'তে গিযে তব সমদরের পারের বনদরে পরিচছননভাবে চ'লে গেছে।

সততিকার ওই দিক আকাশের মখোমখি যেন শাদ! মেঘের পরতিভা;

এই দিকে খণ, রকত, লোকসান, ইতর, খাতক ;

কিছ নেই__ তবও অপেকষাতর ; হদযসপনদন আছে-_- তাই অহরহ বিপদের দিকে অগরসর ;

পাতালের মতো! দেশ পিছে ফেলে রেখে

নরকের মতন শহরে

কিছ চায;

কীষেচায।

৯৪

ঘেন কেউ দরেখেছিলে। খগ।কাশ যতবার পরিপরণ নীলিমা হযেছে, যতবার বাতির আকাশ ঘিরে সমরণীয নকষতর এসেছে,

'আর তাহাদের মতো! নরনারী যতবার

তেমন জীবন চেযেছিলো,

যত নীলকণ পাখি উডে গেছে বৌদরের আকাশে, নদীর ও নগরীর

মাচষের পরতিশরতির পথে যত

নিরপম করীলোক জলে গেছে_- তার

খণ শোধ ক'রে দিতে গিযে এই অননত বৌবরের অনধকার । মানবের অভিজঞতা এরকম ।

অভিজঞতা বেশি ভালো হ'লে তব ভয

পেতে হতো?

মতয তবে বযসনের মতো! মনে হতো?

এখন বযসন কিছ নেই ।

সকলেই আজ এই বিকেলের পরে এক তিমির রাতরির

সমদরের যাতরীর মতন ভালো-ভালো নাবিক ও জাহাজের দিগনতর খ'জে

পথিবীর ভিনন-ভিনন নেশনের নিঃসহায পরতিভর মতো পরসপরকে বলে, “হে নাবিক, হে নাবিক তমি-_

সমদর এমন সাধ, নীল হ'যে তবও মহান মরভমি ; আমরাও কেউ নই-_, তাহাদের শরেণী যোনি খণ রকত রিরংসা ও ফাকি

উচ-নিচ নরনারী নিকতিনিরপেকষ হ'যে আজ মানবের সমাজের মতন একাকী

নিবিড নাবিক হলে ভালো হয;

হে নাবিক, হে নাবিক, জীবন অপরিমেয নাকি।

৯৫

উততরপরবেশ

পরোনো সময কর ঢের কেটে গেল।

যদদি বলা যেত :

সমদরের পারে কেটে গেছে, সোনার বলেব মতো সথষ ছিলো পবের আক ।শে_

সেই পটভমিকায ঢের

ফেনশীরষ ঢেউ,

উডসত ফেনাবর মতো! অগণন পাখি ।

পরোনো বছর দেশ ঢের কেটে গেল

€বাদের ভিতরে ঘাসে শযে;

পকরের জল থেকে কিশোরের মতো তপত হাতে

ঠাণডা পানিফল, জল ছিডে নিতে গিযে ;

চোখের পলকে তব যবকের মতো

সবগনাভিঘন বডো নগরের পথে

কোনো এক সরষের জগতে

চোখের নিমেষ পডেছিলো ॥

সেইখানে সরয তব অনত যায । পনকদযের ভোরে আসে

মাকচষের হাদযের অগোচবর

গনথজের উপরে আকাশে । এ ছাড দিনের কোনে হর

নেই 2

বসসভের অনয সাডা নেই ।

পলেন আছে 2

অগণন পলেন

আগণয এসোরোডোম

বযে গেছে ।

৭১৬

১৩

চারিদিকে উচ-নিচ অনতহীন নীড-_

হ'লেও বা! হযে যেত পাখির মতন কাকলীর

আননদে মখর ;

সেইখানে কলানতি তব-_ কলাসতি- _কলাসতি;

কেন কলানতি

তা” ভেবে বিসময ; সেইখানে মতয তব;

এই শধ-_ এই ;

চাদ আসে একলাটি ;

নকষতরের দল বেধে আসে;

দিগনতের সমদরের থেকে হাওযা পরথম আবেগে

এসে তব অসত যায;

উদদযের ভোরে ফিরে আসে

আপামর মানষের হদযের অগোচবর

রকত হেডলাইনের-_ রকতের উপরে আকাশে ।

এ ছাডা পাখির কোনো সবর

বসসতের অনয কোনো সাডা নেই।

নিখিল ও নীড জনমানবের সমসত নিযমে

সজন নিরজন হযে থেকে

ভয পরেম জঞান ভল আমাদের মানবতা রোল

উততরপরবেশ করে আরো-বডো! চেতনার লোকে;

অনসত সরষের অসত শেষ ক'রে দিযে

বীতশোক হে অশোক সঙগী ইতিহাস, এ-ভোর নবীন ঝলে মেনে নিতে হয ;

এখন ততীয অঙক অতএব ; আগনে আলোয জযোতিরময

৯৭

সথষটির তীরে

বিকেলের থেকে আলো! করমেই নিসতেজ হ'যে নিভে যায-_ তব ঢের সমরণীয কাজ শেষ হ'শে গেছে :

হরিণ খেযেছে তার আমিষাশী শিকারীর হদযকে ছিডে; সমরাটের ইশারায কঙকালের পাশাগলো একবার টনিক হযেছে;

সচছল কঙকাল হ'যে গেছে তারপর ;

বিলোচন গিযেছিলো! বিবাহ-বযাপারে ; পরেমিকেরা সারাদিন কাটাযেছে গণিকার বারে;

সভাকবি দিযে গেছে বাকবিভতিকে গালাগাল ।

সমসত আচছনন সথর একটি ওককার তলে বিসবতির দিকে উডে যায ।

এ-বিকেল মানষ না মাছিদের গঞজরণময !

যগে-যগে মানষের অধযবপায

অপরের কযোগের মতো মনে হয।

কইসলিং বানালো কি নিজ নাম-_ হিটলার সাত কানাকডি

দিযে তাহা কিনে নিযে হযে গেল লাল :

মানথষেরই হাতে তব মানষ হতেছে নাজেহাল ; পথিবীতে নেই কোনো! বিশদধ চাকরি।

এ কেমন পরিবেশে বযে গেছি সবে-_

বাকপতি জনম নিযেছিলো যেই কালে, অথবা সামানত লৌক হেটে যেতে চেযেছিলো সবাভাবিক ভাবে পথ দিযে,

কি ক'রে তা হ'লে তা”র1 এ-রকম ফিচেল পাতালে হদযের জনপরিজন নিযে হারিযে গিযেছে ?

অথবা যে-সব লোক নিজের সনাম ভালোবেসে

দযার ও পরচল৷ না! এটে জানে না কোনো লীলা, অথবা! যে-সব নাম ভালো লেগে গিযেছিলো : আপিলা চাপিল৷

--রট খেতে গিযে তা”রা করেভবাসকেট খেলো শেষে ।

এরা সব নিজেদের গণিকা, দালাল, রেসত, শকরর খোজে

যদদি বলি, তারা সব তোমাদের চেযে ভালো আছে ;

0

অসৎপাতরের কাছে তবে তারা অনধ বিশবাসে

কথ! বলেছিলো ব'লে ছই হাত সতরকে গটাযে

হ'যে ওঠে কি যে উচাটন !

ককরের কযানারির কানশর মতন :

তাজা নযাকডার ফালি সহস] ঢকেছে নালি ঘাযে।

ঘরের ভিতর কেউ খোযারি ভাঙছে বলে কপাটের জং

নিরসত হয না তার নিজের কষযের বযবপাযে, আগাগোডা গহকেই চৌচির করেছে বরং; অরেগপিকোর ভরাণ নরকের সরাযের চাযে

করমেই অধিক ফিকে হ'যে আসে? নানারপ জযামিতিক টানের ভিতরে

সবরগ মতয পাতালের কযাশীর মতন মিলনে

একটি গভীর ছাযা জেগে ওঠে মনে;

অথবা তা” ছায৷ নয-_জীব নয হষির দেযালের 'পরে।

আপাদমসতক আমি তার দিকে তাকাযে রযেছি;

গগযার ছবির মতো-_ তব গগযার চেযে গর হাত থেকে

বেরিযে সে নাকচোখে কচিৎ ফটেছে টাযে-টাযে ;

নিভে যায-_ জলে ওঠে, ছাযা, ছাই, দিবযযোনি মনে হয তাকে ।

সবতিতারা শকতার৷ সথরষের ইসকল খলে সে-ম।ছষ নরক বা মতযে বাহাল

হ'তে গিযে বধ মেষ বশচিক সিংহের পরাতঃকাল

ভালোবেসে নিতে যায কনতা মীন মিথনের কলে ।

৯৯

তিমিরহননের গান

কোনো হরদে

কোথাও নদীর ঢেউযে

কোনে এক সমদরের জলে

পরসপরের সাথে ছ-দণড জলের মতো মিশে

০েই এক তোববেল! শতাবদীর সরযের নিকটে

আমাদের জীবনের আলোডন-_

হযতো! বা জীবনকে শিখে নিতে চেযেছিলো ।

অনয এক আকাশের মতো চোখ লিযে

আমরা হেসেছি,

আমরা খেলেছি ঃ সমরণীয উততরাধিকারে কোনো গলানি নেই ভেবে একদিন ভালোবেসে গেছি ।

সেই সব রীতি আজ মবতের চোখের মতো! তব _

তারার আলোর দিকে চেযে নিবালোক ।

হেমনতের পরাসতরের তারার আলোক ।

সেই জের টেনে আজো খেলি ।

সরধযীলে।ক নেই-__ তব-_ সযালোক মনোরম মনে হ'লে হাসি ।

সবতই বিমরষ হযে ভদর সাধারণ চেযে ছযাখে তব সেই বিষাদের চেযে আবে বেশি কালো-কালে। ছায।

লঙগরখানার অনন খেযে

মধযবিতত মানষের বেদনার নিরাশার হিসেব ডিডিযে

নরদমার থেকে শনয ওভাবরতরিজে উঠে নরদমায নেমে-

ফটপাত থেকে দর নিরততর ফটপাতে গিযে নকষতরের ০জযাতসায ঘমাতে বা মরে যেতে জানে ।

এব সব এই পথে ॥

১৩০৩৩

ওরা সব ওই পথে-- তব

মধযবিতমদির জগতে

আমর! বেদনাহীন-_ অনতহীন বেদনার পথে । কিছ নেই__- তব এই জের টেনে খেলি; সরযালোক পরজঞাময মনে হ'লে হাসি;

জীবিত বা মবত রমণীর মতো ভেবে__ অনধকারে--

. মহানগরীর মগনাভি ভালোবাসি ।

৬/তিমিরহননে তব অগরসর হ"যে

আমরা কি তিমিরবিলাসী ?

আমরা তো তিমিরবিনাশী

হ'তে চাই ।

আমরা তো তিমিরবিনাশী ।-

জহ

সাণটা করজ থেকে নেমে অপরাহছে জসথর সমদরপারে গিযে

কিছটা সতবত। ভিকষা! করেছিলো সরযের নিকটে থেমে সোমেন পালিত ; ংলার থেকে এত দরে এসে__-সমাজ, দরশন, ততব, বিজঞান হারিযে,

পরেমকেও যৌবনের কামাখযার দিকে ফেলে পশচিমের সমদরের তীরে ভেবেছিলো বালির উপর দিযে সাগরের লঘচোখ কাকডার মতন শরীরে ধবল বাতাস খাবে সারাদিন ; যেইখানে দিন গিযে বসরে গডায-_ বছর আযর দিকে__ নিকেল-ঘডির থেকে সরযের ঘডির কিনারায মিশে যায-__ সেখানে শরীর তার নটকান-রকতিম রৌদরের আডালে অরেগককোযাশ খাবে হযতো বা, বোশবাযের “টাইমস*টাকে

বাতাসের বেলনে উডিযে, বরতল মাথায সরয বালি ফেনা অবসর অরণিমা ঢেলে, হাতির হাওযার লপত কযেতের মতো দেবে নিমেষে ফরিযে

চিনতার বদবদদের | পিঠের ওপার থেকে তব এক আশচরয সংগত

১০৯

দেখা দিলে? ঢেউ নয, বালি নয, উনপঞচাশ বায, সরয নয কিছ-__ সেই রলরোলে তিন চার ধন দরে-দরে এযোরোডরোমের কলরব লকষয পেলো অচিরেই-_- কৌতহলে হষট সব সথর দীডালো তাহাকে ঘিরে বষ মেষ বশচিকের মতন পরচর ; সকলেরই ঝি'ক চোখে-__ কাধের উপরে মাথা-পিছ

কোথাও দবিরকতি নেই মাথার বযথার কথা ভেবে। নিজের মনের ভলে কখন সে কলমকে খডেগর চেযে

বযাপত মনে ক'রে নিযে লিখেছে ভমিকা, বই সকলকে সনবোধন ক'রে !

কখন সে বজেট-মিটিং, নারী, পারটি-পলিটিকস, মাংস, মারমীলেড ছেডে অবতার বরাহকে শরেষঠ মনে করেছিলো; টোমাটোর মতো! লাল গাল নিযে শিশদের ভিড ককরের উৎসাহ, ঘোডার সওযার, পাশ, মেম, খোজা, বেছইন, সমদরের তীর,

জহ, সথয, ফেনা, বালি-_- সাণটা করজে সব চেযে পররতিময আতমকরীড সে ছাডা তবে কে আর ? যেন তার দই গালে নিরপম দাডির ভিতরে

ছটো৷ বৈবাহিক পেচা তরিভবন আবিষকার ক'রে তব ঘরে বসে আছে ঃমনসী, সাভারকর, নরীমযান তিন দষটিকোণ থেকে নেমে এসে দেখে গেল, মহিলার। মররের মতো! সবচছ কৌতহলভরে, অবযয শিলপীরা সব : মেঘ না চাইতে এই জল ভালোবাসে ।

সমযের কাছে

সমযের কাছে এসে সাকষয দিযে চ'লে যেতে হয

কি কাজ করেছি আর কি কথা ভেবেছি।

সেই সব একদিন হযতো বা কোনো! এক সমদরের পাবে আজকের পরিচিত কোনে! নীল আভার পাহাডে

অনধকারে হাডকঙকরের মতো শযে

নিজের আযর দিন তবও গণনা ক'রে যায চিরদিন) নীলিমার থেকে ঢের দরে স'রে গিযে,

১০

সরযের আলোর থেকে অসতহিত হযে £

পেপিরাসে-- সেদিন পরিনটিং পরেসে কিছ নেই আর; পরাচীন চীনের শেষে নবতম শতাবদীর চীন

সেদিন হারিযে গেছে।

আজকে মানব আমি তবও তো হষটির হদযে হৈমসতিক সপনদনের পথের ফসল ;

আর এই মানবের আগামী কঙগীল ২

আর নব-_

নব-নব মানবের তরে

কেবলি অপেকষাতর হ'যে পথ চিনে নেওযা

চিনে নিতে চাওযা ;

আর সে-চলার পথে বাধ দিযে অননের সমাপতিহীন কষধা ;

(কেন এই কষধা কেনই সমাপতিহীন !) যারা সব পেযে গেছে তাদের উচছিষট,

যার। কিছ পায নাই তাদের জঞজাল ; আমি এই সব।

সমযের সমদরের পারে

কালকের ভোরে আর আজকের এই অনধকারে

সাগরের বডো শাদ! পাখির মতন

দইটি ছডানো! ডানা বক নিযে কেউ কোথাও উচছল পরাণশিখা জবালাযে সাহস সাধ সবপন আছে-_- ভাবে।

ভেবে নিক-_- যৌবনের জীবনত পরতীক : তার জয * পরৌডিতার দিকে তব পথিবীর জঞানের বযস অগরসর হ'যে কোন‌ আলোকের পাখিকে দেখেছে ?

৯০৩

জয, তার জয, যগে-যগে তার জয!

ডোডে]| পাখি নয।

মানষেরা বার-বার পথিবীর আযতে জনমেছে ;

নব-নব ইতিহাস-সৈকতে ভিডেছে তবও কোথাও সেই অনিরবচনীয সবপনের সফলতা-_ নবীনতা-_ শভর মানবিকতার ভোর ?

নচিকেতা জরাধসর লাওৎসে এপজেলো রশো লেনিনের মনের পথিবী হান! দিযে আমাদের সমরণীয শতক এনেছে?

অনধকারে ইতিহাসপরষের সপরতিভ আঘাতের মতো মনে হয যতই শাসতিতে সথির হ'যে ষেতে চাই ; কোথাও আঘাত ছাডা-_ তবও আঘাত ছাড! অগরসর সরযালোক নেই। হে কালপরষ তারা, অননত দবনদের কোলে উঠে যেতে হবে

কেবলি গতির গণগান গেযে-_ সৈকত ছেডেছি এই সবচছনদ উৎসবে ; নতন তরঙগে বৌদরে বিপলবে মিলনসথযে মানবিক রণ করমেই নিসতেজ হয, করমেই গভীর হয মানবিক জাতীয মিলন ? নব-নব মতযশবদ রকতশবদ ভীতিশবদ জয ক'রে মানষের চেতনার দিন অমেয চিনতায খযাত হ'যে তব ইতিহাসভবনে নবীন

হবে না কি মানবকে চিনে-_- তব পরতিটি বযকতির ষাট বসপতের তরে ! সেই সব সথনিবিড উদবোধনে-_- আছে আছে আছে" এই বৌধির ভিতরে

চলেছে নকষতর, রাতরি, সিনধ, রীতি, মানষের বিষয হদয ; জয অনতসথয, জয; অলখ অরণোদয, জয ।

১৪

জনানতিকে

তোমাকে দেখার মতো! চোখ নেই-__ তব১ গভীর বিসমযে আমি টের পাই-_ তমি আজে এই পথিবীতে বযে গেছ।

কোথাও পাননা নেই পথিবীতে আজ ;ঃ বহদিন থেকে শানতি নেই।

নীড নেই পাখিরো মতন কোনো হদযের তরে ।

পাখি নেই। মানষের হদযকে না জাগালে তাকে

ভোর, পাখি, অথবা বসমতকাল ব'লে

আজ তার মানবে কি কবরে চেনাতে পারে কেউ ।

চারিদিকে অগণন মেশিন ও মেশিনের দেবতার কাছে

নিজেকে সবাধীন ব'লে মনে ক'রে নিতে গিযে তব মানব এখনও বিশঙখল ।

দিনের আলোর দিকে তাকালেই দেখ! যায লোক

কেবলি আহত হ+যে মত হযে সতবধ হয;

এ ছাডা নিরমল কোনে! অননীতি নেই ।

যে-মাছষ-__ যেই দেশ টিকে থাকে সে-ই বযকতি হয__ রাজয গডে-_ সামরাজযের মতো! কে।নে। ভমা

চায। বযকতির দাবিতে তাই সামরীজয কেবলি ভেঙে গিযে

তারই পিপাসায

গণডে ওঠে ।

এ ছাডা অমল কোনো! রাজনীতি পেতে হ'লে তবে

উজজবল সমযসরোতে চলে যেতে হয ।

সেই শবোত আজো এই শতাবদীর তরে নয। সকলের তরে নয ।

পঙগপালের মতো মানষেরা চরে ;

ঝ'রে পডে।

এই সব দিনমান মবতয আশা আলো গনে নিতে

বযানত হ'তে হয।

৮ নবপরসথানের দিকে হদয চলেছে 1৮

চোখ না এডাযে তব অকসমাৎ কখনো! ভোরের জনাসতিকে

চোখে থেকে যায

আবরো-এক আভা] :

আমাদের এই পথিবীর এই ধষট শতাবদীর হদযের নয__ তব হদযের নিজের জিনিস হযে তমি রযে গেছ ।

তোমার মাথার চলে কেবলি রাতরির মতো! চল

তারকার অনটনে বযাপক বিপল

বাতের মতন তার একটি নিরজন নকষতরকে

ধ'বে আছে ।

তোমার হদযে গাযে আমাদের জনমানবিক রাতরি নেই । আমাদের পরাণে এক তিল

বেশি রাতরির মতো! আমাদের মীনবজীবন

পরচারিত হ*যে গেছে বঃলে-_ নারি,

সেই এক তিল কম

আরত রাতরি তমি ।

শধ অনতহীন ঢল, মানব-খচিত সাকো, শধ অমানব নদীদের অপর নারীর ক তোমার নারীর দেহ ঘিরে ;

অতএব তার সেই সপরতিভ অমেয শরীরে

আমাদের আজকের পরিভাষ]1 ছাডা আরো নারী

আছে । আমাদের যগের অতীত এক কাল বযে গেছে ।

নিজের নডির "পরে সারাদিন নদী সরযের__ সথরের বীথি, তব নিমেষে উপল নেই-_- জলও কোন‌ অতীতে মরেছে ; তবও নবীন নডি-_ নতন উজজবল জল নিযে আসে নদী;

জানি আমি জানি আদি নারী শরীরিণীকে সথতির

( আজকে হেমনত ভোরে ) সে কবের আধার অবধি ;

সযগির ভীষণ অম] কষমীহীনতায

মানবের হদযের ভাঙা নীলিমা

বকলের বনে-মনে অপার রকতের ঢলে গলেশিযারে জলে

অসতী না হ'যে তব সমরণীর অনসত উপলে পরিযাকে পীডন ক'রে কোথায নভের দিকে চলে ।

সরযতামসী

কোথা ও পাখির শবদ শনি; কোনো দিকে সমদরের সর ;

কোথাও ভোরের বেলা বযে গেছে__ তবে।

অগণন মানষের মতয হ'লে__ অনধকারে জীবিত ও মবতের হদয বিসমিতের মতো চেযে আছে ;

এ কোন‌ পিনধর সর :

মরণের__ জীবনের ?

একি ভোর ?

অননত রাতরির মতো মনে হয তব।

একটি রাতরির বযথা স*যে-_

সময কি অবশেষে এরকম ভোরবেলা হ*যে

আগামী রাতের কালপরষের শশত বকে ক'রে জেগে ওঠে।

কোথাও ভানার শবদ শনি; কোনো দিকে সমদরের সবর

দকষিণের দিকে,

উততরের দিকে,

পশচিমের পানে ।

সযজনের ভযাবহ মানে; তব জীবনের বসসতের মতন কলযাণে *

সরযালোকিত সব সিনধ-পাখিদের শবদ শনি;

ভোরের বদলে তব সেইখানে রাতরি-করোজজল

হিবযেনা, টোকি ও, রোম, মিউনিখ__ তমি ? সারথবাহ, সারথবাহ, ওই দিকে নীল সমদরের পরিবরতে আটলানটিক চাটাণর নিখিল মরভমি !

বিলীন হয ন। মাযামগ-__ নিতয দিকদখিন ; অনভব ক'রে নিযে মানষের কলীসত ইতিহাস

যা জেনেছে_-য। শেখেনি__

সেইপনহাশমশ/নের গরভাঙকে ধপের মতো! জ'লে

জাগে নাকি হে জীবন-_- হে সাগর-_ শকসত-করানতির কলরোলে।

বিভিনন কোরাস

পথিবীতে ঢের দিন বেচে থেকে আমাদের আজ

এখন মতযর শবদ শোনে দিনমান ।

হদযকে চোখঠার দিযে ঘমে রেখে হযতো ছযোগে তপতি পেতে পারে কান;

এ-রকম একদিন মনে হযেছিলো ;

অনেক নিকটে তব সেই থোর ঘনাযেছে আজ ;

আমাদের উচ-নিচ দেযালের ভিতরে খোডলে ততোধিক গনাগার আপনার কাজ

ক'রে যায ;£ ঘরের ভিতর থেকে খসে গিযে সমভতির মন

বিভীষণ, নসিংহের আবেদন পরিপাক ক'রে

ভোরের ভিতর থেকে বিকেলের দিকে চলে যায,

১৩০৮

রাতকে উপেকষা ক'রে পনবায ভোরে

ফিরে আসে ; তবও তাদের কোনো বাসসথান নেই, যরদিও বিশবাসে চোখ বজে ঘর করেছি নিরমাণ

ঢের আগে একদিন ; গরাপাচছাদন কেই তবও তাদের, যদিও মাটির দিকে মখ রেখে পথিবীর ধান

রযে গেছি একদিন? অনয সব জিনিস হারাযে,

সমনত চিনতার দেখ ঘরে তব তাহাদের মন

অলোকসামানতভাবে সথচিসতাকে সথচিসতাকে অধিকার ক'রে

কোথাও সমমখে পথ, পশচাদগমন

হারাযেছে-- উতরোল নীরবতা আমাদের ঘরে ।

আমর] তো বহদদিন লকষয চেযে নগরীর পথে

হেটে গেছি; কাজ ক'রে চ'লে গেছি অরথভোগ ক'রে

ভোট দিযে মিশে গেছি জনমতামতে ।

গরনথকে বিশবাম ক'রে প'ডে গেছি ;

সহধমীদের সাথে জীবনের আখডাই, সবাকষরের অকষরের কথা মনে ক'রে নিযে ঢের পাপ ক'রে, পাপকথ। উচচারণ ক'রে,

তবও বিশবাসতরষট হযে গিযে জীবনের যৌন একাগরতা হারাইনি ; তবও কোথাও কোনো পরীতি নেই এতদিন পরে ।

নগরীর রাজপথে মোডে-মোডে চিহন পডে আছে;

একটি মতের দেহ অপরের শবকে জডাযে

তবও আতঙকে হিম__ হযতে। দবিতীয কোনো! মরণের কাছে । আমাদের অভিজঞতা, জঞান, নারী, হেমনতের হলদ ফসল

ইতসতত চ”লে যায যে যাহার ববরগের সনধানে;

কার মখে তবও দবিরকতি নেই-__ পথ নেই ব'লে, যথাসথান থেকে খসে তবও সকলি যথাসথানে রযে যায; শতাবদীর শেষ হ'লে এরকম আবিষট নিযম

নেমে আসে; বিকেলের বারানদার থেকে মৰ জীরণ নরনাবী

চেযে আছে পডনত রোদের পারে সরযের দিকে :

খগহীন মণডলের মতো! বেলোযারি ।

নিকটে মরর মতো মহাদেশ ছডাযে রযেছে :

যতদর চোখ যায__ অনথভব করি ;

তব তাকে সমদরের তিতীর আলোর মতো মনে ক'রে নিযে আমাদের জানালায অনেক মানষ,

চেযে আছে দিনমান হেযালির দিকে।

তাদের মখের পানে চেযে মনে হয

হযতো বা সমদরের সথর শোনে তারা,

ভীত মখশরীর সাথে এবকম অননয বিলময

মিশে আছে; তাহারা অনেক কাল আমাদের দেশে

ঘরে-ফিরে বেডিযেছে শারীরিক জিনিসের মতো;

পরষের পরাজয দেখে গেছে বাসতব দৈবের সাথে রণে)

হযতো বসতর বল জিতে গেছে পরজঞাবশত ;

হযতো! বা দৈবের অজেয কষমতা-__

নিজের কষমতা তার এত বেশি ব'লে

শনে গেছে ঢের দিন আমাদের মখের ভণিতা ;

তবও বকততা শেষ হ'যে যায বেশি করতালি শর হ'লে। এরা তাহা জানে সব।

আমাদের অনধকারে পরিতযকত খেতের ফসল

ঝাডে-গোছে অপরপ হ'যে উঠে তব

বিচিতর ছবির মাযাবল |

ঢের দরে নগরীর নাভির ভিতরে আজ ভোরে যাহার! কিছই সথষটি করে নাই তাহাদের অবিকার মন

শঙখলায জেগে উঠে কাজ করে-__ রাতরে ঘমায পরিচিত সথতির মতন ।

সেই থেকে কলরব, কাডাকাডি, অপমতয, ভাতবিরোধ, অনধকার সংসকার, বযাজসততি, ভয, নিরাশার জনম হয ।

সমদরের পরপার থেকে তাই নমিতচকষ নাবিকেরা আমে;

ঈশবরের চেযে সপরশময

আকষেপে পরসতত হ"যে অরধনারীশবর

১১৩

তরাইযের থেকে লবধ বঙগোপসাগরে

সবকমার ছাযা ফেলে সযিমামার

নাবিকের লিবিডোকে উদবোধিত করে।

ঘাসের উপর দিযে ভেসে যায সবজ বাতাস।

অথবা সবজ বঝি ঘাস।

অথবা নদীর নীম মনে ক'রে নিতে গেলে চারিদিকে পরতিভাত

হযে উঠে নদী

দেখ! দেয বিকেল অবধি;

অসংখয হধের চোখে তরঙগের আননদে গডাযে

ডাইনে আব বীযে

চেযে গযাখে মাজষের ছঃখ, কলানতি, দীপতি, অধঃপতনের সীমা;

উনিশশো বেযালিশ সালে ঠেকে পনরায নতন গরিমা

পেতে চায পোযা, রকত, অনধ আধারের খাত বেযে;

ঘাসের চেযেও বেশি মেযে;

নদীর চেযেও বেশি উনিশশো তেতাললিশ, চযালিশ, উতকরানত পরষের হাল;

কামানের উরধে বৌদরে নীলাকাশে অমল মবাল ভারতসাগর ছেডে উডে যায অনয এক সমদরের পানে__

মেঘের ফোটার মতো সবচছ, গডানে ;

সথবাতানস কেটে তারা পালকের পাখি তব) ওরা এলে সহসা রোদের পথে অননত পারলে

ইমপাতের সথচীমখ ফটে ওঠে ওদের কীধের "পরে, নীলিমার তলে;

অবশেষে জাগরক জনসাধারণ আজ চলে?

বিরংসা, অনযায, রকত, উৎকোচ, কানা ঘষো, ভয

চেযেছে ভাবের ঘরে চরি বিনে জঞান ও পরণয? মহাসাগরের জল কখনে! কি সংবিজঞাতার মতো হযেছিলো সথির"

নিজের জলের ফেনশির

নীডকে কি চিনেছিলো তনবাত নীলিমার নিচে ? না হ'লে উচছল সিনধ মিছে ?

তবও মিথয। নয : সাগরের বালি পাতালের কালি ঠেলে সমযকখযাত গণে অনধ হযে, পরে আলোকিত হযে গেলে

তব

সে অনেক রাজনীতি রগন নীতি মারী

মনবনতর যদধ খণ সমযের থেকে

উঠে এসে এই পথিবীর পথে আডাই হাজার

বছরে বযসী আমি ;

বদধকে সবচকষে মহানিরবাণের আশচরয শাসতিতে

চ'লে যেতে দেখে-__ তব অবিরল অশানতির দীপতি ভিকষা ক'রে

এখানে তোমার কাছে দরীডাযে রযেছি ;

আজ ভোরে বাংলার তেরোশো! চযানন সাল এই কোথাও নদীর জলে নিজেকে গণন1 ক'রে নিতে ভলে গিযে

আগামী লোকের দিকে অগরসর হযে যায ;ঃ আমি

তবও নিজেকে রৌধ ক'রে আজ থেমে যেতে চাই তোমার জোতির কাছে; আডাই হাজার বছর তা হ'লে আজ এইখানে শেষ হ'যে গেছে ।

নদীর জলের পথে মাছরাঙা ভান বাডাতেই

আলো ঠিকরাযে গেছে__ যারা পথে চ*লে যায তাদের হদযে ; সষির পরথম আলোর কাছে ; আহা,

অনতিম আভার কাছে; জীবনের ধতিহীন পরগতিশীলতা

নিখিলের সমরণীয সতয বলে পরমাণিত হযে গেছে; ছযাখো

পাখি চলে, তার! চলে, সরয মেঘে জলে যায, আমি

তবও মধযম পথে দরীডাযে রযেছি-_ তমি ঈীডাতে বলোলি।

৯২

আমাকে গযাখোনি তমি ; দেখাবার মতো অপবযযী কলপনার ইনদরতবের আসনে আমাকে

বসালে চকিত হযে দেখে যেতে যদদি-_ তব; সে-আসনে আমি যগে-যগে সামযিক শকরদের বসিযেছি, নারি, ভালোবেসে ধবংস হ'যে গেছে তা'রা সব।

এ-রকম অনতহীন পটভমিকায_- পরেমে-_

নতন ঈশবরদের বার-বার লপত হ'তে দেখে আমারে হদয থেকে তরণতা হাবাযে গিযেছে ; অথচ নবীন তমি ।

নারি, তমি সকালের জল উজজলতা! ছাডা পথিবীর কোনে নদীকেই বিকেলে অপর ঢেউযে খরশান হ'তে

দিতে ভলে গিরেছিলে ; রাতের পরথর জলে নিযতির দিকে

বহে যেতে দিতে মনে ছিলে! কি তোমার ?

এখনও কি মনে নেই?

আজ এই পথিবীর অনধকারে মানষের হদযে বিশবাস

কেবলি শিখিল হ'যে যায; তব তমি

সেই শিথিলতা নও, জানি, তব ইতিহাসরীতিপরতিভার

মখোমখি আবছাযা দেযালের মতো! নীল আকাশের দিকে

উধবে” উঠে যেতে চেযে তমি আমাদের দেশে কোনে! বিশবাসের দীরঘ তর নও ।

তব, কী যে উদযের সাগরের পরতিবিমব জলে ওঠে রোদে !

উদয সমাপত হযে গেছে নাকি সে অনেক আগে?

কোথাও বাতাস নেই, তব মরমরিত হ'যে ওঠে উদযের সমদরের পারে।

১৫ ১৯৩

কোনো পাখি কালের ফোকরে আজ নেই, তব, নব‌ হষটিমরালের মতো! কলসবরে কেন কথা বলি ; কোনো নারী

নেই, তব আকাশহংসীর কণঠে ভোরের সাগর উতরোল।

পথিবীতে

শসতের ভিতরে রৌবরে পথিবীর সকালবেলায কোনে! এক কবি ঝকসে আছে;

অথবা সে কারাগারে কযামপে অনধকারে ;

তবও সে পরীত অবহিত হ'যে আছে

এই পথিবীর রোদে-_ এখানে রাতরির গনধে-_ নকষতরের তরে

তাই সে এখানক।র কলানত মানবীয পরিবেশ

সবসথ করে নিতে চায পরিচছনন মাষের মতে।,

সব ভবিতবয তার অনধকারে দেশ

মিশে গেলে; জীবনকে সকলের তরে ভালো ক'রে

পেতে হ'লে এই অবসনন শন পথিবীর মতো

অসরান, অকলানত হ”যে বেচে থাকা চাই।

একদিন সবরগে যেতে হতো ।

১১৪

এই সব দিনরাতরি

মনে হয এর চেযে অনধকারে ডবে যাওযা ভালো ।

এইখানে

“পথিবীর এই কলানত এ অশানত কিনারার দেশে এখানে আশচষ সব মানষ রযেছে ।া

তাদের সমরাট নেই, সেনাপতি নেই; তাদের হদযে কোনে! সভাপতি নেই; শরীর বিবশ হলে অবশেষে টরেড-ইউনিযনের

গরেসের মতা কোনো আশা হতাশার

কোলাহল নেই ।

অনেক শরমিক আছে এইখানে ।

আরো ঢের লোক আছ

সঠিক শরমিক নয তার! । বাভাবিক মধযশরেণী নিমশরেণী মধযবিতত শরেণীর পরিধি থেকে ঝ"রে

এর। তব সবত নয; অসতবিহীন কাল মতবৎ ঘোরে ।

নামগলো! কশরী নয, পথিবীর চেন।-জান। নাম এই সব।

আমরা অনেক দিন এ-সব নামের সাথে পরিচিত ঃ তব,

গহ নীড শিরদেশ সকলি হারাযে ফেলে ওরা জানে না কোথায গেলে মানষের সমাজের পারিশরমিকের

মতন নিদিঞ& “কানে! শরমের বিধান পাওযা যাবে;

জানে না কোথায গেলে জল তেল খাছ পাওযা যাবে;

অথবা কোথায মকত পরিচছনন বাতাসের সিনতীর আছে ।

মেডিকেল কযানবেলের বেলগাছিযার

ঘাদবপরের বেড কাচডাপাডার বেড সব মিলে কতগলো! সব?

ওর। নয-_- সহসা ওদের হ'যে আমি

১১৫

কাউকে সথধাযে কোনে! ঠিকমতো জবাব পাইনি । বেড আছে, বেশি নেই_- সকলের পরযোজনে নেই । যাদের আসতানা! ঘর তললিতলপ! নেই

হাসপাতালের বেড হযতে। তাদের তধে নয।

বটতলা মচিপাডা তালতলা জৌডাসাকো-_ আরো ঢের বযরথ অনধকারে

যার ফটপাত ধ'রে অথবা টরামের লাইন মাডিযে চলছে

তাদের আকাশ কোন‌ দিকে?

জান ভেঙে পডে গেলে হাত কিছকষণ আশা শীল

হযে কিছ চায-_ কিছ খোজে;

এ ছাড আকাশ আর নেই।

তাদের আকাশ

সবদাই ফটপাতে ;

মাঝে-মাঝে এমকলেনস‌ গাডির ভিতরে রণকলানত নাবিকেরা ঘরে

ফিরে আসে

যেন এক অসীম আকাশে ।

এ-রকম ভাবে,চ'ন দিন.যদি বাত হয, রাত যদি হ'যে যায দিন,

পদচিহময পথ হয যদদি দিকচিহহীন, কেবলি পাথরেঘাট। নিমতল চিৎপর-_

খালের এপার-ওপার রাজাবাজারের অসপনঘ নিরদেশে

হাঘরে হাভাতেরদের তবে

অনেক বেডের পরযোজন;

বিশরামের পরযোজন আছে;

বিচিতর মতযর আগে শানতির কিছটা পরযোজন । হাসপাতালের জনযে যাহাদের অমলয দাদন,

কিংবা যার। মরণের আগে মতদের

১১৩৬

জাতিধরম নিবিচারে পকলকে-_ সব তচছতম আরতকে ও শরীরের সামবন1! এনে দিতে চায,

কিংবা যারা এই সব মতয রোধ ক'রে এক সাহসী পথিবী সবাতাস সমজল সমাজ চেযেছে-”

তাদের ও তাদের পরতিভ! পরেম সংকলপকে ধনযবাদ দিযে

মানষকে ধনযবাদ দিযে যেতে হয।

মানষের অনিংশেষ কাজ চিনতা কথা

রকতের নদীর মতো! ভেসে গেলে, তারপর, তব, এক অমলয মগধত।

অধিকার ক'রে নিযে করমেই নিরমল হ'তে পারে।

ইতিহাস অরধপতযে কামাচছনন এখনো কালের কিনারায ; তবও মানষ এই জীবনকে ভালোবাসে ; মানষের মন

জানে জীবনের মানে : সকলের ভালে ক'রে জীবনযাপন ।

কিনত সেই শভ রাষটর ঢের দরে আজ । চারিদিকে বিকলাঙগ অনধ ভিড-_ অলীক পরযাণ ।

মনবমতর শেষ হ'লে পনরায নব মনবসতর ;

যদধ শেষ হ'যে গেলে নতন যদধের নানদীরোল ; মানষের লালসার শেষ নেই ; উততেজন1! ছাডা কোনো দিন খত কষণ

অবৈধ সংগম ছাড সথখ

অপরের মখ শান ক'রে দেওযা ছাডা পরিয সাধ

নেই।

কেবলি আপন থেকে বডা, নবতর

সিংহাসনে যাওয। ছাডা গতি নেই কোনো ।

মানষের হঃখ কষট মিথযা নিকষলতা বেডে যায।

মনে পডে কবে এক রাতরির সবপনের ভিতরে

শনেছি একটি কষঠকলকষিত নাবী

১১৭

কেমন আশচষ গান গায।

বোবা কাল! পাগল মিনসে এক অপরপ বেহাল] বাজায;

গ।নের ঝঙকারে যেন মে এক একানত শযাম দেবদার গাছে

রাতরির বরণের মতে। কালো-কালো শিকষারী বেডাল

পরেম নিবেদন করে আলোর রঙের মতে। অগণন পাখিদের কাছে;

ঝর ঝর ঝর‌ সারারাত শরাবণের নিরগলিত কলেদরকত বষটির ভিতর

এ-পথিবী ঘম সবপন রদধশবাস

শঠতা রিরংস মতয নিযে

কেমন পরমতত কালে গণিকার উললোল সংগীতে

মখের বযাদান সাধ হরদানত গণিকালয__ নরক শমশান হলো সব।

জেগে উঠে আমাদের আজকের পথিবীকে এরকম ভাবে অনভব

আমিও করেছি রোজ সকালের আলোর ভিতরে

বিকেলে- রাতরির পথে হেটে;

দেখেছি রজনীগনধা নারীর শরীর অনন মখে দিতে গিযে

আমরা অঙগার রকত : শতাবদীর অনতহীন আগনের ভিতরে দাডিযে ।

এ-আগন এত রকত মধযযগ দেখেছে কখনে। ?

তবও সকল কাল শতাবদীকে হিসেব নিকেশ ক'রে আজ

শভ কাজ সচনার আগে এই পথিবীর মানবহদয

মলিপধ হয-_ বীতশোক হয ?

মানষের সব গণ শানত নীলিমার মতো ভালো ?

দীনতা। : অসভিম গণ, অনতহীন নকষতরের আলো ।

৯১৮

লোকেন বৌসের জরনাল

সথজাীতাকে ভালোবাসতাম আমি-_

এখনে কি ভালোবাসি ?,

সেটা অবসরে ভাববার কথা,

অবসর তব নেই; তব একদিন হেমসত এলে অবকাশ পাওযা যাবে; এখন শেলফে চারবাক ফরযেড পলেটে! পাভলভ. ভাবে হজাতাকে আমি ভীলোবাসি কি না।

পরোনে! চিঠির ফাইল কিছ আছে : সবজাতা লিখেছে আমার কাছে,

বারো তেরো কডি বছর আগের সে-সব কথা;

ঘশইল নাডা কি যে মিহি কেরানীর কাজ;

নাডবো না আমি,

নেডে কার কি সে লাভ)

মনে হয যেন অমিত সেনের সাথে সথবকদের ভাব,

সথবলেরই শধ? অবশয আমি তাকে মানে এই-- এই অমিত বলছি যাকে__

কিনত কথাট। থাক;

কিনত তবও__

আজকে হদয পথিক নয তো! আব,

নারী যদি মগতষণার মতে তবে

এখন কি ক'রে মন কারাভান হবে।

পরো হদয, তমি সেই সব মগতষিকাতালে ঈষৎ সিমমে হযতো কখনো! বৈতাল ঘরভমি, হদয, হদয তমি!

১১৯

তারপর তমি নিজের ভিতরে ফিরে এসে তব চপে মরীচিকা জয করেছে বিনযী যে ভীষণ নামরপে_- সেখানে বালির সৎ নীরবতা ধধ পরেম নয তব পরেমেরই মতন শধ ।

অমিতা সেনকে সথবল কি ভালোবাসে ?

অমিত নিজে কি তাকে?

অবসর মতো কথ ভাবা যাবে,

ঢের অবসর চাই; দর বরহগাগকে তিলে টেনে এনে সমাহিত হওযা চাই;

এখনি টেনিসে যেতে হবে তব, ফিরে এসে রাতে বলবে;

কখন সময হবে।

হেমনতে ঘাসে নীল ফল ফোটে-_

হদয কেন যে কাপে, রর

ভালোবাসতাম*_ সবতি-_ অঙগার পাপে

তকিত কেন রযেছে বরতমান ।

সে-ও কি আমায-_ সজাত আমায ভালোবেসে ফেলেছিলো ?

আজো! ভালোবাসে নাকি?

ইলেকটরনের! নিজ দৌষগণে বলযিত হ*যে রবে; কোনো অনতিম কষালিত আকাশে এর উততর হবে?

সথজাতা এখন ভবনেশবরে ;

অমিত কি মিহিজামে ?

বহদিন থেকে ঠিকানা না জেনে ভালোই হযেছে__ সবই । ঘাসের ভিতরে নীল শাদা ফল ফোটে হেমসতরাগে ;

সমযের এই সথির এক দিক,

তবসথিরতর নয;

পরতিটি দিনের নতন জীবাণ আবার সথাপিত হয।

৯২২০

৯৯৪৬-৪৭

দিনের আলোয ওই চারিদিকে মানষের অসপষট বযসততা : পথে-ঘাটে টরাক টরামলাইনে ফটপাতে ; কোথাও পরের বাডি এখনি নিলেম হবে__ মনে হয, জলের মতন দামে।

সকলকে ফাকি দিযে ববরগে পৌছবে সকলের আগে সকলেই তাই।

অনেকেরই উধবশবাসে যেতে হয, তব নিলেমের ঘরবাডি আসবাব__ অথব! য| নিলেমের নয

সে-সব জিনিস

বহকে বঞচিত ক'রে দ-জন কি একজন কিনে নিতে পারে।

পথিবীতে সদ খাটে : সকলের জনতে নয।

অনিরবচনীয হণড একজন ছ-জনের হাতে ।

পথিবীর এই সব উচ লৌকদের দাবি এসে সবই নেয, নারীকেও নিযে যায।

বাকি সব মানষের। অনধকারে হেমনতের অবিরল পাতার মতন

কোথাও নদীর পানে উডে যেতে চায,

অথব| মাটির দরিকে__ পথিবীর কোনে পনংপরবাহের বীজের ভিতরে

মিশে গিযে । পথিবীতে ঢের জনম নষট হযে গেছে জেনে, তব আবার সরযের গনধে ফিরে এসে ধলো! ঘাস কসথমের অসবততবে কবে

পরিচিত জল, আলো আধো অধিকারিণীকে অধিকার ক'রে নিতে হবে

ভেবে তা'রা অনধকারে লীন হ'যে যায।

লীন হ'যে গেলে তারা তখন তো মত।

মতের! এ-পথিবীতে ফেরে ন1 কখনো ।

মতেরা কোথাও নেই ; আছে? কোনো-কোনে। অভতরাণের পথে পাযচারি-করা শানত মানষের

হদযের পথে ছাডা মতেবা কোথাও নেই বলে মনে হয;

১৬ ১২১

তা হ'লে মতযর আগে আলো অনন আকাশ নারীকে

কিছটা সসথিরভাবে পেলে ভালো হ'তো।

বাংলার লকষ গরাম নিরাশায আলোহীনতায ডবে নিসতবধ নিসতেল। সরয অনতে চ'লে গেলে কেমন সকেশী অনধকার

খোপা! বেধে নিতে আসে-_ কিনত কার হাতে?

আললাযিত হ'যে চেযে থাকে_- কিনত কার তরে?

হাত নেই__ কোথাও মানষ নেই; বাংলার লকষ গরামরাতরি একদিন

আলপনীর, পটের ছবির মতো সহাসতা, পটলচেরা চোখের মানষী

হ'তে পেরেছিলো পরায ; নিভে গেছে সব।

এইখানে নবানের ঘরাণ ওরা সেদিনও পেযেছে ; নতন চালের রসে রৌতরে কতো কাক এ-পাডার বডো মেজো...ও-পরাডার ছলে বোযেদের

ডাকশীখে উডে এসে সথধা খেযে যেত ;

এখন ট" শবদ নেই সেই সব কাকপাখিদেরও ). মানষের হাড খলি মানষের গণনার সংখযাধীন নয; সমযের হাতে অনতহীন ।

ওখানে চাদের রাতে পরানতরে চাষার নাচ হ'তো।

ধানের অদভত রস খেযে ফেলে মাঝি বাগদির

ঈশবরী মেযের সাথে

বিবাহের কিছ আগে-__ বিবাহের কিছ পরে-_ সনতানের জনমাবার আগে ।

সে-সব সনতান আজ এ-ফগের করাষটরের মঢ কলানত লৌকসমাজের ভিডে চাপা পণডে

মত পরায ; আজকের এই সব গরাময সমততির

পরপিতামহের দল হেসে খেলে ভালোবেসে অনধকারে জমিদারদের

চিরসথাযী বযবসথাকে চডকের গাছে তলে ঘমাযে গিযেছে । ওরা খব বেশি ভালো ছিলে! না; তবও আজকের মনবসতর দাঙগা ছঃখ নিরকষরতায

৯২৭

অনধ শতহছিনন গরাময পরাণীদের চেযে পথক আর-এক সপষট জগতের অধিবাসী ছিলো ।

আজকে অসপষট সব? ভালে ক'ব কথ। ভাবা এখন কঠিন ;

অনধকারে অরধসতয সকলকে জানিযে দেবার

নিযম এখন আছে ; তারপর এক অনধকারে

বাকি সতয আচ ক'রে নেওযার রেওযাজ

রযে গেছে ; সকলেই আডচোখে সকলকে দেখে ।

সযষটির মনের কথা মনে হয-_ ছেষ । সষটির মনের কথা : আমাদেরি আনতরিকতাতে

আমাদেরি সনদেহের ছাযীপাত টেনে এনে বযথা

খজে আনা । পরকতির পাহাডে পাথরে সমচছল

ঝরণার জল দেখে তারপর হদযে তাকিযে

দেখেছি পরথম জল শিহত পরাণীর রকতে লাশ

হযে আছে বলে বাঘ হরিণের পিছ আজো ধাসসঃ

মানব মেরেছি আমি__ তার রকতে আমার শরীর ভরে গেছে ; পথিবীর পথে এই নিহত ভরাতার

ভাই আমি; আমাকে সে কনিষটের মতো জেনে তব হদযে কঠিন হ'যে বধ ক'রে গেল, আমি রকতাকত নদীর কললোলের কাছে শযে অগরজপরতিম বিমঢকে

বধ ক'রে ঘমাতেছি-_ তাহার অপরিসর বকের ভিতরে মখ রেখে মনে হয জীবনের নেহশীল বরতী সকলকে আলো দেবে মনে ক'রে অগরসর হযে

তবও কোথাও কোনো আলে! নেই ব'লে খমাতেছে ।

ঘমাতেছে।

যদি ভাকি রকতের নদীর থেকে কলোলিত হযে

বলে যাবে কাছে এসে, ইযাসিন আমি,

হানিফ মহমমদ মকবল করিম আজিজ-_

১২৩

আর তমি ? আমার বকের 'পরে হাত রেখে মত মখ থেকে

চোখ তলে সথধাবে সে__ রকতনদী উদবেলিত হ'যে বলে যাবে, গগন, বিপিন,*শশী, পাথরেঘাটার ;

মানিকতলার, শযামবাজারের, গযালিফট সরিটের, এণটালীর-_+

কোথাকার কেবা জানে ; জীবনের ইতর শরেণীর

মানষ ততো এরা সব; ছেডা জতো পাযে

বাজারের পৌকাকাট। জিনিসের কেনাকাটা করে;

সযটির অপরিকলানত চারণার বেগে এই সব পরাণকণ। জেগেছিলো__ বিকেলের সথরযের বশমিতে

সহসা সবনদর ব'লে মনে হযেছিলো কোনে! উজজবল চোখের

মনীষী লোকের কাছে এই সব অনর মতন

উদভাদিত পথিবীর উপেকষিত জীবনগলোকে ।

কথরষের আলোর ঢলে রোমাঞচিত রেণর শরীরে

রেণর সংঘরষে যেই শবদ জেগে ওঠে

সেখানে সময তার অনপম কের সংগীতে

কথা বলে) কাকে বলে ? ইযাসিন মকবল শশী . সহসা নিকটে এসে কোনো-কিছ বলবার আগে

আধ খণড অননতের অনতরের থেকে যেন ঢের কথা ঝলে গিযেছিলো ; তব

অননত তো খণড নয; তাই সেই সবপর, কাজ, কথ।

অখণড অনসতভে অনতহিত হ'যে গেছে;

কেউ নেই, কিছ নেই-_ সথধ নিভে গেছে।

এ-যগে এখন ঢের কম আলো সব দিকে, তবে।

আমধা এ-পথিবীর বহদদিনক।র

কথা কাজ বযথা ভল সংকলপ চিনতার

মরযাদায গড। কাহিনীর মলয নিংডে এখন সঞচয করেছি বাকয শব ভাষা অনপম বাচনের রীতি ।

মানষের ভাষা তব অনভতিদেশ থেকে আলো

না পেলে নিছক করিযা; বিশেষণ; এলোমেলো! নিরাশয শবদের কঙকাল;

১২৪

জঞানের নিকট থেকে ঢের দরে থাকে । অনেক বিদযার দান উততরাধিকারে পেযে তব

আমাদের এই শতকের বিজঞান তো! সংকলিত জিনিসের (ভিড শধ-_ বেডে যায শধ; তবও কোথাও তার পরাণ নেই ব'লে অরথময জঞান নেই আজ এই পথিবীতে ; জঞানের বিহনে পরেম নেই।

এ-যগে কোথাও কো'নে। আলো-_ কোনো কাসতিময আলো

চোখের সথমখে নেই যাতরিকের।; নেই তো নিঃসছত অনধকার রাতরির মাযের মতো। : মাছষের বিহবল দেহের

সব দোষ পরকষালিত ক'রে দেয-_ মানষের বিহবল আতমাকে

লোকসমাগমহীন একাসতের অনধকারে অনতঃশীল ক'রে

তাকে আর কধায না অতীতের সধানে। পরশনের

উততর চায না আর-_ শধ শবদহীন মতযহীন অনধকারে খিরে রাখে, সব অপরাধ কলানতি ভয ভল পাপ

বীতকাম হয যাতে-_ এ-জীবন ধীরে-ধীরে বীততশোক হয,

সগিপধতা হদযে জাগে ; যেন দিকচিহময সমদরের পারে কযেকটি দেবদারগাছের ভিতরে অবলীন

বাতাসের পরিরক* কাছে আসে-_ মানষের রকতাকত আতমায

সে-হাওয। অনবচছিনন সথগমের-_ মাসথষের জীবন নিরমল ।

আজ এই পথিবীতে এমন মহানভব বযাপত অনধকার

নেই আর? সকবাতানম গভীরতা পবিতরতা নেই ?

তবও মানষ অনধ দরদশার থেকে নিগধ আধারের দিকে

অনধকার হতে তার নবীন নগরী গরাম উতৎপবের পানে

যে অনবনমনে চলেছে আজো-_ তার হদযের

ভলের পাপের উৎস অতিকরম ক'রে চেতনার

বলযের নিজ গণ রযে গেছে ব'লে মনে হয।

১২৫

মানষের সবতয হলে

মানষের মবতয হলে তবও মানব

থেকে যায; অতীতের থেকে উঠে আজকের মানষের কাছে পরথমত চেতনার পরিমাপ নিতে আসে ।

আজকের আগে যেই জীবনের ভিড জমেছিলো

তারা ম'রে গেছে ;

পরতিটি মানষ তার নিজের সবতনতর সততা নিযে

অনধকারে হারাযেছে ;

তব তারা আজকের আলোর ভিতরে

সঞচারিত হ”যে উঠে আজকের মানষের সথরে

ষখন পরেমের কথা বলে

অথবা জঞানের কথা-_

অননত যাতরার কথা মনে হর সে-সময

দীপধর শরজঞানের ; চলেছে-_ চলেছে-__

একদিন বদধকে সে চেযেছিলে। বলে ভেবেছিলো। একদিন ধসর পাতায যেই জঞান থাকে-__ তাকে । একদিন নগরীর ঘরোনো। সি'ডির পথ বেযে

বিজঞানে পরবীণ হ'যে-_ তব₹_ কেন অনবাপালীকে

চেযেছিলো পরণযে নিবিড হযে উঠে !

চেনেছি'লো-_

পেযেছিলো শরীমতীকে কমপর পরাসাদে :

সেই সিডি ঘরে পরায নীলিমার গাযে গিযে লাগে; সিডি উদভাসিত ক'রে রোদ;

সিডি ধরে ওপরে ওঠার পথে আরেক রকম

বাতাস ও আলোকের আসা-যাওযা সথির করে কি অসাধারণ

১২২৩৬

পরেমের পরযাণ ? তব₹_ এই শেষ অনিমেষ পথে

দেখেছে সে কোনো এক মহীযসী আর তার শিশ ; ছ-জনেই মবত।

অথবা কেউ কি নেই!

ওইখানে কেউ নেই ।

সবতয আজ নারীনদামার ককাথে ;

অনতহীন শিশফটপাতে ;

আর সেই শিশদের জনিতার কিউকলীবতায ।

সকল বৌবরের মতো! বযানড আশ যদি গোলকবাধায ঘরে আবার পরথম সথানে ফিরে আসে

শরীজঞান কী তবে চেযেছিলে! ?

সরয যদি কেবলি দিনের জনম দিযে যায,

রাতরি যদি শধ নকষতরের,

মানষ কেবলি যদি সমাজের জনম তয, সমাজ অসপষট বিপরবের,

বিপরব নিশম আবেশের, তা হ”লে শরীজঞান কিছ চেযেছিলো

নগরীর সিডি পরায নীলিমার গাযে লেগে আছে

অথচ নগরী মত ।

সে-সি'ডির আশচরয নিরজন দিগনতে এক মহীযসী,

আব তাব শিশ;

তব কেউ নেই ।

ঢের ভারতীয কাল-_ পথিবীর আম _ শেষ ক'রে জীবনের বঙগাবদ পরবের পরাসতে ঠেকে,

১২৭

পনরদযাপনের মতন আরেকবার এই

তেরোশো পঞচাশ সাল থেকে শর ক'রে ঢের দিন

আমারো হদয এই সব কথা ভেবে সষটির উৎস আর উৎসারিত মানষকে তব

ধনযবাদ দিযে যায।

কেননা সথটির নিহিত ছলন1 ছেলে-ভলোবার মতো! তব নয ; মানষও ঘমের আগে কথা ভেবে সব সমাধান

করে নিতে চায;

কথ! ভেবে হদয শকায জেনে কাজ করে।

সময এখনো! শাদা জলের বদলে বোনভাযের

নিযত বিপনন রকত রোজ

মানতধকে দিযে যায;

ফসলের পরিবরতে মানষের শরীরে মানষ

গোলাবাডি উচ ক'রে রেখে নিযতির অনধকারে অমানব।

তবও গলানির মতো! মানষের মনের ভিতরে এই সব জেগে থাকে বলে

শতকের আয-_ আধে। আয-_ আজ ফরিযে গেলেও এই শতাবদীকে তা"রা

কঠিন নিমপহভাবে আলোচন! ক'রে আশায উজজবল রাখে ; না হ'লে এ ছাডা

কোথাও অনয কোনে! পরীতি নেই । মানষের মতয হ'লে তবও মানব

থেকে যায ; অতীতের থেকে উঠে আজকের মানষের কাছে

আরো সালো__ আরো সথির দিকনিরণযের মতো চেতনার

পরিমাপে নিযসবিত কাজ

কতো দর অগরসর হ'যে গেল জেনে নিতে আসে ।

১৯২৮

অননদ।

এই পথিবীর এ এক শতচছিতর নগরী | দিন ফরলে তারার আলো খানিক নেমে আসে ।

গযাসের বাতি দাডিযে থাকে বাতের বাতাসে ।

ভরতগতি নরনারীর কষণিক শরীর থেকে

উৎসারিত ছাযার কালো ভারে

আধার আলোয মনে হ'তে পারে

এ-সব দেযাল যে-কোনো! নগরীর ; সনদেহ ভয অপরেম দবেষ অবকষযের ভিড

সরয তারার আলোয অঢেল রকত হ'তে পারে

যে-কোনোরদিন; সে কতোবার আধার বেশি শানিত হযেছে ;

বাহক নেই-_ দরসত কাল নিজেই বযেছে

নিজেবি শব নিজে মানষ,

মানবপরাণের রহসযময গভীর গহার থেকে

সিংহ শকন শেযাল নেউল সরপদসত ডেকে ।

হদয আছে বলেই মানষ, ছযাখো, কেমন বিচলিত হ'যে বোনভাযেকে খন ক'রে সেই রকত দেখে আশটে হদযে

জেগে উঠে ইতিহাসের অধম সথলতাকে ঘচিযে দিতে জঞানপরতিভ। আকাশ পরেম নকষতরকে ডাকে ।

এই নগরী যে-কোনে। দেশ ; যেকোনো পরিচযে

আজ পথিবীর মানবজাতির কষযের বলযে

অসতবিহীন ফযাকটরি করেন টরাকের শবে টরযটাফিক কোলাহলে হদযে যা হারিযে গেছে মেশিনকঠে তাকে

শনয অবলেহন থেকে ডাকে ।

তমি কি গরীস পোলযাণড চেক পযারিস মিউনিক টোকিও রোম নযইযরক করেমলিন আটলানটিক

১৭ ৯২৯

লগন চীন দিললী মিশর করাচী পযালেসটাইন ?

একটি মতয, এক ভমিকা, একটি শধ আইন ।, বলছে মেশিন । মেশিনপরতিম অধিনাযক বলে :

“সকল ভগোল নিতে হবে নতন ক'রে গডে আমার হাতে গডা ইতিহাসের ভেতরে ,

নতন সময সীমীবলয সবই তো৷ আজ আমি ; ওদের ছোয। বাচিযে আমার সতবাধিকারকামী ;

আমি সংঘ জাতি রীতি রকত হলদ নীল;

সবজ শাদা মেরন অশলীল

নিযমণডলো বাতিল করি; কালো কোরতা দিযে

ওদের ধনর পাটকিলে বফ কোরতা তাডিযে আমার অনচরের বনদ অনধকারের বার

আলোক ক'রে কী অবিনাশ ছেপ-পরিব।র।

এই দবীপই দেশ; এ-দবীপ নিখিল তবে। অনয সকল দবীপের হ'তে হবে আমার মতো-_ আমার অনচরের মতো গব। হে রকতবীজ, তমি হবে আমার আঘাত পেযে অনবতল আমির মতো শভ |”

সবাই তো৷ আজ যে যার অনতরঙগ জিনিস খজে মানবভরাতাবোনকে বকে টেনে নেবার ছলে তাদের নিকেশ ক'রে অনিরচন রকতে এই পথিবীর জলে

নানারকম নতন নামের বহৎ ভীষণ নদী হযে গেল;

এই পথিবীর সব নগরী পরিকরমা ক'রে

নতন অভিধানের শবদে ছনদে জেগে সথপরিসর ভোরে এ-সব নদী গভীরতর মানে পেতে চায-_

দিকসমযের আতল রকত কষালন ক'রে অননতগততায ;

বাসতবিকই জল কি জলের নিকটতম মানে ? হ অথব! কি মানবরকত বহন করি নিরমম অজঞানে ?

৯৩০

কি আনতরিক অরথ কোথায আছে? এই পথিবীর গোষঠীর! কি পরসপরের কাছে ভাইযের মতো : সং পরকতির সপষট উৎস থেকে

মানবসভযতার এই মলিন বযতিকরমেজেগে উঠে ? যে ষার দেহ আতমা ভালে।বেমে অমল জলকণার মতন সমদরকে এক মঠে

ধরে আছে?

ভালো ক'রে বেচে থাকার বিশদ নিরদেশে

সরধকরোজজল পরভাতে এসে

হিংসা গলানি মতযকে শেষ ক'রে

জেগে আছে?

জেগে উঠে সমযস।গরতীরে সরযনতরোতে

তবও কলানত পতিত মলিন হ'তে কি আবেদন আসছে মানষ পরতিদিনই__

কোথার থেকে শকনকরানতি বলে :

“জলের নদী? জেগে উঠক আপামরের রকত কোলাহলে !

এ-সর শর হযেছিলে| করবরষে__ বেবিলনে যে;

মানষ মানী জঞানী পরধান হযে গেছে; তবও হদযে

ভালোবাসার যৌনকযাশা কেটে যে-পরেম আসে সেটা কি তার নিজের ছাযার পরতি ?

জলের কলরোলের পাশে এই নগরীর অনধকারে আজ

আধার আরো! গভীরতর ক'রে ফেলে সভযতার এই অপার আতমরতি ;

চারিদিকে নীল নরকে পরবেশ কর।র চাবি

অসীম সবরগ খলে দিযে লকষ কোটি নরককীটের দাবি

জাগিযে তব সে-কীট ধবংস করার মতো হ”যে

ইতিহাসের গভীরতর শকতি ও পরেম রেখেছে কিছ হযতো হদযে ।

১৩১

আছে

এখন চৈতরের দিন নিভে আসে-__ আরো! নিভে আসে;

এখানে মাঠের "পরে শযে আছি ঘাসে; এসে শেষ হযে যায মানষের ইচছা কাজ পথিবীর পথে,

দ-চারটে-_ বডো জোর একশো শরতে ;

উর ময চীন ভারতের গলপ বহিঃপথিবীর শরতে হ'যে গেছে শেষ; জীবনের রপ আর রকতের নিরদেশ

পথিবীর কাম আর বিচছেদের ভমা_ মনে হয-_ এক তিলের সমান; কিনত এই চেযে থাকা, সথিতি, রাতরি, শানতি__ অফরান |

চারিদিকে বডো-বডো আকাশ ও গাছের শরীরে

সময এসেছে তার নীডে।

ভালে লাগে পথিবীর রঢ নষট সভযতার দিনের বযতযয ;

অনধকার সনাতনে মিশে যাওযা_ কিনত মরণের ঘম নয;

জেগে থাকা : নকষতরের বাগীশবরী ছযোতনার থেকে কিছ দরে; পথিবীর অবলপত জঞানী বনধরে

এই সতবধ মাটিতেই মিশে যেতে হলো জেনে তব চোখ রেখে নীলাকাশে শযে থাকা পথিবীর মাধরীর অনধকার ঘাসে।

১৩২

যাতরী

মনে হয পরীণ এক দর সবচছ সাগরের কলে জনম নিযেছিলো কবে; ২

পিছে সতযহীন জনমহীন চিহনহীন কযাশার যে-ইঙগিত ছিলো-_ সেই সব ধীরে-ধীরে ভলে গিযে অনয এক মানে

পেযেছিলো এখানে ভমিষঠ হ'যে-_ আলো জল আকাশের টানে ;

কেন যেন কাকে ভালোবেসে ।

মতয আর জীবনের কালো আর শাদা হদযে জডিযে নিযে যাতরী মানষ

এসেছে এ-পথিবীর দেশে ;

কঙকাল অঙগার কালি-_ চারিদিকে রকতের ভিতরে

অনতহীন করণ ইচছার চিহন দেখে

পথ চিনে এধলোয নিজের জনমের চিহন চেনাতে এলাম ; কাকে তব?

পথিবীকে ? আকাশকে ? আকাশে যে-সরধয জলে তাকে ?

ধলোর কণিকা অপপরমীণ ছায! বটটি জলকণিকাকে ?

নগর বনদর রাষটর জঞান অজঞানের পথিবীকে ?

যেই কহবাটিকা ছিলো জনমসথটির আগে, আর যে-সব কযাশ। রবে শেষে একিন

তার অনধকার আজ আলোর বলযে এসে পডে পলে-পলে ;*

নীলিমার দিকে মন যেতে চায পরেমে;

সনাতন কালো মহাসাগরের দিকে যেতে বলে।

তব আলো পথিবীর দিকে

সরয রোজ সঙগে ক'রে আনে

১৬৩৩)

যেই খত যেই তিথি যে-জীবন যেই সতযরীতি মহাইতিহাস এসে এখনও জানেনি যার মানে 3 -

সেদিকে যেতেছে লোক পলানি পরেম কষয

নিতয পদচিহের মতো সঙগে ক'রে;

নদী আর মানষের ধাবমান ধসর হদয রাতরি পোহালেো। ভোারে-_ কাহিনীর কতো শত ভোরে

নব সরয নব পাখি নব চিহন নগরে নিবাসে ;

নব-নব যাতরীদের সাথে মিশে যায

পরাণলোকষযাতরীদের ভিড ;

হদযে চলার গতি গান আলো রযেছে, অকলে মানষের পটভমি হযতো বা শাশবত যাতরীর ।

সথান থেকে

সথান থেকে সথানচযত হ'যে

চিহন ছেডে অনয চিহছে গিযে

ঘডির কাটার থেকে সমগের সাযর সপনদন

খসিযে বিমকত ক'রে তাকে দেখা যায অবিরল শাদা কালো সমষের ফাকে

€সকত কেবলি দর ঘসকতে ফবায পটভমি বার-বার পটভমিচছেদ

ককে ফেলে আধারকে আলোর বিলয

আলোককে আধাবের কষয

শেখায শকর জষে ; পলানি রকতসাগরের জয

দেখায কষণ সরষে ; বরমেই গভীর কষণ হয ।

১৩৪

দিনরাত

সারাদিন মিছে কেটে গেল ;

সাবানাত বডেডা খারাপ

নিবাশাকস বযরথভাক কাটবে ; জীবন

দিনবাত দিনগতপাপ

কষয করবার মতো বযবহার শধ । ফণীমনসার কাটা! তবও €তা নি শিশিলে মেখে আছে » একটিও পাখি শনযে নেই £ সব জঞানপাপী পাখি ফিনে গেছে নীডে ।

পথিবীতে এই

পথিবীতে এই জনমলাভ তব ভালো ; করমিষঠ হবার পরে ঘদদিও করমেই মনে হয

€কে।নো। এক অনধকার সতবধ ৫সকতেব

বিনদর ভেতর থেকে কোনো

অনয দর সথির বলযের চিহ লকষয কবে ছই শবদহীন শেষ সাগরের

মাঝখানে কযেক মহত এই সমযের আলো ॥

তেন আলো ? মাছিদের ওডাউডি ?£

তেবলি ভঙগর চিহ মখে নিযে জল সহযেজ তহেলেসপণট পরশাসত লো হিতে

পরিণতি চায এই মাছি মমাহরাভা পরেমিক নাবিক ন নাসপাতি মখ

ঠোট চোখ নাক করোটির গনধ

১২১৫

সপষট এক নিরসনে সথির ক'রে রেখে দেবে বলে ;

চলেছে-_ চলেছে-_

শিশির কযলাশা বষটি ঝডের বিহবল আলোডন

সমদরের শত মতযশীল ফাকি ডানে-বাযে সারাদিন আবছ1 মরণ

ঝেডে ফেলে-__ ঝাপসায বিপদের ঘণট। ব।জিযে

আমাদের আশা ভালোবাসা বযথা! রণঘডি সরযের ঘডি চিনতা বদধি চাকার ঘরনি গলানি দীতালো ইসপাত খানিকটা আলো উজজবলতা শাসতি চায ;

জলের মরণশীল চছলচছল শনে

কমপাশের চেতনাকে সরবদাই উততরের দিকে রেখে

সমদরকে সরবদাই শাসত হ'তে ব'লে

আমরা অনতিম মলয পেতে চাই-_ পরেমে ; পথিবীর ভরাট বাজার ভরা লোকসান . লোভ পচা উদভিদ কষঠ সবত গলিত আমিষ গনধ ঠেলে সমযের সমদরকে বার-বার মতয থেকে জীবনের দিকে যেতে ব'লে